Scrooling

প্রয়াত টাটা গ্রুপের কর্ণধার রতন টাটা, দুর্গা পুজোর আনন্দের মাঝে বিষাদের ছায়া # 'দাদাসাহেব ফালকে' সম্মানে ভূষিত হলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী # হাঁপানি ও অ্যালার্জিজনিত সমস্যায় ভুগছেন ? বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ অয়ন শিকদার বর্ধমানে আসছেন। নাম লেখাতে যোগাযোগ 9734548484 অথবা 9434360442 # টি টোয়েন্টি ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট ২০২৪ : ভারতের বিশ্ব রেকর্ড, প্রথম থেকে শেষ সব ম্যাচে ভারতের জয় # কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন আউসগ্রামের বিউটি বেগম # নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রীসভায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে শপথ নিলেন ডঃ সুকান্ত মজুমদার ও শান্তনু ঠাকুর # আঠারো তম লোকসভা ভোটের ফলাফল : মোট আসন ৫৪৩টি। NDA - 292, INDIA - 234, Others : 17 # পশ্চিমবঙ্গে ভোটের ফলাফল : তৃণমূল কংগ্রেস - ২৯, বিজেপি - ১২, কংগ্রেস - ১

Refugees demands উদ্বাস্তুদের সমস্যা নিরসনে সম্মিলিত কেন্দ্রীয় বাস্তুহারা পরিষদের ডেপুটেশন কর্মসূচি


 

Refugees demands  উদ্বাস্তুদের সমস্যা নিরসনে সম্মিলিত কেন্দ্রীয় বাস্তুহারা পরিষদের ডেপুটেশন কর্মসূচি 


ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্ট, সংবাদ প্রভাতী :  সম্মিলিত কেন্দ্রীয় বাস্তুহারা পরিষদ-এর পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটি আজ জেলাশাসকের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঁচ দফা রাজ্য সরকারের কাছে ১০ দফা এবং জেলা প্রশাসনের কাছে পাঁচ দফা দাবি পেশ করেছে। পূর্ববঙ্গ অধুনা বাংলাদেশ থেকে আগত পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী উদ্বাস্তুদের বিষয়ে এই দাবিগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানিয়েছেন কমিটির কর্মকর্তারা।

আজকের ডেপুটেশন কর্মসূচিতে সম্মিলিত কেন্দ্রীয় বাস্তুহারা পরিষদ-এর পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটি কর্মকর্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দুলাল নাগ, নারায়ণ সরকার, গৌতম সাহা, অশোক দাস, নন্দদুলাল গুহ, সুনীল কৃষ্ণ বনিক প্রমূখ। 


সংগঠনের নেতৃত্ব জানান,কেন্দ্রীয় সরকারের নিকট দাবীর মধ্যে রয়েছে ২০০৩ সালের নাগরিকত্ব আইন সংশোধন ও কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ৭ ই সেপ্টেম্বর-২০১৫ নাগরিক সংক্রান্ত নির্দেশিকা বাতিল করে, ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ এর পর যে সকল মানুষজন (শরনার্থী) নিরাপত্তার অভাবে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারত যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসতে বাধ্য হয়েছেন তাদেরকে উদ্বাস্তু হিসাবে স্বীকৃতি ও ভারতের নাগরিকত্ব প্রদানের লক্ষ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

১৯৯৫ সালের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার স্বীকৃত ৯৯৮ গ্রুপ কলোনী এবং পরবর্ত্তী ৬৯৮ টি কলোনী ও অন্যান্য অননুমোদিত কলোনীর কেন্দ্রীয় সরকারকে বাস্তু ও কৃষি কলোনী হিসাবে স্বীকৃতি দিতে হবে ।

কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারকে উদ্বাস্তু পুনর্বাসন সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত পৃথক উদ্বাস্তু ত্রান ও পুনর্বাসন দপ্তর চালু করতে হবে।

সরকার স্বীকৃত সমস্ত ধরনের অনুন্নত কলোনীর উন্নয়নের জন্য ২০.০৩.১৯৯২ তারিখে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধান সভায় গৃহীত কলোনী উন্নয়নের গুচ্ছ প্রস্তাবের ১৭২৬.৫০ কোটি টাকা বর্তমান অর্থ মূল্যে কেন্দ্রীয় সরকারকে দিতে হবে।

নদী ভাঙনে যেসমস্ত কলোনী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সেই সকল কলোনীগুলিকে রক্ষার্থে নদী ভাঙন প্রতিরোধ ব্যবস্থা কেন্দ্রীয় সরকারকেই নিতে হবে।

এছাড়া রাজ্য সরকারের নিকট দাবী সমূহ হলো যে সমস্ত জমি উদ্বাস্তু পুনর্বাসনের (জি. এস. - ১৪৯, ১৭৫, ৬০৭ গ্রুপ কলোনী )র জন্য অধিগৃহীত ও অন্য দপ্তর থেকে হস্তান্তরিত হয়েছিল সেই সমস্ত জমি উদ্বাস্তু ত্রাণ ও উদ্বাস্তু পুনর্বাসন বিভাগের নামে নথিভূক্ত ( Record ) করার কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে।

স্বীকৃত কলোনীগুলির বকেয়া দলিল প্রদানের কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে। প্রত্যেক দলিল প্রাপককে দলিলের সাথে পরচা ও সাইট প্লান দিতে হবে। পূর্বের দলিল প্রাপকদেরও অনুরূপ পরচা ও সাইট প্লান দিতে হবে। (ST) ১৭৫ ও ৬০৭ গ্রুপ কলোনীর স্থায়ী বসবাসকারী সকল ১০০% অনুদ্বাস্তুদের ৯৯ বৎসরের লিজ দলিলের ব্যবস্থা করতে হবে।

বায়না নামা বা প্রাইভেট কলোনীর পরিত্যক্ত প্লটে বসবাসকারী ( জবর দখলকারী ) দের জন্য আইন তৈরী করে তাদেরকে পূর্ণ স্বত্ত্বের দলিল বা লিজ দলিলের ব্যবস্থা নিতে হবে।

৯৯৮ গ্রুপ সহ সমস্ত জবর দখল কলোনী ভেস্ট সহ সরকারী জমি বা ব্যক্তি মালিকাধীন জমিতে বসবাসকারী উদ্বাস্তুদের গ্রুপ দলিলের ব্যবস্থা করতে হবে।

রাজ্যে পূর্বের মতো স্বতন্ত্র উদ্বাস্তু ত্রান ও পূনর্বাসন দপ্তর চালু করতে হবে।

রাজ্য সরকারের বাজেটে প্রতি বছর কলোনী উন্নয়নের জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে হবে।

নদী ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতে হবে ও ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরন দিতে হবে। রাজ্যের সকল নাগরিকদের ডিজিটাল রেশন কার্ড ও কম দামে রেশনের ব্যবস্থা করতে হবে।

রাজ্যের সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থা শক্তিশালী করে গরীব ও মধ্যবিত্তের চিকিৎসার সুব্যবস্থা করতে হবে।

এছাড়াও পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের কাছে আরও পাঁচ দফা দাবি পেশ করা হয়েছে।