চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

জল প্রকল্প নিয়ে পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক তছরূপের অভিযোগ খারিজ করলেন বিডিও

 


জল প্রকল্প নিয়ে পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক তছরূপের অভিযোগ খারিজ করলেন বিডিও 


অতনু হাজরা, জামালপুর :  একটি জল প্রকল্প নিয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুর ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক তছরূপের অভিযোগ ঠিক নয় বলে জানালেন জামালপুর ব্লকের বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার। ঘটনার তদন্তের পর  সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য জানিয়েছেন বিডিও। তিনি জামালপুর ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েত কে কার্যত ক্লিনচিট দিয়ে। আর্থিক তছরূপের অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন।

                                          বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার

ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, ওই  পঞ্চায়েত এলাকার  হালারা  বিপত্তারিণী তলায় মানুষের দীর্ঘদিনের চাহিদা অনুযায়ী পঞ্চায়েত একটি ঠান্ডা পানীয় জলের প্রকল্প গড়ে তোলে। পঞ্চায়েতে রেজুলেশন হয় পঞ্চায়েতের নিজস্ব তহবিল থেকে এই প্রকল্পের খরচ বহন করা হবে। সেই মতো কাজ শেষে প্রকল্পটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। কিন্তু দু'বছর পর সেখানে যে ডিসপ্লে বোর্ড ছিল তাতে লেখা নিজস্ব তহবিলের জায়গায় ফিফটিন্থ সি এফ সি তহবিল লেখা হয়। এর পরেই কানাঘুষো অভিযোগ উঠতে শুরু করে একটি জল প্রকল্পের দু'রকম লেখা কিভাবে হতে পারে ? তাহলে কি দু'বার উদ্বোধন দেখিয়ে আর্থিক তছরূপ হয়েছে ? যদিও এই ঘটনায় কোথাও কোনও লিখিত অভিযোগ হয়নি। তবুও দু'একটি পোর্টাল ও চ্যানেল খবরের সত্যতা যাচাই না করেই আর্থিক তছরূপের অভিযোগ তোলে। 

ঘটনায় অভিযুক্ত করা হয় জামালপুর ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েত-কে। বিষয়টি ব্লক প্রশাসনের নজরে আসতেই বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার দুজনের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। সেই তদন্ত কমিটি জামালপুর ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে তাদের সমস্ত কাগজপত্র এবং ক্যাশ বই পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যবেক্ষণ করেন। পর্যবেক্ষণ করে তারা দেখতে পান এই কাজের জন্য দু'বার পেমেন্ট করা হয়নি। ঘটনাটি টেকনিক্যাল মিসটেক। শুক্রবার বিষয়টি নিয়ে বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তার টিম পর্যবেক্ষণ করে যা তাকে জানিয়েছেন তাতে দুবার পেমেন্ট বা আর্থিক তছরূপ কোনভাবেই হয়নি। কিন্তু পদ্ধতিগত একটি ত্রুটি এক্ষেত্রে থেকে গেছে। কারণ কাজটি প্রথমে পঞ্চায়েতের নিজস্ব তহবিল থেকে দেখানো হয়, কিন্তু পেমেন্টটা করা হয় ফিফটিন্থ সিএফসি তহবিল থেকে। 

যেটি অবশ্যই একটি পদ্ধতিগত ত্রুটি। তিনি বলেন যদিও কোনো লিখিত অভিযোগ তার কাছে জমা পড়েনি সংবাদমাধ্যম থেকে খবর পেয়েই তিনি এই তদন্ত কমিটি গঠন করেন এবং তদন্ত করে তিনি নিশ্চিত হন যে এখানে আর্থিক তছরূপের কোন বিষয় নেই। স্বভাবতই যে অভিযোগ উঠেছিল যে হালারা বিপত্তারিণী তলায় ঠান্ডা জলের প্রকল্পে আর্থিক তছরূপ হয়েছে সেটা সর্বৈব মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়। 

                               শাহাবউদ্দিন মন্ডল - উপপ্রধান

জামালপুর ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শাহাবউদ্দিন মন্ডল জানান, বিরোধীরা চক্রান্ত করে তাকে বা তার পঞ্চায়েত কে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে এটি করেছে। তিনি বলেন, আর্থিক তছরূপের কোন কিছু এ ক্ষেত্রে ঘটেনি। যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল সেটা পঞ্চায়েতের সকল সদস্য এবং পঞ্চায়েতের পুরো টিম সকলে মিলে থেকে রেজুলেশন করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। পদ্ধতিগত ত্রুটির কথা তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, অভিজ্ঞতার অভাবে হয়তো এই ধরনের একটা ভুল হয়ে গেছে। আগামী দিনে এই ধরনের ভুল আর হবে না সে কথাও বলেন। তিনি আরও বলেন কোনো লিখিত অভিযোগ এবিষয়ে জমা পড়েনি। তবুও তদন্তের মাধ্যমে একথা সকল মানুষ জানতে পারবে যে আর্থিক তছরূপের অভিযোগ পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে উঠেছিল তা যে মিথ্যা সেটা অন্তত পরিষ্কার হয়ে গেলো।