চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

আকাশের নতুন প্রজেক্ট গরীব পাড়ায় পাঠশালা


 

আকাশের নতুন প্রজেক্ট গরীব পাড়ায় পাঠশালা 


অতনু হাজরা, জামালপুর : পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'আকাশ'। কলেজ পড়ুয়া কতগুলি ছেলে মেয়ে সারা বছর এই সংগঠনের মাধ্যমে নানা সামাজিক কাজ করে থাকে। কখনো বন্যায় দুর্গতদের জন্য ত্রাণ নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ছুটে যাওয়া, কখনো কোভিড পরিস্থিতিতে মানুষের বাড়িতে বাড়িতে খাবার ও ওষুধ পৌঁছে দেওয়া, অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌঁছে দেওয়া, কখনো অনুষ্ঠান বাড়ির বেঁচে যাওয়া খাবার অসহায় গরীব দুঃস্থ মানুষদের কাছে পৌঁছে দেওয়া, পরিবেশ সুরক্ষাকে সামনে রেখে বিভিন্ন ধরনের খেলা পরিচালনা করা, রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা, প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষের বই পড়ার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে ভ্রাম্যমান লাইব্রেরী চালু করা। সারা বছর ধরে এই রকম নানা কাজ তারা করে থাকে। আজ তারা নতুন একটি প্রজেক্ট শুরু করল যার নাম 'পাঠশালা'। জামালপুরের ই কানঘুষা গ্রামের পিচ রাস্তার সন্নিকটস্থ কতগুলি উদ্বাস্তু পরিবার বসবাস করে। তাদের ছেলেমেয়েরা বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করলেও উপযুক্ত প্রাইভেট দেওয়া বা অন্যান্য পরিষেবা দেবার মত অর্থনৈতিক পরিকাঠামো এই পরিবারগুলির নেই। এমনকি অনেক বয়স্ক মানুষ আছেন যারা পড়াশোনা জানে না নিজের নাম সই করতে পারেন না। সেই তাদের সাহায্য করতে এগিয়ে এলো আকাশ। সেই এলাকার একটি পরিত্যক্ত ঘরকে ছিঁটেবেড়া কাঠামো দিয়ে পরিষ্কার করে সেটা কেই তাঁরা পাঠশালা হিসেবে ব্যবহার করছে। এখানেই তাঁরা ছাত্রছাত্রীসহ বয়স্ক মানুষগুলোকে পাঠদানের ব্যবস্থা করবে। পাঠশালার উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন জামালপুরের বিধায়ক অলোক কুমার মাঝি, বিশিষ্ট সমাজসেবী হাফিজুর রহমান, বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা ও আকাশ  স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সভাপতি অয়ন চক্রবর্তী সহ সকল সদস্যরা।

 বিধায়ক অলোক কুমার মাঝি বলেন আকাশ এই সংগঠনটি বিভিন্ন সামাজিক কাজ সারা বছর ধরে করে থাকে এবং তাদের আজকের এই প্রয়াসকে তিনি ধন্যবাদ জানান। অসহায় এই পরিবারগুলির এবং ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের টিউশনের যে ব্যবস্থা তারা করেছে এর জন্য আকাশ সংগঠনের প্রশংসা করেন। সংস্থার সভাপতি অয়ন চক্রবর্তী জানান, সারা বছর ধরে তারা বিভিন্ন সামাজিক কাজ করে থাকেন। এই সুকুমার মতি ছোট ছোট ছেলে মেয়ে গুলোকে এবং যারা নিজের নাম টুকু পর্যন্ত সই করতে পারেন না এমন মানুষদের কে সাহায্য করতে পেরে তাঁরা নিজেদের ধন্য বলে মনে করছেন। 

পরবর্তীতে গোটা ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ করে পিছিয়ে পড়া জায়গায় তাদের এই পাঠশালা খোলার চিন্তাভাবনা রয়েছে বলে তিনি জানান।সাথে সাথে তিনি আরও বলেন বিভিন্ন কাজ করতে তাদের অর্থনৈতিক ভাবে খুব সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে, এলাকার সকল স্তরের মানুষের কাছে আবেদন রাখেন তাদের অর্থনৈতিক ভাবে সাহায্য করার জন্য। এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের হাতে সিলেট, পেন্সিল, খাতা এবং পেন তুলে দেয় তাঁরা। তাদের এই কাজের প্রশংসা করছে এলাকার মানুষ।