চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের ভাবনার বাস্তবায়নে দৃষ্টান্ত


 

জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের ভাবনার বাস্তবায়নে দৃষ্টান্ত 


ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্ট, সংবাদ প্রভাতী : দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো পূর্ব বর্ধমান জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর। সাংবাদিকদের পুত্র-কন্যা, যারা ২০২২ সালে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে তাদের সংবর্ধিত করলো পূর্ব বর্ধমান জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর। এই উদ্যোগ পশ্চিমবঙ্গে সম্ভবত প্রথম। শনিবার বর্ধমানের কার্যালয়ে শিশু কিশোর আকাদেমি আয়োজিত 'স্মরণে রবীন্দ্র-নজরুল' শীর্ষক অনুষ্ঠানে সম্বর্ধিত করা হয় 

উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ জৈমিনি ভৌমিক, শীর্ষা পাল, শুভদীপ মন্ডল, ঈশান ঘোষ, পূজা প্রধান এবং মাধ্যমিক উত্তীর্ণ অগ্নিভ সাহা ও স্নেহা চ্যাটার্জী-কে। অনুষ্ঠানের অতিথি নির্বাচনের ক্ষেত্রেও জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক রাম শংকর মন্ডলের ভাবনার তারিফ করতেই হয়। কোনও মন্ত্রী বা প্রশাসনিক কর্তা নন, অনুষ্ঠানের অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ২০২২ সালে রাজ্যে মাধ্যমিক উত্তীর্ণ মেধা তালিকায় যুগ্মভাবে প্রথম শহর বর্ধমানের রৌনক মন্ডল এবং পঞ্চম স্থান অধিকারী সামিয়া ইয়াসমিন। অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে ছিলেন শিক্ষিকা মধুমিতা কারক। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন অতিথিরা। 

আসলে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিদিন নানান খবর জনগণের সামনে তুলে ধরেন সাংবাদিকরা। অথচ সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের সুখ-দুঃখ সফলতা বিফলতার খোঁজ রাখেন ক'জন ? আজ পূর্ব বর্ধমান জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর সাংবাদিক পরিবারের সন্তানদের সাফল্যে সাড়া দিয়ে নজির সৃষ্টি করেছে। এটা পূর্ব বর্ধমান জেলার গর্ব। এই উদ্যোগের জন্য সাংবাদিকদের পক্ষ থেকেও জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক রাম শংকর মন্ডল -কে কুর্ণিশ জানিয়েছেন সকলেই।

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ সাংবাদিক পরিবারের কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে পুষ্পস্তবক, উপহার এবং মিষ্টির প্যাকেট তুলে দেন অতিথিরা। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সুন্দর ভাবে সঞ্চালনা করেন সুদীপা সরকার।