উদ্বোধনের জোয়ারে মহা পঞ্চমী জমজমাট
অতনু হাজরা, জামালপুর : পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে শুভ মহা পঞ্চমীর দিন থেকেই একের একের পর পুজো মণ্ডপে শুরু হয়েছে উদ্বোধন। জামালপুরে একের পর এক মণ্ডপে দুর্গা পুজো উদ্বোধন করলেন জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহেমুদ খান। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক অলক কুমার মাঝি, জামালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক ইন্সপেক্টর রাকেশ সিং, জয়েন্ট বিডিও অরিন্দম চন্দ, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ভূতনাথ মালিক সহ তাবারক আলী, সাহাবুদ্দিন শেখ এবং অন্যান্যরা। আজ জামালপুরের জামুদহ বারোয়ারী, সাদিপুর অ্যাথলেটিক ক্লাবের পুজো, চৌবেরিয়া বারোয়ারী, কলুপুকুর সর্বজনীন, কাঠুরিয়াপাড়া সর্বজনীন, নেতাজি অ্যাথলেটিক ক্লাব সহ অন্যান্য পুজোর উদ্বোধন করেন তিনি। প্রত্যেকটি পুজো মণ্ডপে দেখা যায় সমস্ত নিয়মবিধি মানা হয়েছে।
রয়েছে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের প্রচার, ডেঙ্গু নিয়ে সচেতনতা মূলক প্রচার। পুজো মণ্ডপ গুলির ব্যবস্থা নিজের চোখে দেখেন জামালপুর থানার ওসি রাকেশ সিং। প্রশাসনের সকলেই খুশি পুজো কমিটিগুলোর ব্যবস্থাপনা দেখে। মেহেমুদ খান সকল পুজো কমিটি গুলিকে ধন্যবাদ জানান তাঁকে পুজো উদ্বোধনে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য। তিনি বা তাঁরা অত্যন্ত খুশি যে তাঁদের অনুরোধে সকল পুজো কমিটিগুলোই অসহায় মানুষের হাতে নতুন বস্ত্র তুলে দেন।
তিনি বলেন এই সরকারই ক্ষমতায় এসে দুর্গা পূজো করার জন্য ৬০ হাজার টাকা ও বিদ্যুৎ বিলে ৬০% ছাড় দিয়েছেন। বিধায়ক বলেন মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগের জন্যই ইউনেস্কো আজ দুর্গাপূজো কে হেরিটেজ স্বীকৃতি দিয়েছে। তিনি নিজে সমস্ত পুজো যাতে নিয়মিত ভাবে অর্থাৎ প্রতিবছরই হয় যাতে কোনো পুজো অর্থের অভাবে বন্ধ না হয় সেই জন্য অর্থ সাহায্য করছেন। জামালপুর থানার ওসি সকলকে সরকারি নিয়ম মেনে পুজো করতে বলেন। এবং যেকোনো সমস্যায় পুলিশ প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। পুলিশ সর্বদা তাঁদের সাথে আছেন। নেতাজি ক্লাবে এবারের থিম খবরে আমরা। প্রাচীন কাল থেকে আজ পর্যন্ত খবরের যে বিবর্তন সেটা তাঁরা তুলে ধরেন থিমের মাধ্যমে। পায়রার পায়ে বেঁধে চিঠি পাঠানো থেকে শুরু করে রানার ডাক হরকরা, সংবাদপত্র, বৈদ্যুতিন মাধ্যম এবং সর্বশেষ ইন্টারনেট এই ভাবে বিবর্তনের পুরো চিত্র তুলে ধরা হয়।
তাঁরা ক্লাবের পূরবীর সব পেয়েছির আসরের ছোটো বাচ্ছাদের নিয়ে খুব সুন্দর মনোজ্ঞ অনুষ্ঠান করেন। প্রত্যেক জায়গাতেই প্রতিমা, মণ্ডপ, আলো খুবই সুন্দর ভাবে করা হয়েছে। ব্লক প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে থাকছে সেরা পাঁচটি বিভাগের পুরস্কার। পুজো কে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মণ্ডপ সংলগ্ন জায়গায় বসেছে মেলা। পঞ্চমীর দিন থেকেই মানুষ রাস্তায় বেরিয়েছে প্রতিমা দর্শনে।