চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

কেমন হবে এবারের মহাপুজো ? কি বলছেন  মৃৎশিল্পীরা


 

কেমন হবে এবারের মহাপুজো ? কি বলছেন  মৃৎশিল্পীরা 


কাজল মিত্র, আসানসোল : পিতৃপক্ষের অবসান, দেবীপক্ষের সূচনা। একই সঙ্গে আনন্দের দিন গোনা। হাতে রয়েছে আর মাত্র  কয়টা দিন তারপরই বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজো। তাই এখন চূড়ান্ত ব্যস্ততা মৃৎশিল্পীদের মধ্যে। গত দুবছর করোনার কারণে পুজো কম হয়েছে, তাই মৃৎশিল্পীদের লাভও কম হয়েছে বলে দাবি। তবে এ বছর বেশি পুজো অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার সালানপুর ব্লকের দেন্দুয়া রেলগেট সংলগ্ন  মৃৎশিল্পী কার্তিক সূত্র ধর। বাড়ি এথোরা গ্রামে এখানে সে প্রায় ৩০ বছর ধরে মূর্তি তৈরির কাজ করে আসছেন। তিনি জানান, আগের দু'বছরের তুলনায় এবছরে প্রতিমার চাহিদা প্রচুর ছিল।তার মূর্তি রাখার জায়গা কম থাকার কারনে বহু অর্ডার নিতে পারেনি। তবে ছোট বড় মিলিয়ে ৪০ টির বেশি মূর্তি তৈরির অর্ডার নেওয়া হয়েছে। যেগুলি প্রায় শেষের মুখে।

তবে সব জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রতিমা তৈরির খরচ বেড়েছে। আর স্বাভাবিকভাবেই প্রতিমার দামও সামঞ্জস্য করে রাখা হয়েছে। এই কারণে অর্ডার কম হচ্ছে বলেও ধারণা তার। তবুও চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে উদ্যোক্তাদেরও প্রতিমা ক্রয়ের বিষয়ে সমস্যায় পড়তে না হয়। তবে মূর্তি তৈরির কাজে খামতি একেবারেই নেই শিল্পীদের। এখানে ১৮ থেকে ২০ জন মৃৎশিল্পী রাত দিন এক করে প্রতিমা গড়ার কাজ করে চলেছেন । তাদের তৈরি দুর্গা প্রতিমা কুলটি, চিনাকুড়ি, মাইথন, আসানসোল, নাকরাজরিয়া, বরাকর, নিয়ামতপুর, কাল্লা সহ ঝাড়খন্ড এর ধানবাদ ও জামতারা প্রভৃতি জায়গায় যায় বলে জানান মৃৎশিল্পী কার্তিক সূত্রধর।

তবে গ্রাম্য শহরে প্রতিমা তৈরির কাজ এখনও শেষ না হলেও শহরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর মাধ্যমে পুজোর উদ্বোধন শুরু হয়ে গেছে।