চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

বিশ্বে নতুন ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ


 

বিশ্বে নতুন ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ 


ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্ট, সংবাদ প্রভাতী :  "সাবাস, বাংলাদেশ, এ পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়, জ্বলে পুড়ে-মরে ছারখার, তবু মাথা নোয়াবার নয়।" কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য'র কাব্য সত্যি হলো। ২৫ জুন বিশ্বে নতুন এক ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ। ঐতিহাসিক পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাঁর গলায় শোনা গেল সুকান্ত ভট্টাচার্যের সেই কবিতা।

২৫ জুন আনুষ্ঠানিক পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি দাবি করেন, 'প্রচুর বাধা-বিপত্তি, প্রতিকূলতা পেরিয়ে পদ্মা সেতুর স্বপ্নপূরণ হয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগে বিশ্ব ব্যাঙ্ক ঋণচুক্তি বাতিল করে দিয়েছিল। সেই দুর্নীতির অভিযোগ অবশ্য ধোপে টেকেনি। নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু তৈরি করেছে বাংলাদেশ। অথচ একটা সময় অনেকেই পদ্মা সেতু নিয়ে সন্দিহান ছিলেন। নিজের টাকায় কীভাবে বাংলাদেশ পদ্মা সেতু নির্মাণ করবে, তা নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন। ষড়যন্ত্রও হয়েছিল। বাংলাদেশ বিশ্বে প্রমাণ করেছে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ এটা। বাংলাদেশের মানুষকে স্যালুট জানাচ্ছি'। 

                                                            ছবি : সংগৃহীত

 ঐতিহাসিক পদ্মা সেতু বাংলাদেশের পদ্মা নদীর উপর নির্মিত একটি বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু। দুটি স্তর বিশিষ্ট স্টিল ও কংক্রিট নির্মিত  এই সেতুর উপরের স্তরে চার লেনের সড়ক পথ এবং নিচের স্তরে একটি একক রেলপথ রয়েছে। এর মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের সাথে শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলা যুক্ত হয়েছে। পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদীর অববাহিকায় ৪২টি পিলার ও ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যানের মাধ্যমে মূল কাঠামো তৈরি করা হয়। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৬ কিমি ১৫০ মিটার এবং প্রস্থ ১৮.১০ মিটার। গত ২৫ জুন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে মাওয়া প্রান্ত দিয়ে প্রথমবার টোল প্রদান করে  আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা সেতুতে আরোহন করেন। এবং এর মাধ্যমেই সেতুটি জনগণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।