সর্পাঘাতে মৃত্যু, গ্রাম বাংলায় সচেতনতা বৃদ্ধিতে পুলিশের উদ্যোগ
অতনু হাজরা, জামালপুর : চাষের মরশুমে গ্রাম বাংলায় প্রচুর মানুষ মাঠে চাষ করতে গিয়ে সাপের কামড়ে মারা যাচ্ছে। অনেকে বুঝতে পারছে না বা বুঝলেও সঠিক চিকিৎসা না করিয়ে ঝাড়ফুঁক করাচ্ছেন বা ওঝার বাড়ি যাচ্ছেন। মানুষের এই অজ্ঞতা দূর করে মানুষকে সচেতন করতে এগিয়ে এলো পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ। আজ জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জামালপুর থানার ব্যবস্থাপনায় জামালপুর ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের বেত্রাগর গ্রামের প্রাইমারি স্কুলে একটি সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করা হয়।
এই অনুষ্ঠানে মানুষকে সচেতন ও উৎসাহিত করতে উপস্থিত ছিলেন সদর দক্ষিণ মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সুপ্রভাত চক্রবর্তী, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহেমুদ খান, জামালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক ইন্সপেক্টর রাকেশ সিং, জামালপুর ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান সাহাবুদ্দিন মন্ডল, থানার সেকেন্ড অফিসার তাপস শীল, জামালপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক বাবু কুসুম চ্যাটার্জী, পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের প্রতিনিধি সহ অন্যান্যরা। মূলত সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে তথ্য প্রমাণ সহযোগে বক্তব্য রাখেন উপস্থিত আধিকারিকরা। বিজ্ঞান মঞ্চের পক্ষ থেকে শুধু মুখে বলে নয় ডিজিটাল ভিসুয়ালাইজ্ এর মাধ্যমে হাতে কলমে দেখিয়ে দেওয়া হয়। বিভিন্ন সাপ সম্পর্কে বর্ণনা, কোন কোন সাপ বিষাক্ত বা বিষাক্ত নয় তার তালিকা দেওয়া, সাপে কামড়ালে কি করা উচিত বা কি করা উচিৎ নয় সে সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করা ও সচেতন করা হয়। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহেমুদ খান সকলের উদ্দেশ্যে বলেন কুসংস্কারের বশবর্তী না হয়ে কোনো ভুল না করে সাপে কামড়ালে সত্বর হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। কারণ প্রতিটা মানুষের জীবনের দাম আছে তার পরিবারের কাছে।
সদর দক্ষিণ মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সুপ্রভাত চক্রবর্তী জানান জেলার পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেনের নির্দেশক্রমে এই সচেতনতা মূলক প্রোগ্রাম করা হচ্ছে। মূলত গ্রামগুলোকে বেছে নেওয়া হচ্ছে কারণ গ্রামের চাষীরাই মাঠে যান প্রতিদিন। সেই জন্য তাদের সচেতন করা আগে প্রয়োজন। আজ এই প্রোগ্রাম জেলায় শুরু হলো জামালপুরে। জামালপুর থানা সূত্রে জানানো হয় ব্লকে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন গ্রামে এই সচেতনতা মূলক প্রোগ্রাম করা হবে। জামালপুর ১ নং পঞ্চায়েতের উপ প্রধান সাহাবুদ্দিন মন্ডল জেলা পুলিশ ও জামালপুর থানাকে ধন্যবাদ জানান তাঁর পঞ্চায়েতের একটি গ্রাম বেছে নেওয়ার জন্য।