চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

পরিবহন শিল্প কে বাঁচাতে জেলা জুড়ে জাঠা কর্মসূচি


 

পরিবহন শিল্প কে বাঁচাতে জেলা জুড়ে জাঠা কর্মসূচি 


ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্ট, সংবাদ প্রভাতী : পরিবহন শিল্প কে বাঁচাবার ডাক দিয়ে পথে নেমেছে  সিপিআইএম এর শ্রমিক সংগঠন সিআইটিইউ অনুমোদিত বর্ধমান মোটর ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন। সংগঠনের এর পক্ষ থেকে রাজ্য ও কেন্দ্র দুই সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে শুরু হয়েছে পরিবহন ট্যাবলো প্রচার জাঠা। 

আজ সকালে বুদবুদ থেকে পরিবহন ট্যাবলো প্রচার জাঠা কর্মসূচির সূচনা হয়। উপস্থিত ছিলেন সিআইটিইউ পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির সম্পাদক  সুকান্ত কোঙার, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য তরুণ রায়, বর্ধমান মোটর ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন এর সভাপতি নজরুল ইসলাম, সম্পাদক তুষার মজুমদার প্রমুখ। 

সিআইটিইউ নেতৃত্ব বলেন, কেন্দ্রের বিজেপি ও রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের শ্রমিক স্বার্থবিরোধী ও জনবিরোধী নীতির কারণে পরিবহন শ্রমিক, শ্রমজীবী মানুষ সহ সাধারণ মানুষ আজ চরম দুর্দশার মধ্যে রয়েছে। মূল্যবৃদ্ধি ও বেকারি ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে। রাজ্যে কোন শিল্প নেই, সরকারি দপ্তরে নিয়োগ নেই। উভয় সরকারই আমজনতার স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে ধনীদের স্বার্থ রক্ষা করছে। রাজ্যে নারী নির্যাতনের ঘটনা ভয়ংকরভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে মহিলারা নিরাপদ নয়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে ধর্ষকরা উৎসাহিত হচ্ছে। রাজ্যে এমন কোন ক্ষেত্র নেই যেখানে দুর্নীতি চলছে না। জনগণের সম্পত্তির বেপরোয়া লুঠ চলছে। জনজীবনের সমস্যাগুলির সমাধানের পরিবর্তে বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেস মানুষের মধ্যে ধর্ম, ভাষা, জাত ইত্যাদি নিয়ে বিভাজন তৈরি করে মানুষের ঐক্যকে ভাঙতে চাইছে। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের মানুষ মারা নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করা ছাড়া আর কোন রাস্তা নেই।  সি আই টি ইউ ধারাবাহিকভাবে এই দুই সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছে। 

সিআইটিইউ'র পক্ষ থেকে দলমত নির্বিশেষে সমস্ত মানুষের কাছে আবেদন করা হচ্ছে এই দুই সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে। পরিবহন শ্রমিক সহ শ্রমজীবী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যেই বর্ধমান মোটর ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন এই প্রচার জাঠা কর্মসূচির উদ্যোগ নিয়েছে।

জাঠা থেকে দাবি তোলা হয়েছে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির বৃদ্ধির কারণে পেট্রোল, ডিজেল ও পরিবহন শিল্পের যন্ত্রাংশের উপর থেকে সেস প্রত্যাহার করতে হবে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বেসরকারি পরিবহন শ্রমিক সহ আয়কর দেয়না এমন সমস্ত পরিবারকে মাসে ৭৫০০ টাকা ও বিনামূল্যে ৩০ কেজি খাদ্যশস্য দিতে হবে। মোটর ভেকেইলস অ্যাক্ট ২০১৯ প্রত্যাহার করতে হবে। পুলিশি জুলুম ও তোলাবাজি বন্ধ করতে হবে। সরকারি ডিপোতে শুন্যপদে নিয়োগ করতে হবে ও ডিপোর জমি বেসরকারিকরণ করা চলবে না। রাজ্যে সুষ্ঠু পরিবহন নীতি চালু করতে হবে। ৬। বামফ্রন্ট সরকার আমলের সামাজিক সুরক্ষাগুলি চালু করতে হবে। বেসরকারি শ্রমিক/কর্মচারীদের নূন্যতম মাসিক ২১০০০ টাকা মজুরি দিতে হবে। ৮। কৃষকদের ফসলের লাভজনক দাম দিতে হবে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। বেকার যুবকদের কাজের ব্যবস্থা করতে হবে। শূন্য পদে লোক নিয়োগ করতে হবে।

আজ পরিবহন ট্যাবলো প্রচার জাঠা বুদবুদ থেকে শুরু হয়ে গলসি, বর্ধমানের নবাবহাট, গুসকরা, ভাতার, কাটোয়া গিয়ে পৌঁছায়। বৃহস্পতিবার সকালে ছাতনি, সমুদ্রগড় রেল বাজার, কালনা, মেমারি, জামালপুর, শক্তিগড় বাসস্ট্যান্ড, উল্লাস বাসস্ট্যান্ড  হয়ে  সন্ধ্যা ৬টায় বর্ধমান কার্জনগেট এর সামনে এসে শেষ হবে।