চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

তৃণমূল সুপ্রিমো'র নির্দেশে বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার প্রতিবাদে জনপ্লাবনে ভাসলো জামালপুর


 

তৃণমূল সুপ্রিমো'র নির্দেশে বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার প্রতিবাদে জনপ্লাবনে ভাসলো জামালপুর 


অতনু হাজরা, জামালপুর : তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন  ১০০ দিনের কাজের বকেয়া আদায় সহ বাংলার প্রতি কেন্দ্রের  বঞ্চনার প্রতিবাদে ৫ এবং ৬ জুন প্রতিবাদ মিছিল সংগঠিত করতে। সেই নির্দেশেই আজ পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে এক ঐতিহাসিক মহামিছিলের আয়োজন করা হয়। মিছিল শুরু হয় হালারা মোড় থেকে। মিছিলকে কেন্দ্র করে জনজোয়ারের সৃষ্টি হয়। প্রায় ৩২ থেকে ৩৫ হাজার মানুষ পা মেলান এই মিছিলে। মিছিলে নেতৃত্ব দেন  তৃণমূল কংগ্রেসের জামালপুর ব্লক সভাপতি মেহেমুদ খান। পূর্ণ সহযোগিতায় ছিলেন বিধায়ক অলক কুমার মাঝি ও যুব সভাপতি ভূতনাথ মালিক। এঁরা ছাড়াও মিছিলে নেতৃত্ব দিতে উপস্থিত ছিলেন মহিলা সভানেত্রী মিঠু মাঝি, জয়হিন্দ বাহিনীর সভাপতি সাহাবুদ্দিন মন্ডল, আই এন টি টি ইউ সি'র নেতা তাবারক আলী মন্ডল, এস সি সেলের সভাপতি উত্তম হাজারী, ছাত্র পরিষদের সভাপতি বিট্টু মল্লিক, ব্রাক্ষ্মন সমিতির সভাপতি অমিত চক্রবর্তী, শিক্ষক সেলের সভাপতি দেবব্রত মুখার্জী, সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি ওয়াসিম সরকার সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। হালারা থেকে মিছিল শুরু হওয়ার পরই  জনজোয়ারের চেহারা নেয়। 

প্রচুর কর্মী সমর্থক মিছিলে এসে পৌঁছাতেই পারেন নি কারণ সমস্ত রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পুরো বাই পাশে প্রচুর কর্মী সমর্থক ছিলেন যাঁরা মূল মিছিলে হাঁটতে পারেন নি। মিছিল দামোদর নদের ব্রীজের তেমাথা মোড়ে একটি প্রতিবাদ সভাও হয়। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে উত্তাল জনজোয়ারের মাঝে বক্তব্য রাখেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব। মেহেমুদ খান বলেন প্রায় ৩২ থেকে ৩৫ হাজার মানুষ এই মিছিলে সামিল হয়েছেন।

 তিনি বলেন এই মিছিলই প্রমাণ করে দেয় রাজ্যের মানুষ বিজেপি নামক এই দল বা সরকারকে পছন্দ করেছেন না। তিনি আরো বলেন যদি ১০০ দিনের কাজের বকেয়া প্রদান ও ব্যয় বরাদ্দ না বাড়ানো হয় নেত্রীর নির্দেশে তাঁরা সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেবেন। অলক কুমার মাঝি বলেন জননেত্রীর নির্দেশে এই মিছিল কেন্দ্রের বিভিন্ন বঞ্চনার প্রতিবাদে লড়াই জারি থাকবে। ভূতনাথ মালিক বলেন, এই মিছিল প্রমাণ করে বিজেপির আর কোনো অস্তিত্বই জামালপুরে নেই। অনেক চেষ্টাই তারা করেছিলেন কিন্তু বাংলা শক্ত ঘাঁটি যেখানে তাদের আর কোন ঠাঁই নেই। তাদের বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়াই জারি থাকবে। প্রচুর সংখ্যক গোষ্ঠীর মহিলা এসেছিলেন ঝর্না বেগম শেখ ও ছাত্র পরিষদের সভাপতি বিট্টু  মল্লিকের নেতৃত্বে ছাত্র ছাত্রীরা যোগদান করে। ছাত্র যুব মহিলা সমেত আজকের মহামিছিল সার্থক।