চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

বর্ধমানের উন্নয়ন ও সৌন্দর্যায়নে নাগরিক কনভেনশনের আয়োজনে খুশি বর্ধমানবাসী


 

বর্ধমানের উন্নয়ন ও সৌন্দর্যায়নে নাগরিক কনভেনশনের আয়োজনে খুশি বর্ধমানবাসী 


ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্ট, সংবাদ প্রভাতী : বর্ধমানবাসীর ভালোবাসার ও গর্বের শহরকে যানজটমুক্ত, জঞ্জালমুক্ত, প্রানবন্ত ও তিলোত্তমা করার লক্ষ্যে বর্ধমান শহরের সাধারণ নাগরিকদের নিয়ে পৌর নাগরিক কনভেনশন অনুষ্ঠিত হলো বর্ধমান সংস্কৃতি লোকমঞ্চ। উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা, জেলা পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন,  কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চ্যাটার্জী, বর্ধমান পৌরসভার পৌরপতি পরেশ চন্দ্র সরকার, বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস, বিডিএ'র চেয়ারম্যান কাকলি তা গুপ্ত, বর্ধমান থানার আইসি সুখময় চক্রবর্তী, বর্ধমান জেলা পরিষদের মেন্টর উজ্জ্বল প্রামাণিক, বর্ধমান পৌরসভা ভাইস চেয়ারম্যান মৌসুমী দাস সহ এমসিআইসি ও অন্যান্য কাউন্সিলরগণ। এছাড়াও ছিলেন শহরের বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ। 

সভার শুরুতেই স্বাগত ভাষণে বর্ধমান পৌরসভার পৌরপতি পরেশ সরকার নাগরিকদের উদ্যেশ্যে বলেন, বর্ধমান ঐতিহাসিক শহর, বর্ধমানবাসীর প্রানের শহর। এই শহরকে সুন্দর ভাবে গড়ে তুলতে পৌরসভার পাশাপাশি নাগরিকদেরও সচেতন হতে হবে। ড্রেনে এবং যত্রতত্র নোংরা আবর্জনা ফেলা বন্ধ করতে হবে। নতুন বাড়ি করার সময় খেয়াল রাখতে হবে পৌরসভার নিয়ম অনুযায়ী জায়গা ছেড়ে রেখে যেন বাড়ি করা হয়। রাস্তার ধার ঘেঁষে বাড়ি করলে পরবর্তী সময়ে জল নিকাশি ব্যবস্থা এবং মানুষজন চলাচলের ক্ষেত্রে চরম সমস্যা তৈরি হয়। তিনি আরও বলেন, বর্ধমান পৌরসভা বিডিএ'র সঙ্গে সমন্বয় রেখে বর্ধমানের উন্নয়ন করবে। বেশি সংখ্যক মানুষের যেখানে দরকার হয় সেই সমস্ত জায়গাগুলোর প্রতি বিশেষ নজর দিয়েই কাজ হবে। বর্ধমান টাউন হলের আমূল সংস্কার করা হবে। তাই আগামী ১৬ মে থেকে টাউন হল ৫ থেকে ৬ মাসের জন্য বুকিং বন্ধ থাকবে। 

বিধায়ক খোকন দাস বর্ধমান শহরে অবৈধ টোটো নিয়ে সরব হন। তিনি ৩৫ টি ওয়ার্ডের একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, আমরা শহরে টৌটৌ নিয়ে সার্ভে শুরু করেছি। এখন পর্যন্ত ২৬ টি ওয়ার্ড সার্ভে হয়েছে। এরমধ্যে ৬০২ টি কোকোর বৈধ কাগজপত্র আছে। বাকি ২১০০ - র বেশি অবৈধ। ৩৫ টি ওয়ার্ডে ৩ হাজার থেকে ৩২০০ অবৈধ টোটো চলছে।‌ এছাড়া বিভিন্ন গ্রাম থেকে এসে বহু টোটো চলে। শহরের রাস্তা জবরদখল নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেন বিধায়ক। বর্ধমান শহরকে কিভাবে যানজট মুক্ত করা যায় খোকনবাবু নাগরিকদের মতামত আহ্বান করেন। পানীয় জল, রাস্তাঘাট সব ক্ষেত্রেই প্রশাসনিক ভাবনা সকলের সামনে উপস্থাপন করেন। বর্ধমান শহরের আইন শৃঙ্খলা সুদৃঢ় করতে, চুরি ছিনতাই রুখতে গোটা শহরে সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। সেজন্য তিনি বিধায়ক কোটা থেকে ১৫ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। পাশাপাশি বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিসি ক্যামেরা বসানোর জন্য আরও ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বর্ধমানবাসীর জন্য একটি এ্যাম্বুলেন্স ও স্বর্গরথ দিয়েছি। শীঘ্রই একটি মোবাইল নম্বর দিয়ে দেওয়া হবে, ওই নম্বরে ফোন করে নাগরিকরা বিনামূল্যে পরিষেবা পাবেন। বিধায়ক খোকন দাস জানান, নাগরিকদের পরিষেবা সংক্রান্ত সমস্যা জানানোর জন্য একটি মোবাইল নম্বর থাকছে। এই নম্বরে ফোন করে সমস্যাবলী জানাতে পারবেন এবং দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থাও করা হবে। নম্বরটি হলো 8001605000 ।

পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন এবং জেলা শাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা বক্তব্য রাখতে গিয়ে বর্ধমান শহরকে সুন্দর ভাবে সাজিয়ে তুলতে সুচিন্তিত মতামত দিয়েছেন। বর্ধমান জেলা আদালতের জিপি মুরারীমোহন কুমার সহ অন্যান্য নাগরিকরা কিছু প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন।