কাজল মিত্র, আসানসোল : বুধবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে সিবিআইয়ের অফিসাররা আসানসোলের আপকার গার্ডেনে মন্ত্রী মলয় ঘটকের বাড়িতে আসেন। সেখানে প্রায় একঘন্টা সিবিআইয়ের অফিসাররা ছিলেন। এরপর সেই বাড়ির সামনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের মোতায়েন করে সিবিআইয়ের চার অফিসার মলয় ঘটকের পৈত্রিক বাড়ি চেলিডাঙ্গায় যান। সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়া হয় আপকার গার্ডেনের বাড়ির এক কর্মী মনোজ লায়েককে। চেলিডাঙ্গার বাড়িতে মিনিট পনেরো ছিলেন সিবিআইয়ের অফিসাররা।
সেখানেও একইভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন করা হয়। চেলিডাঙ্গার বাড়ি থেকে বেরিয়ে সিবিআইয়ের অফিসাররা চলে আসেন আপকার গার্ডেনে বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা লাগোয়া আরো একটি পৈত্রিক বাড়িতে। সেখানেও মিনিট পনেরো ছিলেন সিবিআইয়ের অফিসাররা। এই বাড়িতেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছে। তারপর সাড়ে নটা নাগাদ সিবিআইয়ের অফিসাররা আপকার গার্ডেনে মন্ত্রী মলয় ঘটকের বাড়িতে চলে আসেন।
জানা গেছে মন্ত্রী বাড়িতে না থাকলেও, তার স্ত্রী বাড়িতে আছেন। আপকার গার্ডেনে মন্ত্রীর বাড়িতে তার কার্যালয় আছে। নটার পরে সেখানে কর্মীরা যথারীতি আসেন। কিন্তু তাদেরকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। একযোগে তিন জায়গায় এই অভিযানে গোটা আসানসোল জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। চাবি তৈরী করে এমন একজনকে সকাল দশটা নাগাদ মন্ত্রী মলয় ঘটকের বাড়িতে ডেকে আনে সিবিআই। মনে করা হচ্ছে সিবিআইয়ের অফিসাররা আলমারি বা বন্ধ রয়েছে এমন কিছু জিনিসের চাবি তৈরী করে তল্লাশি করতে পারে। এই বাড়িতেই বর্তমানে মন্ত্রী মলয় ঘটক থাকেন। তবে এদিন তিনি আসানসোলে নেই। সোমবার সকালেই তিনি কলকাতায় চলে গেছেন।
মন্ত্রী মলয় ঘটকের বাড়ির অদূরে বিজেপি ও সিবিআইয়ের বিরোধিতায় বিক্ষোভ দেখায় তৃণমুল কংগ্রেসের কর্মী ও সমর্থকরা। এদিন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ আপকার গার্ডেনে ভগৎ সিং মোড়ে এই বিক্ষোভ দেখানো হয়। নেতৃত্বে ছিলেন আসানসোল উত্তর ব্লক তৃণমুল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির সভাপতি রাজু আলুওয়ালিয়া ও মাইনোরিটি সেলের সভাপতি মহঃ আফরোজ। তারা বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মন্ত্রী মলয় ঘটককে বদনাম করতে বিজেপি এইসব করছে।