চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

হোটেল ও রেস্টুরেন্ট মালিকরা সংগঠিত, বর্ধমানে তৈরি হয়েছে নতুন অ্যাসোসিয়েশন


হোটেল ও রেস্টুরেন্ট মালিকরা সংগঠিত, বর্ধমানে তৈরি হয়েছে নতুন অ্যাসোসিয়েশন 


জগন্নাথ ভৌমিক, বর্ধমান : শহর বর্ধমানে জন্ম নিল আরও একটি নতুন ব্যবসায়িক সংগঠন। হোটেলস অ্যান্ড রেস্টুরেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অফ বর্ধমান (HRAB)। আসলে করোনা অতিমারি যেমন মানুষের অনেক কিছু ছিনিয়ে নিয়েছে, তেমনি অল্প হলেও কিছু দিয়ে গেছে। হয়তো নেওয়া ও দেওয়ার মাঝে তফাৎটা আকাশ-জমিন। তবুও প্রকৃতি এবং সামাজিক ক্ষেত্রে মানুষ অনেক কিছু শিখেছে। আর সেই শিক্ষা নিয়েই বর্ধমান শহরের হোটেল এবং রেস্টুরেন্ট মালিকরা সংগঠিত হয়ে গড়ে তুলেছেন হোটেলস অ্যান্ড রেস্টুরেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অফ বর্ধমান। ২৪ জুন সন্ধ্যায় শহর বর্ধমানের ঢল দিঘি এলাকায় 'হোটেল মৃগয়া'য় একটি সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে জনসম্মুখে আনা হয়েছে নতুন এই সংগঠনটিকে। 

এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে কর্মকর্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হোটেলস অ্যান্ড রেস্টুরেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অফ বর্ধমান এর সভাপতি অরূপ পাল, সহসভাপতি শ্যামল রায়, শুভ্রম সেনগুপ্ত, সম্পাদক মলয় সামন্ত, যুগ্ম সম্পাদক পিনাকী সরকার, কোষাধ্যক্ষ দেবব্রত দে সহ অন্যান্যরা। সংগঠনের সভাপতি অরূপ পাল জানান,

 বর্ধমান ও তার আশেপাশের সমস্ত হোটেল এবং রেস্টুরেন্ট গুলোকে এক ছাদের তলায় আনার প্রচেষ্টা। যা আগে কখনো সেই ভাবে হয়নি। লকডাউন সময়ে উদ্ভূত সমস্যার প্রেক্ষিতে আমরা সংগঠিত হওয়ার আলাপ আলোচনা শুরু করি। যার ফলশ্রুতিতে গড়ে উঠেছে হোটেলস অ্যান্ড রেস্টুরেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অফ বর্ধমান (HRAB)। ইতিমধ্যেই ৪৪ টি হোটেল এবং রেস্টুরেন্ট এই সংগঠনের অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। বর্ধমান শহরে সরকারি নিয়মনীতি মেনে প্রায় ৭৫ টি হোটেল ও রেস্টুরেন্ট চলে। সকলকেই আহ্বান জানানো হয়েছে। 

সংগঠনের সম্পাদক মলয় সামন্ত বলেন, আমরা হসপিটালিটি ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত সকল স্তরের মানুষের পাশে থাকার অঙ্গীকার করার সঙ্গে সুরক্ষা ও উন্নতিই আমাদের মূল লক্ষ্য। আমরা এখন বিভিন্ন প্রশাসনিক ও সামাজিক ব্যাপারেও ঐকবদ্ধ হয়ে কাজ করতে সক্ষম। 

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে যুগ্ম সম্পাদক পিনাকী সরকার বলেন,  রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা আরোপিত বিভিন্ন নিয়ম নীতি আমরা সবাইকে মেনে চলতে অনুরোধ করবো। তাছাড়া হোটেল রেস্টুরেন্টের কর্মচারীদের কিভাবে উন্নত জীবন যাত্রা দেওয়া যায় তারও চিন্তা ভাবনা চলছে। পাশাপাশি ক্রেতা সুরক্ষার কথাও মাথায় রাখবো।  এই ইন্ডাস্ট্রিজের এর উপর নির্ভর করে বহু মানুষের জীবিকা নির্বাহ হয়। সমাজের বড়ো অংশের অন্য সংস্থান নিশ্চিত করে এই ইন্ডাস্ট্রি। তাই আমরা এই ইন্ডাস্ট্রি কে আরও সুদৃঢ় করতে এই ইন্ডসাট্রির সঙ্গে যুক্ত সকল মালিকদের আমাদের সঙ্গে যুক্ত হবার আহ্বান জানাচ্ছি।  এর জন্য যারা একদম নতুন তারা যদি কোনোরকম হেল্প বা গাইডেন্স চান আমরা যতদূর সম্ভব তাঁকে সহযোগিতা করবো।

সংগঠনের সভাপতি অরূপ পাল জানান, সামগ্রিক কাজকর্ম করার ক্ষেত্রে যাতে কোনও অসুবিধা বা সমস্যা না আসে সেই জন্য একটি পরামর্শদাতা কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে রয়েছেন শ্যামল রায়,  নীলকমল, সত্যজিৎ দত্ত, অরিত খান প্রমুখ।