চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

বিদায় সম্বর্ধনায় আপ্লুত জেলা খাদ্য নিয়ামক


 

বিদায় সম্বর্ধনায় আপ্লুত জেলা খাদ্য নিয়ামক 


ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্ট, সংবাদ প্রভাতী :  পূর্ব বর্ধমান জেলার খাদ্য নিয়ামক আবির কুমার বালি বদলি হলেন রাজ্যের খাদ্য ভবনে। তাঁর জায়গায় আসছেন হুগলি জেলা থেকে অসীম কুমার নন্দী। সোমবার বিদায়ী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবির কুমার বালিকে সংবর্ধনা জানাতে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বর্ধমান ডিস্ট্রিক্ট রাইস মিলস অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আবির বাবুকে বর্ধমান ডিস্ট্রিক্ট রাইস মিলস অ্যাসোসিয়েশন ছাড়াও সংবর্ধনা জানায় জেলা এম আর ডিস্ট্রিবিউটর এসোসিয়েশন, ফ্লাওয়ার মিল অ্যাসোসিয়েশন। 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান ডিস্ট্রিক্ট রাইস মিলস অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী সভাপতি আব্দুল মালেক সহ সংগঠনের কর্মকর্তা রাজকুমার শাহানা, কাঞ্চন সোম, জেলা এম আর ডিস্ট্রিবিউটর অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কিরণশঙ্কর মন্ডল সহ মুজিবর রহমান, ফ্লাওয়ার মিল অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সঞ্জয় দত্ত প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বর্ধমান ডিস্ট্রিক্ট রাইস মিলস অ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ কাঞ্চন সোম।

জেলার বিদায়ী খাদ্য নিয়ামক আবির কুমার বালি বিভিন্ন সংগঠনের দেওয়া সম্বর্ধনায় আপ্লুত। তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, তিন বছর পূর্ব বর্ধমান জেলায় জেলা খাদ্য নিয়ামক পদে কাজ করার সুবাদে অনেক কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে। বিশেষ করে করোনা অতিমারি সময়ে রাইস মিলাররা নিজেদের মুনাফার কথা না ভেবে তাঁর আহ্বানে  সাড়া দিয়ে যে ভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে গনবন্টন ব্যবস্থাকে সচল রেখেছিলেন এটা তাঁর চাকরি জীবনে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। সকলের সহযোগিতা ছাড়া করোনা কালের কঠিন পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হতো না।

বর্ধমান ডিস্ট্রিক্ট রাইস মিলস অ্যাসোসিয়েশন এর কার্যকরী সভাপতি আব্দুল মালেক বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেলা খাদ্য নিয়ামক আবির কুমার বালি'র ভূয়ষী প্রশংসা করেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প খাদ্যসাথী পূর্ব বর্ধমান জেলায় বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে রাইস মিলার সংগঠন ও ডিস্ট্রিবিউটর সংগঠনের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছেন আবির বাবু।  আব্দুল মালেক আরও  বলেন, আবির বাবু  একজন সৎ ও দক্ষ খাদ্য নিয়ামক ছিলেন। পূর্ব বর্ধমান জেলা তাঁর মতো একজন মানবিক অফিসারের সাহচর্য থেকে বঞ্চিত হবে। তাঁর সময়কালে আমরা অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে কাটিয়েছি। তাই আজও তাঁকে আনন্দের সঙ্গেই বিদায় সম্বর্ধনা জানাচ্ছি।