চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

বামপন্থীদের আইন অমান্য আন্দোলনে উত্তেজনা


 

বামপন্থীদের আইন অমান্য আন্দোলনে উত্তেজনা 


ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্ট, সংবাদ প্রভাতী : বীরভূমের রামপুরহাটে পুড়িয়ে মারার ঘটনার প্রতিবাদ সহ ১২ দফা দাবিতে বামপন্থীরা আইন অমান্য আন্দোলনে সামিল হয়। মঙ্গলবার এই আইন অমান্য আন্দোলন ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় শহর বর্ধমানে। পূর্ব বর্ধমান জেলা বামপন্থী গণসংগঠণের ডাকে আইন অমান্য আন্দোলনে কয়েক হাজার মানুষ যোগ দিয়েছিল। বর্ধমান রেল স্টেশন থেকে মিছিল করে এসে কার্জনগেটে আইন অমান্য করে তারা। কার্জনগেটে পুলিশের একটি ব্যারিকেড ভেঙে দেয় আন্দোলনকারীরা। দ্বিতীয় ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা হলে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের আটক করে। আইন অমান্য কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন কৃষক সভার রাজ্য সম্পাদক  অমল হালদার, সিপিএমের পূর্ব বর্ধমান জেলা সম্পাদক সৈয়দ হোসেন, জেলা নেতা তাপস সরকার সহ অন্যান্যরা।

এদিন বর্ধমানের কার্জন গেটের সামনে একটি বিক্ষোভ সমাবেশও করে আন্দোলনকারীরা। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে নেতৃত্ব বলেন, একদিকে মোদী সরকার গোটা দেশটাকে বিক্রি করে দিতে চাইছে। একের পর এক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিক্রি হচ্ছে। পেট্রোপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। কৃষকদের সঙ্গে ধোঁকাবাজি সব মিলিয়ে দেশটা ছারখার হয়ে যাচ্ছে। গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে আগামী ২৮ ও ২৯ মার্চ দেশ জুড়ে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বামপন্থী শ্রমিক সংগঠনগুলি। এদিনের বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে সাধারণ ধর্মঘট সফল করার ডাক দেয় আন্দোলনকারীরা। 

বামপন্থী নেতৃত্ব আরও বলেন, দেশ রসাতলে গেলেও রাজ্যের শাসক দলের হুঁশ নেই। তাদের নেতা কর্মীরা তোলা বাজি, খুন খারাবি করতে ব্যস্ত। রাজৈরে আইনের শাসন বলে কিছু নেই। ছাত্র নেতা আনিশ খান হত্যা, রামপুরহাটে পুড়িয়ে মারার ঘটনা সেই কথাই বলে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়ছে, বেকারত্ব বাড়ছে, সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জুলুম বাজি। কার্যত বাধ্য হয়েই  রাস্তায় নামতে হলো বামপন্থীদের। অমল হালদার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, পুলিশ দিয়ে বামপন্থীদের আন্দোলন রোখা যাবে না।