Scrooling

উচ্চমাধ্যমিক ২০২৫ প্রথম দশে ৭২ জন। প্রথম হয়েছে রূপায়ন পাল। রূপায়ন বর্ধমান সিএমএস হাইস্কুলের ছাত্র। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৭ ( ৯৯.৪ শতাংশ) # ২০২৫ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যে প্রথম রায়গঞ্জের করোনেশন হাইস্কুলের অদৃত সরকার। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৬ নম্বর # ষষ্ঠ সিন্ধু জিব্রাল্টার জয় করে ইতিহাসের পাতায় সায়নী # বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ, শুভেচ্ছা বার্তা পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় # সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ২৫ হাজার ৭৫২ জন শিক্ষকের চাকরি গেল # আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বিজয়ী ভারত, নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে তৃতীয় বারের জন্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হল ভারত # প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রীর শোকজ্ঞাপন # বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাজ্যসভার সাংসদ হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় # 'দাদাসাহেব ফালকে' সম্মানে ভূষিত হলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী

মেয়ের চোখ ফেরাতে কাতর আবেদন বাবা মায়ের


 

মেয়ের চোখ ফেরাতে কাতর আবেদন বাবা মায়ের 


অতনু হাজরা, জামালপুর : ১২ বছরের কিশোরী রিয়া মাঝি। বর্তমানে চোখের সমস্যায় ভুগছে সে। তার বাঁ দিকের চোখটা ঠিক যেনো ঠিকরে বাইরে  বেরিয়ে আসতে চাইছে।তার বাবা অলোক মাঝি মা ঝুমা মাঝি। তাদের আসল বাড়ী বোরো বলাগর। কিন্তু কাজের খোঁজে তার বাবা মা চলে আসে জামালপুরের সালিমডাঙায়। সেখানেই অপরের দেওয়া সামান্য এক চিলতে জায়গায় কোনো রকম মাথা গোঁজার ঠাঁই। 

বিছানা বলতে একটি মাচার মত আর মাথার উপর ছাদ বলতে কালো ত্রিপল। কোনো রকম দিনমজুরি করে দিন গুজরান হয় তাদের। হঠাৎই বছর দুয়েক আগে  রিয়া সাইকেল চাপতে গিয়ে খালের ধারে পড়ে যায়। প্রাথমিক ভাবে বুঝতে না পারলেও পরে চোখের সমস্যা ধরা পড়ে। 

মেয়েকে নিয়ে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান তাঁরা। সেখানে ওকে ভর্তি রাখা হয় বেশ কিছুদিন। তারপর আরো ভালো চিকিৎসার জন্য তাকে কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাবার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। অথৈ জলে পড়ে যায় পরিবারটি। কলকাতা শহর সেভাবে তারা কিছুই চেনে না। তার উপর আছে চরম অর্থ সংকট। অপরদিকে মেয়েকে সুস্থ করবার  অদম্য ইচ্ছা। আর্থিক কষ্টে জর্জরিত পরিবারটি স্বভাবতই কিছুদিন দেরি করে ফেলে। অবশেষে তারা মেয়েকে নিয়ে যায় কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।মেডিকেল কলেজের নিচে ৫ দিন থেকে ডাক্তার দেখিয়ে কিছু টেস্টও করায় তারা। আবার নিয়ে যেতে হবে কলকাতায়। 

অসহায় এই বাবা মা সংবাদ মাধ্যমে সর্ব স্তরের মানুষের কাছে ও প্রশাসনের কাছে কাতর আবেদন জানাচ্ছেন সাহায্যের জন্য। যে ভাবেই হোক তাদের মেয়ের স্বাভাবিক জীবন যেনো ফিরে পায়। আমরাও  আমাদের পত্রিকার মাধ্যমে সকলকে অনুরোধ করছি রিয়ার পাশে দাঁড়াতে। ওকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে দিতে সকলকে সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছি আমরা।