চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

দৃষ্টি শক্তির প্রতিবন্ধকতাকে দূরে ঠেলে মাধ্যমিকে অসামান্য রেজাল্ট


 

দৃষ্টি শক্তির প্রতিবন্ধকতাকে দূরে ঠেলে মাধ্যমিকে অসামান্য রেজাল্ট 


সেখ সামসুদ্দিন, সংবাদ প্রভাতী, ৯ জুন : দৃষ্টি শক্তি নেইতো কি হয়েছে, মনের জোরে প্রতিবন্ধকতাকে হারমানিয়ে মাধ্যমিকে অসামান্য রেজাল্ট করেছে প্রিয়াস্মিতা ভান্ডারী ওরফে মিমি। মেমারি পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সারদাপল্লী বাসিন্দা তথা মেমারির বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মানস কুমার ভান্ডারীর দৃষ্টি শক্তিহীন কন্যা মিমি।আজ ওঁকে শুভেচ্ছা জানালেন মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য।  জন্মের পর থেকেই  প্রিয়াস্মিতা ওরফে মিমি প্রায় দৃষ্টি শক্তিহীন। এবছর রাইটারের সহযোগিতা নিয়ে মেমারি রসিকলাল স্মৃতি বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল মিমি। পাঁচটি বিষয়ে লেটার সহ ৮২ শতাংশ নম্বর পেয়ে পাস করেছে। খবর পেয়ে মেমারি বিধানসভার বিধায়ক তার বাড়িতে যান এবং প্রিয়াস্মিতাকে ফুলের স্তবক ও উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা জানান এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন। 

 প্রিয়াস্মিতা মেমারি বিদ্যাসাগর স্মৃতি বিদ্যামন্দির শাখা ১ বিদ্যালয়ে কলা বিভাগে ভর্তি হয়েছে। বড় হয়ে তার ইচ্ছা বড় সংগীতশিল্পী হবে। বাবা মানস কুমার ভান্ডারী ও মা মহুয়া ভান্ডারীর কাছে জানা যায় মেয়েকে ব্রেইল পদ্ধতিতে পড়ান এবং তাঁকে বিভিন্ন পাঠ্যবিষয় রেকর্ড করে শোনানো হয়। এই পদ্ধতিতে তাকে পড়ানো হয়। পরীক্ষার সময় রাইটারের সাহায্য নেওয়া হয়েছিল। প্রথমদিকে ব্লাইন্ড স্কুলে ভর্তি করা হলেও পরে মেমারি রসিকলাল স্মৃতি বালিকা বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণীতে ভর্তি করে এবং এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় উল্লেখযোগ্য রেজাল্ট করে। মানস বাবুর দুই কন্যা যমজ এবং প্রথম কন্যা রাজস্মিতা ভান্ডারী ওরফে রিচা একাদশ শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়েছে  এবং প্রিয়াস্মিতা একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হল। এই দুই বোনে ডুয়েট গান সুরেলা কন্ঠে করে থাকে। তালিমও নিচ্ছে এবং ভবিষ্যতে বড় শিল্পী হবে এই মনে আশা রেখে এগিয়ে চলেছে দুই বোন।