মুক্তাইচন্ডী আনন্দ মেলার শুভ উদ্বোধন
কাজল মিত্র, সালানপুর : পশ্চিম বর্ধমান জেলার সালানপুর থানা এলাকার সামডি পঞ্চায়েতের অধীনে মুক্তাইচন্ডী প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। উদ্বোধন করেন বারাবনী বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়। ছিলেন সালানপুর কোলিয়ারির এরিয়া জিএম অমিতাভ নন্দী, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ফাল্গুনী কর্মকার ঘাষী। সকলে সংযুক্ত ভাবে প্রদীপ উজ্জ্বলনের মধ্যে দিয়ে মেলার সূচনা করেন।এছাড়াও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সালানপুরের এজেন্ট ম্যানেজার মদন মোহন কুমার, সালানপুর ব্লকের জয়েন্ট বিডিও রাজেশ কুমার, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ আরমান, পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি বিদ্যুৎ মিশ্র, সমিতির সদস্য কৈলাশ পতি মণ্ডল, দীনেশ লাল শ্রী বাস্তব এবং মেলা কমিটির সভাপতি দয়াময় দাস, মেলা কমিটির সম্পাদক তথা সামডি পঞ্চায়েত প্রধান জনার্দন মন্ডল, পৃষ্টপোষক তপন মাহাতা, পরিচালক তাপস উকিল, গৌরাঙ্গ তেওয়ারী, সমাজ সেবী ভোলা সিং, বাবলু ঘাসি সহ আরো অনেকে। সকল অতিথিকে ফুলের তোড়া ও শাল দিয়ে সম্মানিত করা হয়।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিধায়ক বিধান উপাধ্যায় বলেন, মানব জীবনে মেলা এক মিলন মঞ্চ যেখানে বহু মানুষের সমাগম হয়। এবং সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হয়। আমাদের একসাথে সংস্কৃতিকে রক্ষা করতে হবে। মেলা হল মিলনমেলা ও উৎসাহের মিলনমেলা। এটি সমাজের ঐক্যকে শক্তিশালী করে। মেলায় যা সহযোগিতা প্রয়োজন তিনি তা করবেন। উপস্থিত ম্যানেজার এম এম কুমার বলেন, আনন্দ মেলাকে ভবিষ্যতে আরও সম্প্রসারিত করা হবে। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ফাল্গুনী ঘাষী বলেন, এই মেলা এক মানুষের মধ্যে ঐক্য বন্ধন তৈরি করে। বহু দূর দূরান্ত থেকে মানুষ আসে এই মেলায়।
মেলা কমিটির সভাপতি দয়াময় দাস জানান, ১৯৬৪ সাল থেকে শুরু হওয়া আনন্দমেলার ৫৮ বছর পূর্তি হয়।পদযাত্রার মাধ্যমে মেলার উদ্বোধন করা হয়। তাছাড়া এই মেলা কমিটির তরফে কম্বল বিতরণ, রক্তদান শিবির, চক্ষু পরীক্ষা কেন্দ্র সহ অনেক সামাজিক কাজ করা হয়।
এ উপলক্ষে উদ্বোধনী সঙ্গীতের মাধ্যমে মেলার উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে আনন্দমেলা কমিটির তপন মাহাতা জানান, মেলায় ছয় দিনব্যাপী বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে যাতে বিভিন্ন শিল্পীরা তাদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করবেন।