বর্ধমানে প্রার্থী বদলের দাবিতে বিক্ষোভ, নামলো র্যাফ
ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্ট, সংবাদ প্রভাতী : তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই বর্ধমান শহরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী বদলের দাবিতে বিক্ষোভ আন্দোলন অব্যাহত। রবিবার তৃণমূল কংগ্রেসের পূর্ব বর্ধমান জেলা কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ চলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বর্ধমান থানার পুলিশের সঙ্গে নামে র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন জেলা পুলিশের ডিএসপি হেড কোয়ার্টার অতনু ঘোষাল, বর্ধমান থানার আই সি সুখময় চক্রবর্তী। বিক্ষোভকারী তৃণমূলের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা পরিস্থিতি সামাল দেন। বিক্ষোভকারীরা তৃণমূল কংগ্রেসের পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাপতির উদ্দেশ্যে প্রার্থীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ সম্বলিত লিখিত স্মারকলিপিও জমা দেন।
উল্লেখ্য বর্ধমান পৌরসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতেই ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী সাহাবুদ্দিন খান কে ঘিরে শুরু হয় বিক্ষোভ। তিনদিন ধরে চলা এলাকার মানুষের ক্ষোভের আগুন এবার জেলা কার্যালয়ে এসে পড়লো। ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী, সমর্থকরা মিছিল করে এসে বর্ধমান শহরের বীরহাটা বড়মা কালী মন্দিরের পাশে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা কার্যালয় ঘেরাও করে প্রার্থী বদলের দাবীতে। যদিও জেলা কার্যালয়ে নেতৃত্বের কেউই ছিলেন না। বিক্ষোভকারীদের দাবী, দুর্নীতিবাজ, তোলাবাজ, খুনের মদতকারী সাহাবুদ্দিন খান কে কোনোভাবেই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মানবো না। অবিলম্বে প্রার্থী বদল করে ইমরান কায়ূমকে প্রার্থী করার দাবিতে সোচ্চার হন। বিক্ষোভকারীরা সরাসরি বলেন, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী সাহাবুদ্দিন খান কে অবিলম্বে বদল না করা হলে লাগাতার আন্দোলন চলবে। বর্ধমান শহর সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি ইমরান কায়ূম জানান, প্রাক্তন কাউন্সিলর সাহাবুদ্দিন খান কে এলাকাবাসী পছন্দ করছেন না, ওর বিরুদ্ধে তিনদিন ধরে বিক্ষোভ চলছে। আমি কখনো কারো কাছে গিয়ে প্রার্থী হওয়ার জন্য বলিনি। কেউ যদি এসে সেটা প্রমাণ করতে পারে আমি সেই মুহূর্তে পদত্যাগ করবো। দল যাকে দিয়েছে তাকে মেনে নিতে হবে। তবে আমরা আশ্চর্য যে উনি টিকিট পেয়েছেন।