চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

পৌর ভোটের ডাইরি, এক ঝলকে দেখে নিন


 

পৌর ভোটের ডাইরি, এক ঝলকে দেখে নিন 


ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্ট, সংবাদ প্রভাতী :  রাজ্যের ১০৮ টি পৌরসভার ভোট গ্রহণ পর্ব মোটের উপর বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনার মধ্যে দিয়েই শেষ হয়েছে।  পূর্ব বর্ধমান জেলায় ৬ টি পৌরসভার ১১৯ টি ওয়ার্ডে সকাল ৭ টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলে। পূর্ব বর্ধমান জেলার ৬ টি পৌরসভার ভোটে গড়ে ভোট পড়েছে ৮৪.৪৬ শতাংশ। সব থেকে বেশি মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন বর্ধমান পৌরসভার ৩৫ টি ওয়ার্ডে। এখানে গড়ে পড়েছে ৮৫. ৪৩ শতাংশ। 

সব থেকে কম মানুষ  ভোট দিয়েছেন মেমারি পৌরসভার ১৬ টি ওয়ার্ডে। এখানে গড়ে ভোট পড়েছে ৮০. ৬১ শতাংশ। এছাড়া দাঁইহাট পৌরসভার ১৪ টি ওয়ার্ডে ৮৪.৯২ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছেন। গুসকরা পৌরসভার ১৬ টি ওয়ার্ডে ভোট পড়েছে ৮৪.৯৯ শতাংশ। কালনা পৌরসভার ১৮ টি ওয়ার্ডে ৮২.৩৫ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছেন। কাটোয়া পৌরসভার ২০ টি ওয়ার্ডে ভোট পড়েছে ৮৩.৯২ শতাংশ। বিরোধীদের নানা অভিযোগ থাকলেও মোটের উপর পূর্ব বর্ধমান জেলার পৌর ভোট শান্তিপূর্ণভাবেই হয়েছে। 

বর্ধমান পৌরসভার ৩৫ টি ওয়ার্ডের মধ্যে  বাবুরবাগ ইন্দ্রপ্রস্থ এলাকায় নেহেরু বিদ্যামন্দির, বোরহাট এলাকায় ভারতী বালিকা বিদ্যালয়, রামকৃষ্ণ স্কুল, কাঞ্চননগর  রথতলায় মনোহর দাস বিদ্যানিকেতন, নীলপুর হরিপদ অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়, বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল গার্লস হাইস্কুল, বর্ধমান টাউন স্কুল,  বর্ধমান পৌরসভা কার্যালয়, হরিসভা স্কুল সর্বত্র ঘুরে সিপিএম, বিজেপি কারোরই উল্লেখযোগ্য দেখা মেলেনি। কোথাও অশান্তির কথা কেউই বলেননি। শান্তিপূর্ণভাবেই ভোটগ্রহণ চলেছে।

 তবে প্রতিটি বুথেই অন্যান্য যেভাবে ভোট দেওয়ার লাইন পড়ে এবার কিন্তু সেরকম ভিড় ছিল না। মানুষ আসছেন ভোট দিয়ে চলে যাচ্ছেন, এরকম ছবি ধরা পড়েছে। বুথে ঢোকার আগে ভোটারদের থার্মালগানের মাধ্যমে শরীরের তাপমাত্রা চেক করে হাতে স্যানিটাইজার ও গ্লাফস দেওয়া হয়েছে। মুখে মাস্ক না থাকলে মাস্কও দেওয়া হয়েছে। 

তবে বর্ধমানের শিশুনিকেতন হাইস্কুলের ১৭৮ নম্বর বুথে দুপুর দেড়টা নাগাদ পৌঁছে দেখা যায় ভোট দেওয়ার জন্য লম্বা লাইন পড়েছে। এই স্কুলে মোট ৫ টি বুথ রয়েছে। একটি বুথে ভিড় থাকলেও অন্যান্য বুথে কোনও ভিড় ছিল না।

একমাত্র ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাইস্কুলে সিপিএমের এজেন্টকে তুলে দেওয়ার অভিযোগে সরব হতে দেখা যায় বাম নেতৃত্বকে। তারা শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আঙ্গুল তুলে তাদের এজেন্ট কে তুলে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের পূর্ব বর্ধমান জেলার সাধারণ সম্পাদক উত্তম সেনগুপ্ত  বিরোধীদের সব অভিযোগ মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। 

যদিও সিপিএম ভোট লুট ও প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে রবিবার বিকেল ৫ টায় কার্জনগেটের সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দেয়। ওই অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে তাদের উদ্দেশ্যে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করা হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয় উপস্থিত সাংবাদিক ও চিত্র সাংবাদিকরা। সেই ঘটনায় সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ নিন্দায় মুখর হয়েছে।