চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

পানীয় জলের দাবিতে পুরনিগমে বালতি নিয়ে বিক্ষোভে সামিল অগ্নিমিত্রা পাল


 

পানীয় জলের দাবিতে পুরনিগমে বালতি নিয়ে বিক্ষোভে সামিল অগ্নিমিত্রা পাল 


কাজল মিত্র, আসানসোল : পুরনিগমের গেটের সামনে জলের দাবিতে বালতি নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। শুক্রবার  বিজেপি কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল আসানসোল পুরনিগমের গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখান। পরে অগ্নিমিত্রা পালের নেতৃত্বে বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল স্মারকলিপি জমা দিতে গেলে মেয়র বিধান উপাধ্যায়,  দুই ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক ও ওয়াসিমুল হক এবং চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় কেউই পুরনিগমে  না থাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। অগ্নিমিত্রা দাবি করেন, যতক্ষণ পর্যন্ত পুর প্রশাসনের কেউ একজন তাদের স্মারক লিপি নিতে উপস্থিত না হন ততক্ষন পর্যন্ত তারা বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন। বেশ কয়েক ঘন্টা পরে ডেপুটি মেয়র ওয়াসিমুল এলে তার হাতে স্মারক লিপি তুলে দেন অগ্নিমিত্রা পাল।

পরে চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাদের দেখা করতে যাওয়ার সময় পুলিশের সঙ্গে বচসার সৃষ্টি হয়। অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, আসানসোল পুরনিগমের অন্তর্গত বেশ কিছু জায়গায় পানীয় জল অনিয়মিত সরবরাহ করা হচ্ছে। কোথাও মধ্যরাতে পানীয় জল দেওয়া হচ্ছে। তার মধ্যে আমার আসানসোল দক্ষিণ বিধান সভা কেন্দ্র রয়েছে। এখানে ৯ টি ওয়ার্ডের ২৫ টিরও বেশি জায়গায় পানীয় জলের সংকট চরমে। নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল হয়ে পড়েছে। তিনি দাবি করে বলেন পুরনিগমের পক্ষ থেকে এক মাসের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার প্রতিশ্রুতি পেয়েছেন। সেই প্রতিশ্রুতি পালন না হলে আগামী দিন বৃহত্তর আন্দোলন হবে বলে বিজেপি বিধায়ক হুমকিও দিয়েছেন। পাশাপাশি এদিন তিনি আরো একবার মেয়রের শপথ গ্রহণের পরে তিনমাস পার হয়ে গেলেও পূর্ণাঙ্গ বোর্ড গঠন না হওয়া নিয়ে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমন করেন। 

অন্যদিকে, অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, যে কোন রাজনৈতিক দল স্মারকলিপি দিতে আসতে পারে। তারজন্য আগে থেকে খবর দিয়ে রাখতে হয়। এই দলের স্মারকলিপি দেওয়া নিয়ে কোন আগাম খবর ছিল না। খবর থাকলে নিশ্চয়ই কোন প্রতিনিধি থাকতেন। স্মারকলিপি প্রসঙ্গে তিনি বলেন পানীয় জলের অভাব কোনও এলাকাতে নেই।  আসানসোলবাসীর কাছে এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা রেল কর্তৃক উচ্ছেদ অভিযান। তিনি আরো বলেন,  হাজার হাজার মানুষ গৃহহারা ও জীবিকা হারা হতে চলেছে রেলের জন্য। সেদিক থেকে নজর ঘোরাতেই বিজেপির এই রকম নাটক বলে তিনি দাবি করেন।  পাশাপাশি পুর চেয়ারম্যান বলেন, নিজেদের টিআরপি বাড়াতে এইসব লোক দেখানো আন্দোলন হচ্ছে।