Scrooling

হাঁপানি ও অ্যালার্জিজনিত সমস্যায় ভুগছেন ? বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ অয়ন শিকদার আগামী ২৫ আগস্ট বর্ধমানে আসছেন। নাম লেখাতে যোগাযোগ 9734548484 অথবা 9434360442 # টি টোয়েন্টি ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট ২০২৪ : ভারতের বিশ্ব রেকর্ড, প্রথম থেকে শেষ সব ম্যাচে ভারতের জয় # কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন আউসগ্রামের বিউটি বেগম # নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রীসভায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে শপথ নিলেন ডঃ সুকান্ত মজুমদার ও শান্তনু ঠাকুর # আঠারো তম লোকসভা ভোটের ফলাফল : মোট আসন ৫৪৩টি। NDA - 292, INDIA - 234, Others : 17 # পশ্চিমবঙ্গে ভোটের ফলাফল : তৃণমূল কংগ্রেস - ২৯, বিজেপি - ১২, কংগ্রেস - ১

গণতন্ত্রের বিপদ


 

গণতন্ত্রের বিপদ 


🟣  দিলীপ রঞ্জন ভাদুড়ী 


➡️  পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষনা হলো। গেরুয়া ঝড়ের বন্যা বয়ে গেল। কিন্তু, যে অশনি সঙ্কেত বয়ে আনল, তা ভাবলে রাতের ঘুম চলে যাবে। বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ভারতে বর্তমান। মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি সর্ব ভারতীয় দল ও প্রাদেশিক দল ভারতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। যাঁরা জন সমর্থন হারিয়ে প্রায় পঙ্গু হবার মুখে  তাঁরা আবার দলের নৈতিকতা, আদর্শ, ইতিহাস, মতবাদ বিসর্জন দিয়ে জোট বাঁধে। সব রাজনৈতিক দলগুলি কম বেশি চারিত্রিক ও নৈতিক দৃষ্টি হীনতায় ভোগে। 

প্রতিটি ভোটের আগে প্রতিশ্রুতির বন্যা বয়ে যায়।  ভারত স্বাধীন হবার পর থেকে সাধারণ মানুষ ভোট দিতে দিতে ক্লান্ত। প্রতিটি ভোটের আগে রাজনৈতিক দলগুলি এক একটি স্লোগান এনে চমক দিয়েছে। যেমন গরিবী হটাও, জয় জোয়ান জয় কিষান এসব। এক একটি দল সাফল্য পেয়েছে পুরনো দিনে। এখন রাজনৈতিক দুনিয়ায় ভাষা সন্ত্রাস একটি জায়গা করে নিয়েছে। পারস্পরিক সম্মান প্রদর্শন  আজকাল বিলুপ্ত। কথায় কথায় ট্যুইট, একে অপরের কুৎসা করা অসংসদীয় ভাষা ব্যবহার এসব এখন রাজনৈতিক নাটকীয়তার অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এক অদ্ভুত বিধিব্যবস্থা বর্তমান। সবার  লক্ষ্য বিরোধী হীন এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা। এটাই হল গণতন্ত্রের বিপদ। ভারতীয় সংবিধানে যে কোন প্রস্তাবে কি প্রদেশ, কি দেশ সর্বত্র সংখ্যাধিক্য দেখা হয়। এখানেই জনবিরোধী  যে কোন বিধির বিরুদ্ধে বিরোধী দলের একটি বড় ভূমিকা থাকে। এই এক দলীয় চিন্তা ধারা স্বৈরতন্ত্রের পক্ষে চলতে সাহায্য করে, এক দলীয় শাসন ব্যবস্থায়। এটা কয়েক বছর যাবৎ আমরা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। কেন্দ্রে বিরোধী দল, নামে মাত্র বর্তমান ও রাজ্যেও তাই। জনগণের ওপর যা খুশি চাপিয়ে দেওয়া খুব সহজ হয়। 

বর্তমান সময়ে আমরা কেউ ভাল নেই। ভোট দেবার স্বাধীনতা ছাড়া আমাদের আর কিছু নেই। মাঝে মধ্যে সেই স্বাধীনতাও থাকছে না। কোথাও কোন যোগ্য স্বচ্ছ বিকল্প নেই। ফলে এক দলীয় শাসন প্রবণতা দেখা দিয়েছে। মেধা দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। কারন,মেধা সম্মান পাচ্ছে না। মানুষের দারিদ্র, ক্ষুধা, অভাব, বাঁচার নূন্যতম চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। অপরাধ জগৎ জাল বিস্তার করছে, যুব সম্প্রদায় বিপথগামী হচ্ছে,  বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদছে। সাধারণ মানুষের বোবা কান্না কেউ শুনতে পাচ্ছে না। সব কিছুই এখন রাজনৈতিক দৃষ্টিতে বিচার হয়। জি ডি পি বৃদ্ধি হচ্ছে,  বেকারত্ব কমছে, দেশ উন্নত হচ্ছে, খাদ্যের অভাবে কেউ মরছে না, আমরা আপনার পাশে আছি, প্রকল্পের পর প্রকল্প  এসব এখন ঘোমটা ছাড়া আর কিছু নয়।  আমরা যে কূলে সেই কূলেই আছি। 

দলবদল এক কুৎসিত প্রথা। নেতারা ভোটারদের প্রতারনা করে অবলীলায় অন্য দলে চলে যাচ্ছে। উচ্চাকাঙ্খা নীতি ও বোধশক্তি কে গ্রাস করছে। সাধারণ গরিব ঘরের থেকে উঠে আসা নেতারা প্রাচুর্য ভোগ করছে। তাই ২০২৪ সালে দেশের মসনদে কে আসবে সেটা বড় কথা নয়, বকলমে একদলীয় ব্যবস্থা কায়েম হলে গোটা দেশটাই শেষ হয়ে যাবে। এত বড় দেশে কি হবে, কে জানে। জনগণের দ্বারা সরকার গঠন হলেও জনগণের কিছু বলার থাকবে না। 

লেখক : আইনজীবী ও অবসরপ্রাপ্ত ডেপুটি পুলিশ সুপার