চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

নারী দিবসে নানা অনুষ্ঠান জামালপুরে


 

নারী দিবসে নানা অনুষ্ঠান জামালপুরে 


অতনু হাজরা, জামালপুর : আন্তর্জাতিক নারী দিবসে জামালপুর ব্লক মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস এলাকার মহিলাদের নিয়ে একটি ছোট অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। জামালপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের জামালপুর ব্লক সভাপতি মেহেমুদ খান, যুব সভাপতি ভূতনাথ মালিক, ব্লকের মহিলা নেত্রী তথা পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মিঠু মাঝি, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি বিট্টু মল্লিক সহ জয়দেব দাস, লাল্টু পাত্র,  হাফিজুল ইসলাম এবং আরো অনেকে। 

আন্তর্জাতিক নারী দিবস মানে একদিনই নারীদের সম্মান করা আর বাকি দিন তাদেরকে অসম্মান করা ব্যাপারটা এমন নয়। নারীদেরকে সমাজের সমান অধিকার দেওয়া এবং তাদের স্বীকৃতি দেওয়া তাদের সম্মান দেওয়া তাদের শ্রদ্ধা করা এটাই নারী দিবসের মূল বিষয় হওয়া উচিত।

 বক্তব্য রাখতে গিয়ে মহিলা নেত্রী মিঠু মাঝি বলেন, আজকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শুধুমাত্র মহিলাদের স্বনির্ভর করার জন্য একাধিক প্রকল্পের সূচনা করেছেন। যাতে মহিলারা পিছিয়ে না থাকেন। মেহেমুদ খান বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা তাই তিনি মহিলাদের সম্মান প্রতিষ্ঠার জন্য বা মর্যাদা দিতে বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে এসেছেন। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, সবুজ সাথী এমনকি সর্বশেষ লক্ষী ভান্ডার এই প্রকল্পগুলোর সুবিধা পেয়ে মহিলারা স্বনির্ভর হতে পেরেছে। মহিলাদের নামে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড মহিলাদের গুরুত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।  আজকের দিনে প্রত্যেক মহিলাকে সম্মান করা উচিত। ভূতনাথ মালিক বলেন, নারীদের অধিকার রক্ষায় নারীদের মর্যাদা রক্ষায় এই দিনটির বিশেষ তাৎপর্য আছে। অনুষ্ঠানের শেষে নারীদের সম্মান এবং মর্যাদা প্রদানের সঙ্গে বস্ত্র বিলি করা হয়।

   অন্যদিকে জামালপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সাহাবউদ্দিন মন্ডল ওরফে পাঞ্জাব যিনি এলাকায় বিশেষ কাজের মানুষ হিসাবেই পরিচিত। তিনি চেতনা মহিলা কল্যাণ সমিতি নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে নিয়ে তারই পঞ্চায়েতের অন্তর্গত সেলিমাবাদ দয়ের ধার নামক আদিবাসী পাড়ায় প্রায় ২৫ জন শিশুর পড়াশোনার দায়িত্ব আজ থেকে গ্রহণ করলেন।  সাহাবুদ্দিন বাবু জানান, আজ থেকে এই বাচ্চাদের পড়াশোনার দায়িত্ব তাদের টিউশন দেওয়ার দায়িত্ব সবই তাঁরা গ্রহণ করবেন। শুধু তাই নয় এছাড়াও এই এলাকায় যত স্কুল ছুট বাচ্চা আছে তাদেরও দায়িত্ব নিয়ে বিদ্যালয়ে ভর্তি করাবেন। ধীরে ধীরে এই কাজ তারা সমগ্র পঞ্চায়েতের মধ্যেই ছড়িয়ে দেবেন।