চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

ভাটা মালিকদের আন্দোলনে ইঁট বিক্রি বন্ধ, সংকটে নির্মাণ শিল্প


 

ভাটা মালিকদের আন্দোলনে ইঁট বিক্রি বন্ধ, সংকটে নির্মাণ শিল্প 


ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্ট, সংবাদ প্রভাতী : ইঁট ভাটা শিল্পে লাগাতার ধর্মঘট চলছে। ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর ভাটা মালিকরা ইঁট বিক্রি বন্ধ রেখেছেন। ফলে সংকটে নির্মাণ শিল্প। এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে অল ইন্ডিয়া ব্রিক এন্ড টাইলস ম্যানুফ্যাকাচারাস ফেডারেশন। ওই ডাকে সাড়া দিয়েছে বেঙ্গল ব্রিকফিল্ড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক দিলীপ ঘোষের আহ্বানে সাড়া দিয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে এখন প্রতিটি গ্রামীণ এলাকায় ইঁটভাটা গুলিও বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রতিদিনই চলছে বিক্ষোভ সমাবেশ, মিছিল। জানানো হয়েছে ইঁটশিল্পে একের পর এক সরকারি বিধিনিষেধ ও অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। মাটির তৈরি ইঁট শিল্পে জিএসটি বেড়েছে ২৪০ - ৬০০ শতাংশ। একই সঙ্গে শ্রমিক চুক্তিতে অতিরিক্ত ১২ শতাংশ জিএসটি দিতে হচ্ছে মালিকদের। কয়লারও দাম বেড়েছে কয়েক গুণ। ফলে ভাটা চালানো সম্ভব নয় বলে বর্ধমানের মালিকরাও জানিয়ে দিয়েছেন। 

পূর্ব বর্ধমানে সংগঠনের তরফে চিন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ইঁট ভাটা শিল্প চরম সংকটে। অথচ সরকার নির্বিকার। পূর্ব বর্ধমানে বৈধ ইঁট ভাটার সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিনশো। পাশাপাশি সমসংখ্যক অবৈধ ঢাকাও চলছে। প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। জেলা জুড়ে করোনার সময় থেকেই ইঁটভাটা শিল্পে চরম অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। মালিক থেকে বিপন্ন হয়ে পড়েছেন শ্রমিক পরিবার গুলি। পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণের নামে ইঁটশিল্পের উপর  আইনি জুলুম তীব্র হয়েছে। অতিরিক্ত ভর্তুকি দিয়ে ফ্লাইঅ্যাশ ইট ও এ এ সি ব্লককে উৎসাহিত করে মাটি ইঁটশিল্পের বিরুদ্ধে লাগাতার বৈষম্য তৈরি করে শ্রমনিবিড় এই শিল্পকে বন্ধ করার অপচেষ্টা চলছে। সব মিলিয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে তাঁরা পথে নেমেছেন। 

আজ বর্ধমানে আন্দোলন কর্মসূচিতে অন্যান্য নেতৃত্বর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শান্তনু গোস্বামী, আবুল হায়াত শেখ সহ অনেকে।