চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

বর্ধমানে তৃণমূলের সভায় জনজোয়ারে আছড়ে পড়লো প্রতিবাদের ঢেউ


 

বর্ধমানে তৃণমূলের সভায় জনজোয়ারে আছড়ে পড়লো প্রতিবাদের ঢেউ 


ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্ট, সংবাদ প্রভাতী : সিবিআই এবং ইডি'র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের জমায়েতে জনজোয়ারে ভাসলো বর্ধমান শহর। বিভিন্ন ব্লক থেকে হাজারে হাজারে তৃণমূল কর্মীরা মিছিল করে বর্ধমান কার্জনগেট চত্বরে জমায়েত হন। শনিবার বর্ধমানে তৃণমূল কংগ্রেসের সমাবেশ থেকে সিপিআইএম-কে চরম হুঁশিয়ারি দিলেন বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস। এদিন বিকেলে বর্ধমানের কার্জনগেট চত্বরে দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি, ইডি ও সিবিআইয়ের আগ্রাসী মনোভাব, রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনা ও সিপিএমের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা হয়। বিভিন্ন ব্লক থেকে মিছিল নিয়ে নেতৃত্ব বর্ধমানে আসেন।

 উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, স্বপন দেবনাথ, সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী, প্রদীপ মজুমদার সহ তৃণমূল কংগ্রেসের পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা বিধায়ক শম্পা ধাড়া, বিডিএ'র চেয়ারম্যান কাকলি তা গুপ্ত সহ বিধায়ক, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ এবং জেলা থেকে ব্লকের ছোট বড় সমস্ত নেতৃবৃন্দ। বক্তারা সিবিআই এবং ইডি'র বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার পাশাপাশি গত ৩১ আগষ্ট সিপিআইএম এর আইন অমান্য কর্মসূচির নামে ভাঙচুর ও সন্ত্রাসের তীব্র নিন্দা করেন।

৩১ আগস্টে সিপিআইএম এর সন্ত্রাসের প্রসঙ্গ টেনে বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস বলেন, আমাদের নেত্রী শান্তির প্রতীক।  কলকাতা থেকে আমাদের নেতা অভিষেক ব্যানার্জী শান্ত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন। কোন গণ্ডগোল ও অশান্তি করতে মানা করেছেন। বাংলায় অশান্তি চায় না। তা নাহলে বর্ধমান শহরের সিপিএমের সব পার্টি অফিস গুড়িয়ে দিতে পাঁচ মিনিট সময় লাগতো না। সিপিএম নতুন খেলা শুরু করেছে। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহঃ সেলিম রাজ্যের যেখানে যাচ্ছেন সেখানে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছেন। ৩১ আগষ্ট জেল ভরো আন্দোলনের নামে বর্ধমানে ভাঙচুর করেছে সিপিআইএম। সেদিন বস্তা বস্তা ইঁটের ঢিল ছোড়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের প্রকল্পগুলির ছবি কার্জনগেট চত্বরে টাঙানো হয়েছিল, সবই ভেঙে দিয়েছে। সিপিএম উন্নয়ন চায় না। ৩৪ বছরে রাজ্যে কোন উন্নয়ন করে নি।

অন্যদিকে মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, হাঁটা শুরু করলে সিপিএমকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। সিপিএমের আমলেও বেছে বেছে সিপিএমের লোকেদের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে।