সিপিআইএম-এর আইন অমান্য কর্মসূচিতে ৩৪ জনের জেল হেফাজত, ৭ জন পুলিশী হেফাজতে
ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্ট, সংবাদ প্রভাতী : সিপিআইএম এর আইন অমান্য কর্মসূচির ঘটনায় পুলিশ ৪৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। বৃহস্পতিবার ধৃতদের আদালতে তোলা হয়। বর্ধমান আদালতের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ধৃতদের মধ্যে ৫ জনের জামিন মঞ্জুর করেছেন। ৭ জনের তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। বাকি ৩৪ জনকে জেলা হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর তাদের আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন সিজেএম। জানা গেছে এস এফ আই-এর পূর্ব বর্ধমান জেলা সম্পাদক অনির্বাণ রায় চৌধুরী সহ ৭ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে।
৩১ আগস্ট সিপিআইএম এর আইন অমান্য আন্দোলনে বর্ধমানের কার্জনগেট চত্বরে ধুন্ধুমার কান্ড ঘটে। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের হাতাহাতি থেকে মারপিট, ভাঙচুর সবই হয়েছে। মারমুখী আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ জলকামান ও টিয়ার গ্যাসের শেল ব্যবহার করে। কার্যত আইন অমান্যকারীদের আটকাতে গিয়ে পুলিশের তৈরি ব্যারিকেডে পুলিশ আটকে যায়। যারফলে আইন অমান্যকারীদের হাতে পুলিশ প্রহৃত হয়। ঘটনায় বর্ধমান থানার পুলিশ ৪৬ জনকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি কিছু সংখ্যক মহিলাকে আটক করে কয়েক ঘণ্টা থানায় বসিয়ে রাখার পর ছেড়ে দেয়।
ঘটনার প্রেক্ষিতে বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস জানান, এরাজ্যে একটিও বিধায়ক নেই তা সত্বেও সিপিআইএম যেভাবে তাণ্ডপ চালিয়েছে তা বর্ধমানবাসী দেখেছে। রাজ্য নেতৃত্বের বারণে তৃণমূল কংগ্রেসের সৈনিকরা কিছু করেনি, যদি চাইতো তাহলে পাঁচ মিনিট সময় লাগতো না তাদের শায়েস্তা করতে।
অন্যদিকে সিপিএম নেতা অপূর্ব চ্যাটার্জী বলেন ২০১১-এর পর ২০২২সালে দাঁড়িয়ে নেতারা টাকার কুমির হয়েছে, এছাড়া কোনো উন্নয়ন করেনি তৃণমূল কংগ্রেস, যা উন্নয়ন করেছে সিপিআইএম, আর সেটাই ভাঙিয়ে চলছে। আর এসবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেই তাদের মারধোর মিথ্যা কেস দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, বুধবারের ঘটনা পুলিশের প্ররোচনায় ঘটেছে।