চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

মেয়ের চোখ ফেরাতে কাতর আবেদন বাবা মায়ের


 

মেয়ের চোখ ফেরাতে কাতর আবেদন বাবা মায়ের 


অতনু হাজরা, জামালপুর : ১২ বছরের কিশোরী রিয়া মাঝি। বর্তমানে চোখের সমস্যায় ভুগছে সে। তার বাঁ দিকের চোখটা ঠিক যেনো ঠিকরে বাইরে  বেরিয়ে আসতে চাইছে।তার বাবা অলোক মাঝি মা ঝুমা মাঝি। তাদের আসল বাড়ী বোরো বলাগর। কিন্তু কাজের খোঁজে তার বাবা মা চলে আসে জামালপুরের সালিমডাঙায়। সেখানেই অপরের দেওয়া সামান্য এক চিলতে জায়গায় কোনো রকম মাথা গোঁজার ঠাঁই। 

বিছানা বলতে একটি মাচার মত আর মাথার উপর ছাদ বলতে কালো ত্রিপল। কোনো রকম দিনমজুরি করে দিন গুজরান হয় তাদের। হঠাৎই বছর দুয়েক আগে  রিয়া সাইকেল চাপতে গিয়ে খালের ধারে পড়ে যায়। প্রাথমিক ভাবে বুঝতে না পারলেও পরে চোখের সমস্যা ধরা পড়ে। 

মেয়েকে নিয়ে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান তাঁরা। সেখানে ওকে ভর্তি রাখা হয় বেশ কিছুদিন। তারপর আরো ভালো চিকিৎসার জন্য তাকে কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাবার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। অথৈ জলে পড়ে যায় পরিবারটি। কলকাতা শহর সেভাবে তারা কিছুই চেনে না। তার উপর আছে চরম অর্থ সংকট। অপরদিকে মেয়েকে সুস্থ করবার  অদম্য ইচ্ছা। আর্থিক কষ্টে জর্জরিত পরিবারটি স্বভাবতই কিছুদিন দেরি করে ফেলে। অবশেষে তারা মেয়েকে নিয়ে যায় কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।মেডিকেল কলেজের নিচে ৫ দিন থেকে ডাক্তার দেখিয়ে কিছু টেস্টও করায় তারা। আবার নিয়ে যেতে হবে কলকাতায়। 

অসহায় এই বাবা মা সংবাদ মাধ্যমে সর্ব স্তরের মানুষের কাছে ও প্রশাসনের কাছে কাতর আবেদন জানাচ্ছেন সাহায্যের জন্য। যে ভাবেই হোক তাদের মেয়ের স্বাভাবিক জীবন যেনো ফিরে পায়। আমরাও  আমাদের পত্রিকার মাধ্যমে সকলকে অনুরোধ করছি রিয়ার পাশে দাঁড়াতে। ওকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে দিতে সকলকে সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছি আমরা।