Tarun Majumdar : চলচ্চিত্র পরিচালক তরুণ মজুমদার চিরঘুমের দেশে
ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্ট, সংবাদ প্রভাতী : চলচ্চিত্র পরিচালক তরুণ মজুমদার চলে গেলেন না ফেরার দেশে। সোমবার সকাল ১১টা ১৭ মিনিটে প্রয়াত হন প্রবীণ চিত্র পরিচালক তরুণ মজুমদার। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। তাঁর মৃত্যুতে বাংলা সিনেমার একটি যুগের অবসান হল। গত ১৫ দিন ধরে তিনি এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। দিন কয়েক আগেই তাঁর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছিল। তবে বিপদ কাটেনি বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। রবিবার তাঁর স্বাস্থ্যের অবস্থা আরও সঙ্কটজনক হয়ে পড়ে। তাঁকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়। শেষপর্যন্ত চিকিৎসকদের সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে চলে গেলেন চিরঘুমের দেশে।
উল্লেখ্য ১৯৬২ সালে কাঁচের স্বর্গ ছবির জন্য প্রথম জাতীয় পুরস্কার পান পরিচালক তরুণ মজুমদার। মোট চারটি জাতীয় পুরস্কার জয়ী চলচ্চিত্র পরিচালককে ১৯৯০ সালে কেন্দ্রীয় সরকার পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করে। এছাড়াও ফিল্মফেয়ার, বিএফজেএ পুরস্কার আনন্দলোক পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছিলেন চিত্রপরিচালক তরুণ মজুমদার। তাঁর প্রথম ছবি উত্তম-সুচিত্রা অভিনীত 'চাওয়া-পাওয়া'। এরপর একের পর এক হিট ছবি তরুণ মজুমদারের সিনেমাপ্রেমী মানুষদের উপহার দিয়েছেন। 'বালিকা বধূ', 'শ্রীমান পৃথ্বীরাজ', 'দাদার কীর্তি', 'ভালবাসা ভালবাসা' তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য। তাঁর প্রয়াণে টালিগঞ্জ সহ বাংলার সংস্কৃতি জগতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
বর্ধমানের সঙ্গেও তাঁর যোগাযোগ ছিল নিবিড়। ছবির কাজ সহ নানা ভাবে বহুবার বর্ধমানে এসেছেন। স্বাভাবিকভাবেই তরুণ মজুমদার এর প্রয়াণে শোকবিহ্বল শহর বর্ধমান।