পুজো কমিটিদের নিয়ে ব্লক প্রশাসনের মিটিং
অতনু হাজরা, জামালপুর : আর কয়েকদিন পরেই দেবী পক্ষের সূচনা। শুরু হয়ে যাবে দুর্গা পূজার আমেজ। যদিও ইউনেস্কোর বিশেষ সম্মানের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এক মাস আগেই পুজোর মহড়া শুরু করে দিয়েছেন।এবারে প্রত্যেকটি পুজো কমিটিকে দেওয়া অনুদান ১০০০০ বাড়িয়ে ৬০০০০ করা হয়েছে। বিদ্যুতে দেওয়া হয়েছে ৬০%ছাড়। রাজ্যের প্রত্যেকটি ব্লকেই পুলিশ প্রশাসন ও ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুজো কমিটি গুলিকে নিয়ে মিটিং করা হচ্ছে। জামালপুর ব্লকের ২৪৩ টি পূজা কমিটি কে নিয়ে ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্লক অফিসে পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী মঞ্চে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন এসডিপিও সুপ্রভাত চক্রবর্তী, বিধায়ক অলোক কুমার মাঝি,পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহেমুদ খান, বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার, জামালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক রাকেশ সিং সহ ফায়ার ব্রিগেড, বিদ্যুৎ বিভাগ, স্বাস্থ্য বিভাগ ও ভূমি রাজস্ব বিভাগের আধিকারিকরা।
মিটিংটি আয়োজন করা হয় জামালপুর থানার পক্ষ থেকে। দুর্গা পূজা করতে গেলে বা সরকারি অনুদান পেতে গেলে কি কি শর্ত পূরণ করতে হয়। কিভাবে পুজোর অনুমোদন নিতে হয় সেই বিষয়েই বিস্তারিত আলোচনা করেন উপস্থিত আধিকারিকরা। পূজা কমিটি গুলোকে সব বিষয় ধরে ধরে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। গত বছরের মত এ বছরও ব্লক অফিস থেকেই একটা টেবিলেই সমস্ত জায়গার অনুমোদন পাইয়ে দেবার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অর্থাৎ কোন পুজো কমিটি কে আলাদা আলাদা ভাবে বিভিন্ন দপ্তরে গিয়ে অনুমোদন আনতে হবে না।
মেহেমুদ খান তার বক্তব্যে বলেন ধর্ম যার যার উৎসব সবার। সকলকে আনন্দ সহকারে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে উৎসব পালন করার কথা বলেন। এবং কোনভাবেই কোন পূজো কমিটি বা কেউ আইন যেন নিজের হাতে তুলে না নেয়। কোন সমস্যা হলে ওসি সাহেব, বিডিও সাহেব এমনকি তাঁকেও ফোন করে জানানোর কথা বলেন। ব্লক প্রশাসনের এই ভূমিকায় খুশি পুজো উদ্যোক্তারা।
বিডিও সাহেব সমস্ত পুজো কমিটিগুলোকে জানিয়ে দেন আগামীকাল থেকেই ব্লক অফিসেই শুরু হবে পুজো কমিটিগুলোকে অনুমোদন দেবার প্রক্রিয়া। এসডিপিও সাহেব বলেন পুজোকমিটি গুলোকে ভলেন্টিয়ার্স এর ব্যাপারে আরো সদর্থক ভূমিকা নিতে হবে। রাতেও যেনো মণ্ডপে বা সেই সংলগ্ন এলাকায় তারা থাকেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু পোস্টের ব্যাপারেও সাবধান করেন তিনি। যদি কোনো আপত্তিকর পোস্ট কেউ দেখেন তাহলে সত্বর থানায় জানানোর কথা বলেন।
সমস্ত অনুষ্ঠানটি দক্ষতার সঙ্গে সামাল দেন এবং প্রতিটি পুজো কমিটির যাবতীয় জিজ্ঞাসার সমাধান করেন জামালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক রাকেশ কুমার সিং।