চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

শ্রাবন মাসের অমাবস্যায় পিতলের রথে গ্রাম প্রদক্ষিণ করেন সোনার কালীমাতা


 

শ্রাবন মাসের অমাবস্যায় পিতলের রথে গ্রাম প্রদক্ষিণ করেন সোনার কালীমাতা, সাতদিন ধরে জমজমাট মেলা 


ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্ট, সংবাদ প্রভাতী : গ্রামবাংলার বুকের ভিতরে ধরা রয়েছে সম্প্রীতির সুর। সম্প্রীতির এই সুর আপনি বেজে ওঠে গাঁ-ঘরের সামাজিক উৎসবে। পূর্ব বর্ধমানের ভাতাড় ব্লকের প্রাচীন গ্রাম এরুয়ারে শ্রাবণ মাসের এই সময়ে অমাবস্যার দিনে হয় কালীপুজো। এই পুজোকে কেন্দ্র করে হয় সাতদিনের মেলা। বসে হাট। জমিয়ে হয় বেচাকেনা। হিন্দু, মুসলিম সবার বাড়িতে আত্মীয় কুটুম আসেন এই সময়ে। এই আত্মীয়তার বন্ধন তাদের কাছে বিনিসুতোর মালা। কোনো সেমিনার, কোনো প্রবন্ধ লাগেনি জীবনের অনুভবে জড়িয়ে গেছেন সবাই। 

এই গ্রামের নাম এরুয়ার কর্জনা চটি, বামুনাড়া পেরিয়ে মুরাতিপুর মোড়। সেই রাস্তা ভেঙে তিন কিলোমিটার গেলেই এরুয়ার। বাংলার বৈষ্ণব আর তন্ত্রমতে শাক্তধারার যুগল বন্ধনের ধারা আজও বয়ে চলেছে লোক উৎসবে।

এই গ্রামে শ্রাবণ মাসে হয় সোনার কালীপুজো।গ্রামের মাঝে কালীতলায় ঠাকুর আসেন। সোনা আর অষ্টধাতুর মূর্তি। একটি প্রাচীন পিতলের তৈরি রথে চেপে দেবীমূর্তি আসেন। প্রদক্ষিণ করা হয় গোটা গ্রাম। সাতদিন ধরে বসে মেলা। মাটির পুতুল,  জিলিপি, নাগরদোলা আর মিষ্টি নিয়ে সাবেকি মেলা। তার সাথে পুরনো গ্রামের হাটে চলে কেনাকাটা। লোটো গান, বাউল গান নিয়ে চলে সাতদিনের উৎসব।

এইগ্রামে চার হাজার পরিবারের বসবাস । প্রায় চল্লিশ শতাংশ মুসলিম।  কিন্তু সম্প্রীতির বাঁধনে সংহতি টাল খায় না কখনো। এই উৎসবেও তাই হিন্দুদের মত মুসলিম পরিবারের আত্মীয়রা আসেন। চলে কেনাকাটার ধূম।