Scrooling

উচ্চমাধ্যমিক ২০২৫ প্রথম দশে ৭২ জন। প্রথম হয়েছে রূপায়ন পাল। রূপায়ন বর্ধমান সিএমএস হাইস্কুলের ছাত্র। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৭ ( ৯৯.৪ শতাংশ) # ২০২৫ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যে প্রথম রায়গঞ্জের করোনেশন হাইস্কুলের অদৃত সরকার। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৬ নম্বর # ষষ্ঠ সিন্ধু জিব্রাল্টার জয় করে ইতিহাসের পাতায় সায়নী # বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ, শুভেচ্ছা বার্তা পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় # সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ২৫ হাজার ৭৫২ জন শিক্ষকের চাকরি গেল # আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বিজয়ী ভারত, নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে তৃতীয় বারের জন্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হল ভারত # প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রীর শোকজ্ঞাপন # বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাজ্যসভার সাংসদ হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় # 'দাদাসাহেব ফালকে' সম্মানে ভূষিত হলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী

আড়াই'শ বছরের প্রাচীন ধর্মরাজ এর পুজোয় ভক্তদের উপচে পড়া ভিড়


 

আড়াই'শ বছরের প্রাচীন ধর্মরাজ এর পুজোয় ভক্তদের উপচে পড়া ভিড় 


কাজল মিত্র, আসানসোল : ধর্মরাজ পুজো বুদ্ধপূর্ণিমার দিনে অনু্ষ্ঠিত হলেও এই পুজো সম্পন্ন হতে সময় লাগে কোথাও তিনদিন, আবার কোথাও এই পুজো সম্পন্ন হয় চারদিনে। আবার কোথাওবা সাতদিন ধরে চলে এই পুজোর রীতি নীতি। 

বাবা ধর্মরাজ পু্জোর কয়েকদিন আগে থেকেই ভক্তরা উপবাস করতে শুরু করে। বিশেষত বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনে ভক্তদের লোটন, কাঁটা লোটন, দণ্ডি দেওয়া, দেহের বিভিন্ন অংশ ছুঁচ দ্বারা ফোঁড়া, আগুন খেলা, চাবুক মারা  যা বাণফোঁড়া নামে পরিচিত ইত্যাদি ধর্মরাজ পুজোর বিশেষ অংশ রূপে দেখা যায়।সেই দৃশ্যের দেখা মিললো সোমবার রাতে সালানপুর ব্লকের পাহাড়পুর গ্রামে। জানা যায় এই পাহাড়পুর গ্রামে প্রায় আড়াই'শ বছর ধরে বাবা ধর্মরাজ এর পুজো হয়ে আসছে। এই গ্রামে রয়েছে বিভিন্ন জাতির মানুষ যারা একত্রিত হয়ে এই পুজোর কটা দিন আনন্দে কাটান।

প্রায় সাতদিন ধরে চলে এই গ্রামের পুজো। বিশেষত পাহাড়পুর গ্রামের দত্তদের বাড়ী থেকেই এই পুজোর সূত্রপাত। জানা গেছে,  এই গ্রামের বাবা ধর্মরাজ রানীগঞ্জ এর থেকে এই গ্রামে এসে বিরাজমান করেছেন। বহু বছর পূর্বে গ্রামের কোন এক বৃদ্ধা মাঠে মহিষ চড়াতে গিয়ে জলে ডুবে যায় তখন ঐ বৃদ্ধ পরিবারের কাউকে স্বপ্নাদেশ দেয় যে পাহাড়পুর গ্রামের নিচের দিকে একটি পুকুরে বাবা ধর্মরাজ রয়েছে সেখানে ডাবর গ্রামের পুরোহিত নিয়ে ঢাক ঢোল সহকারে যেন বাবাকে নিয়ে আসে আর তারপর থেকেই পাহাড়পুর গ্রামে বাবা ধর্মরাজ এর পুজো আর্চা শুরু হয়। প্রথমে তালবাগড়া দিয়ে আশ্রিত মন্দিরে বাবাকে বিরাজমান করা হয়েছিল। তবে ধীরে ধীরে মন্দির তৈরি করা হয় এবং এই মন্দিরে বাবাকে রেখে পুজো করা হয়। পুজোর এই কটা দিন  দূর দূরান্ত থেকে বহু মানুষ ছুটে আসেন পুজো দেখতে। তাছাড়া প্রথা অনুযায়ী পুজোর দিন পাঁঠাবলি করা হয়। এবং ভক্তরা নির্জলা উপবাস করে থাকে। এবং এই নির্জলা উপবাস করেই তারা লোটন, কাঁটা লোটন, দন্ডি দেওয়া বা দেহের বিভিন্ন অংশে ছুঁচ ফোঁড়া, আগুনে ঝাঁপ দেওয়া করে বাবা ধর্মরাজের পুজো পালন করেন।