চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

নববর্ষে সর্বমঙ্গলা মাতার মন্দিরে মানুষের ঢল


 

নববর্ষে সর্বমঙ্গলা মাতার মন্দিরে মানুষের ঢল 


ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্ট, সংবাদ প্রভাতী : বর্ধমানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সর্বমঙ্গলা মাতার মন্দির প্রাঙ্গণে বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে উপচে পড়ল মানুষের ভিড়। ১লা বৈশাখ উপলক্ষে আজ সকাল পাঁচটায় মন্দিরের প্রবেশ দ্বার খুলে দেওয়া হয়েছিল। সারা বছর যাতে সর্বমঙ্গলা মাতার কৃপায় ভাল কাটে তার ভক্তরা দেবীর কাছে প্রার্থনা জানান। বর্ধমান শহর ছাড়িয়ে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা পুজো দিতে আসেন। এছাড়া বছরের প্রথম দিনে ব্যবসার নতুন খাতা পুজো দিতে বহু ব্যবসায়ী মন্দিরে এসেছিলেন। নববর্ষ উপলক্ষে ভক্ত সাধারণের নিরাপত্তার স্বার্থে মন্দির প্রাঙ্গণের ভিতরে ও বাইরে সি সি ক্যামেরায় নজরদারির সঙ্গে ব্যাপক পুলিশি বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। এছাড়াও মন্দিরের ভিড় সামলাতে এবং ভক্তদের সুবিধা অসুবিধার দিকে নজর রাখতে ভারত স্কাউটস এ্যান্ড গাইডস এর স্বেচ্ছাসেবক, ইন্ডিয়ান রেডক্রশের বর্ধমান শাখার স্বেচ্ছাসেবকদের পাশাপাশি স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক ও বর্ধমান থানার পুলিশও‌ ছিল। 

এদিন পূর্ব বর্ধমান জেলাবাসীর শুভ কামনায় সর্বমঙ্গলা মন্দিরে পুজো দিতে আসেন সস্ত্রীক জেলার পুলিশ সুপার কমনাশিস সেন। এই সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিংহ রায়, ডেপুটি পুলিশ সুপার হেড কোয়ার্টার অতনু ঘোষাল, বর্ধমান থানার আই সি সুখময় চক্রবর্তী সহ জেলা পুলিশের অন্যান্য আধিকারিকরা। এদিন পুলিশ সুপার ছাড়াও নববর্ষের পুজো দিতে মন্দিরে উপস্থিত হয়েছিলেন বর্ধমান পৌরসভার পৌর প্রধান পরেশ চন্দ্র সরকার, বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

শ্রী শ্রী সর্বমঙ্গলা ট্রাস্ট বোর্ডের সম্পাদক সঞ্জয় ঘোষ বলেন, 'বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন প্রতিবছরই হাজার হাজার মানুষ সর্বমঙ্গলা মায়ের কাছে পুজো দিতে মন্দিরে আসেন। দুবছর করোনার কারণে সরকারি বিধিনিষেধ থাকায় মন্দিরে প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু এবছর পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকার ফলে মন্দিরে ভক্তদের ভিড় উপচে পড়েছে। তিনি আরও বলেন, এবছর প্রায় ৫০ হাজার মানুষ নববর্ষের পুজো দিতে মন্দিরে এসেছেন। প্রায় ৮০০ কুপন বিতরণ করা হয়েছিল মায়ের অন্নভোগ সংগ্রহের জন্য।  সব মিলিয়ে প্রায় ১৩০০ ভক্তের মধ্যে অন্নভোগ বিতরণ করা হয়েছে'।

আজ বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আবারও মানুষের ঢল নামে সর্বমঙ্গলা মাতার মন্দিরে। সারা বছরের জন্য মায়ের কাছে আশির্বাদ প্রার্থনায় ভক্তরা আসেন। মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে সকলের হাতে প্রসাদ তুলে দেওয়া হয়।