বাংলায় প্রথম টেলাডোক পদ্ধতিতে চিকিৎসা পরিষেবা কলকাতায়
🟣 মোল্লা জসিমউদ্দিন, কলকাতা
➡️ দক্ষিণ ভারতের পর পশ্চিমবঙ্গে সর্বপ্রথম টেলাডোক কনসাল্টেশন ক্লিনিক চালু হলো কলকাতায়। রবিবার দুপুরে কলকাতার ৭৭ নং ইলিয়ট রোডে মীনাক্ষী মিশন হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে এই পরিষেবার সূচনা হয়। সুপ্রিম কোর্টের বাঙালি বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ক্লিনিকের শুভ উদ্বোধন করেন। টেলাডোক প্রযুক্তিতে চিকিৎসা মীনাক্ষী মিশন হাসপাতালের ক্লিনিকে চালু হওয়ার ফলে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ উপকৃত হবেন। এবার কলকাতা থেকে তামিলনাড়ুর মীনাক্ষী মিশন হাসপাতালের চিকিৎসকরা সরাসরি রোগীদের সঙ্গে কথা বলবেন, তাঁদের সমস্যা জানবেন। তা দেখে মেডিসিন ব্যবহার বা প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও অন্যান্য পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেবেন। ভারতবর্ষে এই প্রথম কলকাতায় ওই হাসপাতালের তরফে বসানো হল ‘টেলাডোক’ প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তির মাধ্যমেই মেডিকেলের সমস্ত বিভাগের চিকিৎসা এখান থেকেই নিতে পারবেন রোগীরা।
রবিবার টেলাডোক মেশিনের উদ্বোধনে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায় । ছিলেন মীনাক্ষী মিশন হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডাঃ এস গুরুশঙ্কর এবং রাজ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নারায়ন স্বরূপ নিগম। এদিন তাঁরা এই প্রযুক্তির ব্যবহার ও গুরুত্ব তুলে ধরেন। পশ্চিমবঙ্গ, আসামের মানুষদের আর তামিলনাড়ুর মাদুরাইয়ে ছুটতে হবে না। এবার মহানগর কলকাতা থেকেই চিকিৎসা পরিষেবা নেওয়ার সুযোগ থাকছে রোগীদের। এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতি থাকাকালীন তামিলনাড়ুর এই মীনাক্ষী মিশন হাসপাতালের চিকিৎসা বিশেষত শিশুদের ক্যান্সার চিকিৎসার পদ্ধতি দেখে মুগ্ধ হয়েছিলাম। স্বল্প খরচে এরা মানবিক চিকিৎসা করে থাকে। যা বর্তমানে দুর্লভ"। প্রসঙ্গত বিচারপতির দাদুও ছিলেন একজন সুচিকিৎসক।