চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

পাড়ার জঙ্গল পরিষ্কারে নজীর রাখছে বাসিন্দারা


 

পাড়ার জঙ্গল পরিষ্কারে নজীর রাখছে বাসিন্দারা 

ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্ট, সংবাদ প্রভাতী : "আজ মঙ্গলবার। পাড়ার জঙ্গল সাফ করবার দিন। সব ছেলেরা দঙ্গল বেঁধে যাবে। রঙ্গলাল-বাবুও এখনি আসবেন।..........  সঙ্গে নিতে হবে কুড়ুল, কোদাল, ঝাঁটা, ঝুড়ি।......"  কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সহজপাঠের কথাগুলো মাথায় রেখে আজ রবিবার পাড়ার জঙ্গল পরিষ্কার করলো ইছলাবাদ হ্যাচারি মাঠের বাসিন্দারা। 

এই পাড়াটি একেবারে নতুনভাবে শহর বর্ধমানের উপকণ্ঠে গড়ে উঠেছে। বর্ধমান ডেভেলপমেন্ট অথরিটির উদ্যোগে কংক্রিটের রাস্তা কিছু ড্রেন তৈরিও হয়েছে। বাসিন্দাদের উদ্যোগেই রাস্তায় রাতে আলোর ব্যবস্থাও করেছে। সার্বিকভাবে উন্নয়ণের ধারার গতিতে দিনে দিন বেড়েই চলেছে পাড়াটি। এখন কমবেশি একশো পরিবারের বাস। এখানকার বাসিন্দারা শুধু সরকারি পরিষেবা নিয়েই বসে না থেকে তারা ঠিক করেছেন নিজেদের পাড়া নিজেরাই রক্ষণাবেক্ষণ করবেন এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখবেন।  তাই তারা ঠিক করেছেন প্রতি মাসের প্রথম রবিবার পাড়ার জঙ্গল- আবর্জন, ড্রেন নিজেরাই পরিষ্কার করবেন। কারণ এই সুন্দরভাবে গড়ে ওঠা পাড়ারটার মূল সমস্যা চারিদিকে পার্থেনিয়াম গাছে ভরে যায়। এদিন মূলত: পার্থেনিয়াম গাছ কাটার অভিযান ছিলো। 

পাড়ার বয়ষ্করা বেশি উদ্যোগে নিয়ে নিজের নিজের বাড়ি থেকে দা, কোদাল, কাস্তে নিয়ে সকাল সকাল লেগে পড়লেন পার্থেনিয়াম গাছ পরিষ্কারে। সকলের উদ্যোগে সামান্য কাজটাও কত বড় আকারে পরিণত হলো তা এলাকার রাস্তাগুলো দেখলেই বোঝা যাচ্ছে। শুধু কি পাড়ার পুরুষরা এলেন তাই নয় পাড়ার মেয়েরাও সাহায্য করলেন তাদের জল, বাতাসা, চা খাইয়ে। এযেন এক আনন্দ উৎসবে মেতে উঠলো পুরো পাড়া। 

পাড়ার বয়স্ক সদস্য কমল চন্দ্র গায়েন বললেন, আমরা এবার থেকে প্রতি রবিবার সকাল বেলায় পাড়া পরিষ্কার করবো। নিজেদের পাড়া নিজেরা পরিষ্কার করলে যে কি আনন্দ তা বলে বোঝানো যাবে না। সবাই মিলে হাতেহাত মিলিয়ে কাজ করলাম। 

পাড়ার আর একজন অবসর কর্মী দেবদাস বালা জানালেন,  যদি পাড়াটা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে তাহলে বাইরে থেকে কেউ এলে যেমন প্রশংসা করবেন ঠিক তেমনি আমাদেরও বাড়ির ছেলে মেয়েরা অনেক সুস্থ পরিবেশে বাস করতে পারবে। গ্রাম পঞ্চায়েতের মাঝেমধ্যেই ১০০ দিনের কাজে কিছু কিছু পরিষ্কার করে তবুও আমরা নিজেরাই এই উদ্যোগ নিলাম। এটা আমরা নিয়মিত চালিয়ে যাবার চেষ্টা করবো। 

একাজের অন্যতম উদ্যোগী শিবেশ চট্টরাজ জানালেন, আমাদের স্থানীয় পঞ্চায়ের সদস্য মিতা দাস আমাদের এই পাড়া গড়ে তুলতে খুবই আন্তরিক, প্রতি কাজে এগিয়ে আসেন। ওনার সহযোগিতা পেয়ে আমরা সব কাজে নামতে পারি। আজও এইকাজে ওনার সাপোর্ট পেয়েছি। সবাই মিলে এই কাজ করলাম। খুব ভালো লাগছে। সবাই যদি এইকাজে সামিল হয় দেখবেন আমাদের আশপাশটা অনেক পরিষ্কার থাকবে।