চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

কুমুদ মেলায় ভোলানাথ ভাদুড়ী রত্ন সম্মাননা ও কিছু কথা



কুমুদ মেলায় ভোলানাথ ভাদুড়ী রত্ন সম্মাননা ও কিছু কথা 


🟣  দিলীপ রঞ্জন ভাদুড়ী


➡️ মঙ্গলকোট থানার অন্তর্গত অজয় নদের তীরে কোগ্রামের মধুকর প্রাঙ্গণে ৩ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়ে গেল " কুমুদ সাহিত্য মেলা"। মেলা কমিটির সম্পাদক মোল্লা জসিমউদ্দিন, আমাকে উপস্থিত থাকবার জন্য আমন্ত্রণ করেছিলেন। এই মেলায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুণীজনদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। এবার আমার মেজভাই ভোলানাথ ভাদুড়ী'র নামে একটি সম্মাননা চালু করেছে কুমুদ মেলা কমিটি।  আমার চাকরী জীবনের সহকর্মী, বর্তমানে আসানসোলে এ সি পি পদে কর্মরত পুলিশ আধিকারিক অমিতাভ সেন-কে "মৃত্যুঞ্জয়ী"  হিসেবে ভোলানাথ ভাদুড়ী রত্ন প্রদান করা হয়। আমার ভাই ভোলানাথ ভাদুড়ী হুগলী জেলার ভদ্রেশ্বর থানার বড়বাবু ছিলেন। সেই সময় বাণীব্রত  বসু আই পি এস পুলিশ সুপার ছিলেন। আমি সেই সময় হিরাপুর থানার সি আই পদে ছিলাম। আমার সেজ ভাই বৈদ্যনাথ ভাদুড়ী তখন কুচবিহার কোর্টের ম্যাজিস্ট্রেট। সাগর দীঘি ম্যাজিস্ট্রেটদের হাউজিং এ থাকত। আমার ছোট ভাই অভিরঞ্জন ভাদুড়ী তরাই তারাপদ হাই স্কুলের ভূগোলের শিক্ষক। আমার মা শিলিগুড়ি তে ছোটভাইযের সাথে তখন থাকতেন।  ১৯৯৭ সালের ১৯ শে ফেব্রুয়ারি আমাদের জীবনে কালোদিন বয়ে এনেছিল। সেই রাতে কয়েকজন  সহ কর্মী সহ টহলদারিতে বেরিয়ে ছিল। সেই সময় কর্তব্যরত অবস্থায় আমার ভাই ভোলানাথ উরুতে গুলি খায় ও অনেকক্ষন চাঁপদানিতে সড়কের উপর পড়েছিল। রক্তে লাল হয়ে যায় রাস্তা। জানতে পারি চক্রবর্তী বাবু বলে একজন এ এস আই  হাতে গুলি খেয়ে জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। বর্ধমান থানায় আমার সাথে চাকরি করার সুবাদে পরিচয় ছিল। সেদিন মধ্যরাতে আমি ফোনে একজন অতি প্রিয় ভাতৃপ্রতিম  শুভাকাঙ্খীর কাছ থেকে এই দুঃসংবাদ পাই। আমি হিরাপুরে চাকরী করি রেঞ্জ ডি আই জি এবং হুগলী জেলার পুলিশ সুপার জানতেন। শুনেছি বর্ধমান কন্ট্রোল রুমে খবর পাঠিয়ে ছিলেন।  কিন্তু কেউ সেদিন আমার সাহায্যে এগিয়ে আসেননি। আমি মাননীয় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়ন্ত কুমার বসু আই পি এস ও পুলিশ সুপার গৌরব দত্ত ,আই পি এস সাহেব কে জানিয়ে ভাড়া গাড়ীতে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ভদ্রেশ্বর থানায় রওনা হয়েছিলাম।

তখন ওখানে প্রতিবাদে মুখর সবাই। রাস্তা অবরুদ্ধ। প্রায় বন্ধের পরিবেশ। পরিচয় দেবার পর আমাকে কেউ আটকায়নি। আমি ঘটনার রাত শেষে সকাল ১০ টা নাগাদ ভদ্রেশ্বর থানায় পৌঁছলাম। তখন আমার ভাইয়ের নিথর দেহ দেখতে পেলাম। দেহ দেখে থানায় ঢুকতেই মাননীয় আই জি,পশ্চিম বঙ্গ বিভাগ বড়বাবুর ঘরে হাজির ছিলেন। তাঁর সাথে দেখা করলাম। তিনি আমাকে সমবেদনা জানিয়েছিলেন। এরপর রেঞ্জ ডি আই জি সাহেব ডেকে আমাকে সমবেদনা জানালেন। তারপর আমি আমার মেজবৌমার সাথে দেখা করে আবার ফিরে এলাম। সাধারণ পুলিশ বন্ধুরা সেদিন আমায় সমবেদনা জানিয়েছিল। সুরতহাল প্রস্তুত করে হাসপাতালে চলে গেল মৃতদেহ। আমাকে হাসপাতালে যেতে হল। পোস্টমর্টেম হয়ে যাবার পর আমাকে মৃতদেহ বুঝে পেলাম বলে লিখতে হল। তারাপদ আমার ব্যাচমেট ডি ই বি ইন্সপেক্টর সন্তোষ নন্দী আমাকে তাঁর অফিসে নিয়ে যথা সম্ভব সমবেদনা জানিয়ে ছিল। সন্তোষ আর নেই, আমাদের ফাঁকি দিয়ে চলে গেছে।  সেখানে আমার ব্যাচমেট দেবী দত্ত এসে আমার কাছে সাহায্যে এগিয়ে এসেছিল। সেও আমাদের ছেড়ে চলে গেছে শুনেছি। তখন বাম আমল। শোক সভা শেষে ফিরলাম থানায়। আমি থানার এক সাব ইন্সপেক্টর এর সাহায্যে আমার ভাইকে দুঃসংবাদ এক রাইস মিল থেকে ফোনে জানাই। মা কে মৃত্যূ সংবাদ দিতে না করেছিলাম। গভীর রাতে দীর্ঘ  রাস্তা পাড়ি দিয়ে আমার মা, দুই ভাই এসে পৌঁছায় ভদ্রেশ্বরে। আমার দুঃখিনী মা পাগলের মত ভোলার দেহ হাতিয়ে কাঁদছিলেন। মাননীয় হুগলী পুলিশ সুপার সহ অন্যান্য উর্ধ্বতন অফিসার গন আমার মা ও দুই ভাইকে মৃতদেহ শেষ দেখার জন্য বহু রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিলেন ও মৃতদেহ দাহ পর্যন্ত শ্মশানে উপস্থিত ছিলেন, এর জন্য তাঁদের প্রতি আমি চির কৃতজ্ঞ ও বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। 

আমার ভাই ভোলা কুচবিহার আচার্য্য ব্রজেন্দ্রনাথ কলেজের ছাত্র ছিল। বাংলায় অনার্স নিয়ে বি এ পাশ করেছিল। পড়াশুনায় তুখোড় ছাত্র ছিল। সেবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলায় কেউ ফার্স্ট ক্লাস পায় নি। ভোলা সেকেন্ড ক্লাস ফার্স্ট হয়ে রৌপ্য পদক পেয়েছিল। আমার ভাই মাল আদর্শ বিদ্যালয়ে ( হাই স্কুল) মালবাজার থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে কলেজে ভর্তি হয়েছিলো। তখন আমি ঐ জেলায় চাকরী করতাম। বাবা মা তখন মালবাজার ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। সংসারে অভাব ছিল। আমার পাশে থাকবার জন্য মালবাজারে নিজের স্কুলেই শিক্ষকতা শুরু করেছিল। ওই স্কুলের কৃতি ছাত্র হিসেবে চাকরী পেয়েছিল। অল্পদিনেই স্কুলের সহ শিক্ষক ও ছাত্রদের মধ্যে অত্যন্ত প্রিয় হয়ে উঠেছিল। কিন্তু, আমাকে দেখে ও পুলিশের চাকরী করবেই মনস্থ করে ফেলেছিল। প্রথমবার আমাকে না বলেই সাব  ইন্সপেক্টর পদের জন্য আবেদন করেছিল। কিন্তু, আমার ভাই জানতে পেরে কুচবিহারে রিজার্ভ অফিসার ওকে মাপে কম দেখিয়ে বাতিল করে দেয়।       

আমি এই খবর পাবার পর ওকে পুলিশের চাকরী না করার জন্য বার বার বলেছিলাম। শিক্ষকের চাকরী পুলিশের চাকরী থেকে অনেক বেশী মর্যাদার। কিন্তু, ও ছিল নাছোড় বান্দা। দ্বিতীয় বছর আবার পরীক্ষা দেয় ও পুলিশ বিভাগেই চলে আসে। পুলিশের চাকরীর মধ্যেই নানা ধরনের বিদ্যাচর্চা চালিয়ে যেত। খুব ভাল হস্ত রেখা,ও আনুষঙ্গিক জ্যোতিষ বিদ্যায় পারদর্শী ছিল। যাঁকে যা বলেছে, তা মিলে যেতে দেখেছি। ঠিকুজি কোষ্ঠী অনায়েসেই করে দিত। ধর্মকর্মে মন ছিল। ওর পীঠে শিড়দাঁড়ার ঠিক মধ্যে একটি কালো তিল ছিল। অনেক সময় নিজের হাত দেখত আর বলত " আমার মৃত্যু অতি নিষ্ঠুর হবে। আমার বিয়ে করা উচিত হবে না"। কিন্তু, আমার ছোট বোন ও ভগ্নিপতি ওকে বলে কয়ে শেষ পর্যন্ত বিয়ে দিয়েছিল। আমার ভাই কর্তব্য পরায়ণ হলেও  আধ্যাত্মিক জগতে নিবিড় সংযোগ  ছিল। ওর কর্মবন্ধন শেষ হয়ে এসেছিল। চলে যাবার মাস দুয়েক আগে স্বপ্নে দীক্ষিত হয় এক শুভ্র বস্ত্রধারী সাধুর কাছ থেকে। এই ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পরে হরিদ্বার আশ্রম থেকে এক সাধু ওর স্বপ্নে দেখা সাধু মহারাজের ফটো নিয়ে এসে ভদ্রেশ্বর থানায় দেখা করে ও জানতে চায় যে তিনি  কি কখনো মহারাজের কাছে কিছু পেয়েছে কি না। পদ্মাসনে উপবিষ্ট ডান হাত উর্ধবাহু সেই সাধু। সে ফটো ওর কোয়াটারে ঝোলানো অবস্থায় দেখেছি।  তখন ঐ সাধু মহারাজের শিষ্য বলেন যে ওর স্বপ্নে দেখা মহারাজ অনেকদিন আগেই ইহ লীলা শেষ করেছেন। তাই আমার ভাইকে আর বেশী দিন অপেক্ষা করতে হবে না। আমি ঐ ফটো দেখেছি কিন্তু ভাইয়ের কাছে আশ্রমের নাম ও মহারাজের পরিচয় জানতে পারিনি। এটা আমার জীবনের বড় ব্যর্থতা। এই নানা রঙে  রঙিন বর্ণময় জীবন ১৯৯৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ১৯ তারিখ রাতে বীরের মর্যাদা নিয়ে অমরত্ব লাভ করে চলে যায় আমার দুঃখিনী মায়ের কোল থেকে। মা ভাইয়ের মৃত্যুর পর এই শোক সামলে উঠতে পারেনি। যত দিন বেঁচে ছিলেন ভোলার ফটো নিয়ে পড়ে থাকত ও শেষের দিকে প্রায় ১২ বছর  স্মৃতি শক্তি হারিয়ে ফেলেন। 

আমার আর দুই ভাই রত্ন। বিদ্বান ও যশস্বী। মনে আমার বেদনা গভীর। মুখে বলতে পারিনি। আজ এতদিন পর স্মৃতি চারণা করে কিছু হালকা হলাম। তাই আমার ভাইয়ের নামে আমার অতি প্রিয় সহকর্মী ভাতৃপ্রতিম  শ্রী অমিতাভ সেন এসিপি-কে "পল্লীকবি কুমুদ রঞ্জন মল্লিকের বাস্তু ভিটের অঙ্গনে ভোলানাথ ভাদুড়ী রত্ন,  মৃত্যুঞ্জয়ী মানপত্র তুলে দেবার জন্য মেলা কমিটির কাছে কৃতজ্ঞ বোধ করেছি।"

এবার বলব পুলিশ আধিকারিক অমিতাভ সেন এর কথা। যিনি মৃত্যুঞ্জয়ী এই সম্মাননা ও মান পত্র পেলেন। তাঁর বর্ণময় জীবনের কথা। অমিতাভ পুলিশ পরিবারের ছেলে।ওঁর পিতা ছিলেন পুলিশ ইন্সপেক্টর অমল কৃষ্ণ সেন,   তিনি ২০১৬ সালে ইহলোক ছেড়ে চলে গিয়েছেন। মাতা শ্রীমতী অঞ্জলি সেন নিজের বাড়ী নাগবাজারে থাকেন। অমিতাভ ১৯৯০ সালে ডাইরেক্ট সাব ইন্সপেক্টর পদে কর্মজীবন শুরু করে। আমি সুদূর কুচবিহার জেলা থেকে আই সি বর্ধমান পদে উত্তরবঙ্গ থেকে জয়েন করি ১৯৯৩ সালের এপ্রিল মাসে। এই আমার প্রথম দক্ষিণবঙ্গে চাকরি করতে আসা। তার আগে আমি প্রায় ৮ বছর সি আই ডি ইন্সপেক্টর ও সার্কেল ইন্সপেক্টর হিসেবে উত্তরবঙ্গে কাজ করেছি। বর্ধমান থানা এলাকা তখন বেশ বড় ছিল। আমি গ্রাম্য শহরে চাকরী করার অভিজ্ঞতা সম্বল করে এখানে  এসেছিলাম। এক ঝাঁক বর্ধমান জেলার সেরা অফিসার, এ এস আই ও কনস্টেবল, এন ভি এফ ও হোমগার্ড কে আমি আমার সাথী হিসেবে পেয়েছিলাম। তার মধ্যে অমিতাভ অন্যতম। অমিতাভ প্রথম মঙ্গলকোট থানায় বড়বাবু হিসেবে উন্নীত হন। সেই থেকেই দায়িত্ব নিয়ে জীবনের পথ চলা শুরু।এরপর আর পিছু ফিরে চাইতে হয়নি। পরপর নিউ টাউন্সিপ থানা ( দুর্গাপুর), কুলটি থানা, হিরাপুর থানা ও নির্বাচনের সময় ভদ্রেশ্বর থানার বড়বাবু রূপে, সুনামের সাথে কাজ করেছেন। তারপর ইন্সপেক্টর পদে উন্নীত হয়ে প্রথম আই সি আসানসোল জি আর পি তে । তারপর আই আর পি অন্ডাল জি আর পি, সি আই, বর্ধমান (এ) সার্কেলে কাজ করে দুর্গাপুর সার্কেলের দায়িত্বে যান। সেখানে ২০১৯ সালের ১৮ জুন  রাত প্রায় একটা নাগাদ লাউদা থানার পাটশেওড়া গ্রামে অঘটন ঘটে যায়। তিনি একটি কেসের আসামীদের গ্রেপ্তার করতে যাওয়া পুলিশ বাহিনীর নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। তাড়াহুড়োতে হেলমেট নিয়ে যেতে পারেনি। কয়েকজন দুষ্কৃতী ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় কোপ দেয়, মাথার খুলি কেটে ঘিলু বেরিয়ে যায়। অচেতন হয়ে যায় অমিতাভ। ওখান থেকে অচেতন অবস্থায় হেল্থ ওয়ার্ল্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের সবাই ওঁর জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে। যমে মানুষে ড়াই শুরু হয়। ওঁর অগনিত বন্ধুবান্ধব ও বহু শুভাকাঙ্খী ওর মঙ্গল কামনায় দিবারাত্রি প্রার্থনা শুরু করে। ওঁর স্ত্রী শ্রীমতী লাবন্য সেন বেহুলার পন নিয়ে নিজেকে উজাড় করে দেয়। ওখান থেকে কলকাতার স্নায়বিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ডাক্তার বাবুরা অসাধ্য সাধন করেন। তিনি জ্ঞান ফিরে পান। প্রায় দুবছর তিনি অচেতন ছিলেন। সতী মাতা বেহুলা রুপী শ্রীমতী লাবন্য তাঁকে ফিরিয়ে আনেন মৃত্যুঞ্জয়ী রূপে। তিনি ডি এস পি পদে উন্নীত হয়ে বর্তমানে এস এ পি সেভেন্থ ব্যাটেলিয়নে আসানসোলে এসিপি পদে চাকরি করছেন। তাঁর এক কন্যা অরিপ্রা সেন কানপুরে ডাক্তারী পড়ছে। ছেলে অর্কপ্রভ সেন নাবালক, আসানসোল স্কুলে পড়ে। অমিতাভ বেহুলার বাপের বাড়ী কোগ্রামে সম্মাননা ও মানপত্র নিতে আসে।  কিন্তু, আমি বেলা দুটোর পর চলে আসি। আমার খুব ইচ্ছে ছিল ওঁকে একবার দেখে আসার। কিন্তু, পারলাম না। সাহিত্য মেলা শেষ হবার শেষ মুহূর্তে অমিতাভ সপরিবারে উপস্থিত হয়ে মেলা  আলোকিত করে। মেলা কমিটির সম্পাদক মোল্লা জসিমউদ্দিন এর মা শ্রীমতী আয়েশা সুলতানা সাহেবা ও অন্যান্যরা অমিতাভের হাতে রত্ন সম্মান তুলে দিয়েছেন। কোগ্রাম "সাহিত্য মেলা ২০২২ " থেকে ফেরার পথে সপরিবারে বর্ধমানে আমার বাড়ীতে দেখা দিয়ে আসানসোল ফিরে যায়। অমিতাভের এই সৌজন্যবোধ আমাদের আনন্দ দিয়েছে। তবে অনেক কিছুই বাকি রইল। আর দীর্ঘায়িত করব না। পল্লীকবির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কুমুদ সাহিত্য মেলা ২০২২ আমার মনে স্থায়ী দাগ কেটে গেল। "ভোলানাথ ভাদুড়ী রত্ন" অতি স্বচ্ছ প্রকৃতই মৃত্যুঞ্জয়ীর হাতে তুলে দিয়েছে কুমুদ মেলা কমিটি। সতী মাতা মা মঙ্গল চণ্ডী, দুর্লভ পল্লীকবি ও শ্রেষ্ঠ শিক্ষক কুমুদরঞ্জন মল্লিক তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে দুহাত তুলে যে আশীর্বাদ দিয়েছেন, তা অতুলনীয়। 

অমিতাভর দীর্ঘ সুস্থ জীবন কামনা করছি। যে সাংবাদিক বন্ধুগন ও পুলিশঅফিসার অমিতাভকে এই সম্মানের জন্য নির্বাচন করেছেন ও মেলা কমিটি এই প্রথম একটি সম্মাননা সৃষ্টি করলেন তাঁদের কুর্নিশ জানাচ্ছি।

                     লেখক : অবসরপ্রাপ্ত ডেপুটি পুলিশ সুপার