শারদ উৎসবের প্রাক্কালে স্ফুলিঙ্গ'র প্রকাশ
ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্ট, সংবাদ প্রভাতী : প্রকাশিত হয়েছে পাহাড়, জঙ্গল, সমুদ্র ও তীর্থস্থান ঘিরে জীবনের বিচিত্র কাহিনী নিয়ে গল্প সংকলন "স্ফুলিঙ্গ"। ৫৭ টি ছোট গল্পকে দুই মলাটের মধ্যে বেঁধেছেন অটোমোবাইল মোটর ট্রেনিং স্কুলের অধ্যক্ষ তথা একাধারে কবি ও সাহিত্যিক গোপাল চন্দ্র দাস। শারদ উৎসবের প্রাক্কালে ১৮ সেপ্টেম্বর জি টি রোডের পাশে বর্ধমানের আনন্দপল্লীতে নিজ বাসভবন সংলগ্ন প্রাঙ্গণে সান্ধ্যকালীন এক আনন্দঘন পরিবেশে স্ফুলিঙ্গ বইটির আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করেন বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান শিক্ষাবিদ পরেশ চন্দ্র সরকার। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ১০ নম্বর ওয়ার্ডের পুরমাতা চন্দ্রা দাস ও বর্ধমানের বিশিষ্ট কবি কুশল দে। প্রথমেই অতিথিদের উত্তরীয়, পুষ্পস্তবক দিয়ে বরণ করেন রীনা দাস, স্পর্শনীল দাস ও শ্রেয়াংশ দাস। অতিথিদের হাতে স্মারক উপহার তুলে দেন মিনু দাস।
অটোমোবাইল মোটর ট্রেনিং স্কুলের ৬২ তম বিশ্বকর্মা পূজা উপলক্ষে বই প্রকাশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। "আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে ....." রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন জয়তী ভৌমিক। এরপর অনুষ্ঠানের প্রেক্ষাপট উপস্থাপনের সঙ্গে উপস্থিত সকলকে স্বাগত জানান গোপাল চন্দ্র দাস।
অনুষ্ঠানে খুব সুন্দর কবিতা আবৃত্তি করে শোনায় স্পর্শনীল দাস, শ্রেয়াংশ দাস ও জয়েন্দ্র ভৌমিক। শ্রুতি নাটক পরিবেশনের মাধ্যমে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন দীপেন্দ্রনাথ শীল ও জয়া ঘোষ। মনোজ্ঞ রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী শান্তনু চক্রবর্তী। তবলা সঙ্গতে ছিলেন সুভাষ চন্দ্র দাস। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সুন্দর ভাবে সঞ্চালনা করেন শীর্ষেন্দু সাধু। অনুষ্ঠান শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন শ্যামল দাস।
উল্লেখ্য গোপাল চন্দ্র দাস পেশাগত দিক থেকে পশ্চিমবঙ্গ ব্যাপী তার পৈত্রিক প্রতিষ্ঠিত ব্যবসা, মোটর ড্রাইভিং ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের সাথে দীর্ঘকাল যুক্ত আছেন। সেই সুবাদে ঘুরেছেন বহু জায়গায়। অসংখ্য মানুষের সঙ্গে মিশেছেন আন্তরিক ভাবে। তাদের ভাষা, সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্যে খুঁজেছেন অনেক কিছুই। তাইতো তিনি লিখেছেন 'অনেক কিছু ভুলে গেলেও ভোলা যায় না জীবন'। সেই জীবনের প্রতিচ্ছবি উদ্ভাসিত হয়েছে স্ফুলিঙ্গের প্রতিটি পাতায়। নামকরণ ও প্রচ্ছদ ভাবনা লেখকের নিজের বইটির অলংকরণ করেছেন মিনু দাস ও পূজা দাস। প্রচ্ছদ রূপায়ণ করেছেন সুবীর পাল। গোপাল দাস রচিত ছোট গল্পের এই বইটির দাম ১০০ টাকা।