চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

অবৈধ কয়লা কারবার রুখতে পুলিশের বিশেষ অভিযান

 


অবৈধ কয়লা কারবার রুখতে পুলিশের বিশেষ অভিযান 


কাজল মিত্র, আসানসোল : ডুবুরডিহি চেকপোস্টে  কয়েকদিন ধরেই চলছে অবৈধ কয়লা কারবার রুখতে বিশেষ অভিযান। ফলে গত পাঁচদিন থেকে বাংলায় ঢোকার ছাড়পত্র নেই কয়লা বোঝাই গাড়ির। বাইরের রাজ্য অর্থাৎ ঝাড়খন্ড থেকে আসা সমস্ত কয়লা ভর্তি ট্রাক গুলিকে আটকে রাখা হচ্ছে তার সাথে সাথে আটকে পড়ছে অন্যান্য যানবাহন। যার কারনে সমস্যার মুখে পড়েছে ভিন রাজ্য থেকে আসা ট্রাক চালকেরা। ঝাড়খন্ড ও ডুবুরডিহি চেকপোস্ট সংলগ্ন প্রধান সেতুর উপর শয়ে শয়ে গাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে। যার ফলে ব্রীজের উপর চাপ সৃষ্টি হচ্ছে আর এতে যেকোন সময় বড়সড় ঘটনা ঘটে যেতে পারে।যদিও সেতুটির বহন ক্ষমতার চেয়ে বেশি ওজন এর ট্রাক এই সেতুর উপর ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে রয়েছে। 

তবে রাজ্য পুলিশ প্রশাসন অবৈধ কয়লার কারবারের রাশ টানতেই বৈধ কাগজ যাচাইয়ের জন্যে ভিন্ন রাজ্য থেকে যে কোনো কয়লা বোঝাই গাড়ি রাজ্যে এলেই তা আটকে দেওয়া হচ্ছে। এরফলে বাংলা ঝাড়খণ্ড সীমান্তের ডুবুরডিহি চেক পোষ্টে একসাথে একাধিক কয়লা বোঝাই গাড়ি রাস্তার উপরেই থেমে থাকছে। আর সময়ে কাগজের বৈধতা যাচাইয়ে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকেও দেরী হচ্ছে। প্রয়োজনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইসিএল, বিসিসিএল,  সিসিএলের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হচ্ছে। তাদের কাছ থেকে মেলের উত্তর যথা সময়ে এসে না পৌঁছানোতে বিপাকে পড়ছেন চালকেরা ৷ যার ফলে পাঁচদিন ধরে লাগাতার রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গাড়ি চালকেরা। এরফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঝাড়খণ্ড পুলিশের সাথে রাজ্য পুলিশের বৈঠকও হয়। কিন্তু কাগজের বৈধতা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে খুব বেশি গতি আসেনি।  বৃহস্পতিবার ডুবুরডিহি নাকা পয়েন্টে এলাকা পরিদর্শণ করেন ডিসি ওয়েস্ট অভিষেক মোদী ।পাশাপাশি এলাকাটিতে সিসি টিভির ব্যবস্থা ক্ষতিয়ে দেখেন। এছাড়াও গাড়ির চালকদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে প্রতি ঘন্টায় যেসব গাড়ির বৈধ অনুমোদন ইসিএল, বিসিসিএল বা সিসিএল থেকে পাওয়া সম্ভব হচ্ছে তাদের তালিকাও প্রকাশ করা হচ্ছে রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে ৷

এসিপি কুলটি সুকান্ত ব্যানার্জী এই অভিযান নিয়ে বলেন তাদের কাছে খবর ছিল কয়েকদিন ধরেই ঝাড়খন্ড থেকে কিছু অবৈধ কয়লা বোঝাই গাড়ি এই পথ দিয়ে আসছিল যেগুলি যাচাই করতেই এই অভিযান। কোন ব্যবসার ক্ষতি করে আমাদের এই অভিযান নয়। ইসিএল, বিসিসিএল থেকে সঠিক তথ্য এলে আমরা গাড়ী গুলি ছেড়ে দিচ্ছি। কারো কোন অসুবিধা হতে দিচ্ছিনা।