চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

শিক্ষক পুত্রের বিরুদ্ধে ভরণপোষণ চেয়ে হাইকোর্টের দারস্থ বৃদ্ধ বাবা-মা


 

শিক্ষক পুত্রের বিরুদ্ধে ভরণপোষণ চেয়ে হাইকোর্টের দারস্থ বৃদ্ধ বাবা-মা


🟣  মোল্লা জসিমউদ্দিন 


➡️  পুত্রের বিরুদ্ধে এবার কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হলেন প্রবীর খালাসি নামে বারুইপুর এলাকার এক বাসিন্দা। 'পরোপকারী' আইনজীবী ইন্দ্রজিৎ রায় চৌধুরীর মাধ্যমে তিনি হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছেন। আগামী ২৩ আগস্ট কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্যের এজলাসে এই মামলার শুনানি হতে পারে বলে জানা গেছে।  ছেলের নাম বিকাশ খালাসি, পেশায় কুমারপুর জুনিয়ার হাইস্কুল -এর শিক্ষক।  যার মাসিক বেতন প্ৰায় ৪০ হাজার টাকার ওপরে। এই ছেলে তার বাবা-মা কে দেখে না এবং কোনো রকম খোরপোশ  দেয় না। উল্টে বাবা-মার থেকে তাঁর যে সম্পত্তি  একটা দানপত্ৰ দলিল করে লিখিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ। ছেলের প্রতিশ্রুতি ছিল- ' ভবিষ্যতে তাঁদের দেখবে'। বাবা মা দুজনেই অত্যন্ত অসুস্থ এবং বয়স্ক। এই দানপত্ৰ দলিল করার পরেই ছেলে বাবা - মাকে জয়নগরের বাড়িতে ছেড়ে দিয়ে পাথরপ্ৰতিমা অঞ্চলে থাকতে শুরু করেন। ছেলের বিরুদ্ধে বাবা বারুইপুরে  মামলা দায়ের করেন। ওই ট্রাইবুনাল বাবা ও মাকে মাসিক ৬০০০ টাকা ভাতা দিতে নির্দেশ দেয়। গত ২০২০ সালে  ২৭শে ফেব্ৰুয়ারি  এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে। বাবার অভিযোগ-'  এরপরের থেকে নিম্ন আদালতের রায় থাকা  সত্ত্বেও শিক্ষক ছেলে কোনদিনই কোনো পরিস্থিতিতেই টাকাপয়সা  সেভাবে দেয়নি। করোনাকালে ছেলে যেখানে ৪০ হাজার টাকার উপরে মাসিক বেতন পাচ্ছে, সেখানে বাবা মার অবস্থা অত্যন্ত খারাপ এবং সংসার চলচ্ছে না। এইরকম পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ওই বাবা আবার নিম্ন আদালতের দ্বারস্থ হয়। নিম্ন আদালত ছেলেকে ডেকে পাঠায়। তবে আদালতের নির্দেশে  ছেলে গড়হাজির থাকে এজলাসে।  লিখিত আবেদন জানানো সত্ত্বেও বাবা কোনো রকম কোনো খরপোশ ছেলের থেকে পায়নি। বাধ্য বয়ে বাবা এবং মা দুজনেই ছেলের বিরুদ্ধে  হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন এবং ছেলে যাতে নিম্ন আদালতের নির্দেশ মেনে তাঁকে মাসিক ৬০০০ টাকা মাসিক ভাতা দেয়। মামলাকারীর আইনজীবী ইন্দ্রজিৎ রায় চৌধুরী জানান -.' পুত্র অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী থাকা সত্বেও একপ্রকার অনাহারে রয়েছেন এই প্রবীণ দম্পতি '। আগামী ২৩ আগস্ট এই মামলার শুনানি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্যের এজলাসে হতে পারে বলে জানা গেছে।