সাবধান! সচেতন না হলেই মোটা অঙ্কের জরিমানা
ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্ট, সংবাদ প্রভাতী : সাবধান! ঘোর বিপদ, সচেতন না হলেই মোটা অঙ্কের জরিমানা দিতে হতে পারে। কোনও গল্পের গৌরচন্দ্রিকা নয়। একেবারে বাস্তব। শহর বর্ধমানের জি টি রোড কিম্বা বি সি রোড, পালাবার পথ নেই। বাইক কিম্বা চার চাকা অথবা বাস, লরি সব ক্ষেত্রেই বর্ধমান শহরে ট্রাফিক আইন কঠোর ভাবে বলবৎ করা হচ্ছে। পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ "সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ" কর্মসূচির মাধ্যমে দীর্ঘ সময় সাধারণ মানুষের পাশাপাশি গাড়ি চালকদের সচেতন করেছে। এছাড়া নাকা চেকিংয়ের মাধ্যমে ধরপাকড়ও কম হয়নি। এবার পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ প্রযুক্তির ব্যবহারে ট্রাফিক আইন অমান্যকারীদের চিহ্নিত করে জরিমানার ব্যবস্থা করছে। জরিমানার টাকা সরাসরি সরকারি কোষাগারেই জমা পড়বে।
বর্ধমান শহরের শিরদাঁড়া হলো জি টি রোড। এই রাস্তার উল্লেখযোগ্য লোকেশন কার্জন গেট, মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুলের সামনে, টাউন হল গেটের সামনে, বাদামতলা মোড়, পার্কাস রোড মোড়, বর্ধমান মিউনিসিপালিটির সামনে ফ্লাইওভারের মুখে, লক্ষীপুর মাঠ কলেজ মোড়, গোলাপবাগ মোড়, নবাবহাট মোড়, বীরহাটা, পুলিশ লাইন, আলিশা বাস স্ট্যান্ড মোড়, উল্লাস মোড় এবং গোটা রাস্তার বিভিন্ন এলাকায় বসানো হয়েছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। কে কোথায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করছে, সবই পুলিশের নজরদারিতে থাকছে। হেলমেট বিহীন বাইক ড্রাইভ, ওভারটেকিং, ওভার স্পীডিং, সিগন্যাল অমান্য, যত্রতত্র পার্কিং, চারচাকা গাড়িতে সিট বেল্ট না পড়া এগুলো সবই জরিমানার আওতায়। এছাড়াও রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বেরোলেই আরও একগুচ্ছ নিয়ম। সচেতন না হলেই গুণতে হবে গাঁটের কড়ি। নিয়ম ভাঙলে পুলিশ আপনাকে নাও আটকাতে পারে। তবে মুহূর্তেই মোবাইলে চলে আসবে জরিমানার ম্যাসেজ। অনলাইনেই জমা করতে হবে জরিমানার টাকা। না দিলে জরিমানা জমতেই থাকবে। সময়ে ইন্সুরেন্স রিনিউয়াল আটকে যাবে। তারপর কোনও একদিন দেখবেন বাড়িতে নোটিশ এসে গেছে। তাছাড়া প্রযুক্তির ব্যবহারের বাইরেও পুলিশের নজরদারি বহাল থাকছে। তাই জরিমানার হাত থেকে বাঁচতে ট্রাফিক আইন যথাযত ভাবে মেনে চলুন।