চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

সেফ ড্রাইভ ও  সেভ লাইফ নিয়ে একাধিক কর্মসূচি জামালপুরে


 

সেফ ড্রাইভ ও  সেভ লাইফ নিয়ে একাধিক কর্মসূচি জামালপুরে 


অতনু হাজরা, জামালপুর : পূর্ব বর্ধমান জেলার  জামালপুর থানার পুলিশের পক্ষ থেকে সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ নিয়ে একাধিক কর্মসূচি নেওয়া হলো শুক্রবার। মূলত পথ সচেতনতা নিয়ে মানুষকে সচেতন করাই ছিল এর মূল উদ্দেশ্য। জামালপুর থানা থেকে একটি র‌্যালি বের হয় যেটি জামালপুর বাজার হয়ে ঘুরে বাসস্ট্যান্ডে এসে শেষ হয়। সুন্দর সুসজ্জিত ট্যাবলো সহযোগে এই র‌্যালি করা হয়। পথ সচেতনতা মূলক এই র‌্যালিতে পা মেলান এসডিপিও সুপ্রভাত চক্রবর্তী, জামালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রাকেশ কুমার সিংহ, জামালপুর নেতাজি অ্যাথলেটিক ক্লাবের ক্ষুদে সদস্যরা ও জামালপুরের দুটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আকাশ ও ইচ্ছে গ্রুপ। র‌্যালির শেষে বাসস্ট্যান্ডে একটি মঞ্চ করে সেখানে একটি ছোট্ট অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ এর উপরে একটি নৃত্য পরিবেশন করে খুদে শিল্পীরা। পরবর্তীতে জামালপুর থানার অফিসার এবং সিভিক ভলান্টিয়াররা মিলে একটি নাটক মঞ্চস্থ করে যেখানে পথ চলতি মানুষদের একটি সুন্দর বার্তা দেওয়া হয়। যা মোটর সাইকেল আরোহীদের হেলমেট পড়তে উদ্বুদ্ধ করবে। এই মঞ্চের অনুষ্ঠানে সেখানে এসে যোগদান করেন জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহেমুদ খান। সুন্দর অথচ মনোজ্ঞ এই অনুষ্ঠান দেখতে প্রচুর মানুষ ভিড় জমান জামালপুর বাস স্ট্যান্ডে।

দ্বিতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠানে এসডিপিও সুপ্রভাত চক্রবর্তী সহ জামালপুর থানার পুলিশ প্রশাসন এলাকার বাস, ট্রেকার ও অটো ইউনিয়নের সঙ্গে বৈঠক করেন বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায়। এই প্রথম জামালপুর থানার পক্ষ থেকে এই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হলো জামালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রাকেশ কুমার সিং এর উদ্যোগে। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই বার্তা দেওয়া হয় যে আগে মানুষের জীবনের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। এবং যে কোন ধরনের সমস্যায় ট্রেকার বাসের ড্রাইভার খালাসী তাদের পাশে সবসময় প্রশাসন থাকবে সে কথাও বলা হয়। 

এই ধরনের একটা বৈঠক করার জন্য মেহেমুদ খান এসডিপিও সুপ্রভাত চক্রবর্তী এবং জামালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রাকেশ কুমার সিং কে ধন্যবাদ জানান এবং প্রত্যেককে নির্দেশ দেন যে যেভাবে পুলিশ প্রশাসন চাইছে সেই ভাবেই যেন তাদেরকে সহযোগিতা করেন ইউনিয়নের সদস্যরা বা  বাস ট্রেকার এর  ড্রাইভাররা। পুলিশ প্রশাসন তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসায় স্বভাবতই খুব খুশি ইউনিয়ন এর সদস্যরা। ইউনিয়ন এবং প্রশাসনের মেলবন্ধনে সুরক্ষিত হবে সাধারণ মানুষের জীবন যা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় চান।