তৃণমূল নেতার বাড়িতে অগ্নিকাণ্ড, পুড়ে ছাই দুটি বাইক সহ অন্যান্য সামগ্রী
কাজল মিত্র, আসানসোল : পশ্চিম বর্ধমান জেলার সালানপুর থানার জেমারি গ্রামের হাটতলা সংলগ্ন প্রাইমারি স্কুল এর ঠিক সামনের দোতলা বাড়ির গ্যারেজে আগুন লাগার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। জানা যায় জেমারী হাটতলার সামনে ইসিএল কর্মী অসীম নাগ ও তার পুত্র শচীন নাগ এর বাড়ির গ্যারেজে কে বা কারা গভীর রাতে আগুন লাগিয়ে দেয়। আগুন লাগার ঘটনায় রীতিমত আতঙ্কিত বাড়ির পরিবারের লোকজন। পরে আগুন নেভাতে আসানসোল থেকে একটি দমকল ডাকা হয়। এরপর আগুন নেভানো সম্ভব হয়। ঘটনার সম্পর্কে জানা যায়, জেমারী বাসিন্দা শচীনবাবু এলাকায় সুপরিচিত সক্রিয় তৃণমূলের এক কর্মী। মানুষের আপদে - বিপদে সব সময় তিনি ছুটে যান ।
শচীন নাগ জানান, তাদের বাড়ির মধ্যে গ্যারেজের ভেতরে থাকা দুটি বাইক পুড়ে ছাই হয়ে গেল। কোনোক্রমে আগুনের হাত থেকে রক্ষা পেল বোলেরো গাড়িটি। রাস্তা দিয়ে যাওয়া দুই সিভিক কর্মী আগুনের ধোঁয়া বেরোচ্ছে দেখেই তড়িঘড়ি বাড়ির মধ্যে ডাক দেয়। কিন্তু বাড়ির সমস্ত দরজা বাইরে থেকে বন্ধ থাকার কারনে স্থানীয়দের সহযোগিতায় দরজা খুলে কোনক্রমে বোলেরো গাড়িটি গারেজ থেকে বের করা গেছে। তবে এই আগুনের বিষয়টি কিছুক্ষণ পরে জানতে পারলে বাড়িশুদ্ধু সকলেরই ভয়ঙ্কর ক্ষতি হতে পারত। তিনি আরও জানান তাদের বাড়ির বাউন্ডারির ভেতরে ছাউনির নিচে বাইক ও গাড়ি রাখা থাকে। সেখানেই গ্যাস সিলিন্ডার সহ বাড়ির অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও রাখা হয়। ঘটনাস্থলে একটি মদের বোতলে বেশ কিছুটা পেট্রোল দেখতে পাওয়া যায়। তাছাড়া কাছেই ছিল গ্যাস সিলিন্ডার, তাতে আগুন লাগলে বাড়িসুদ্ধ সকলেরই চরম পরিণতি ঘটার আশঙ্কা ছিল। অনুমান ওই বোতলে করে পেট্রোল ছিটিয়ে দেওয়া হয়েছিল বাইক ও বোলেরো গাড়িতে। যদি ওই সিভিক পুলিশ দুজন সে সময় রাস্তা দিয়ে পার না হতেন তাহলে কি যে হতো সেই ভেবেই আতঙ্কে রয়েছেন অসীম বাবু। তিনি বলেন কেউবা কোন দুষ্কৃতী এই আগুন লাগিয়েছে।
কিন্তু কেন কারা এই ঘটনা ঘটালো তা নিয়ে কোনো রকম সূত্র পাওয়া যাচ্ছে না। সালানপুর পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে। তবে এই ঘটনার খবর পেয়েই ছুটে যান তৃণমূল নেতা মুকুল উপাধ্যায়, ভোলা সিং ও অন্যান্যরা। মুকুল উপাধ্যায় জানান কেও বা কারা এলাকায় অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। কড়া হাতে পুলিশ যাতে এই ধরনের দুষ্কর্মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় তার জন্য তারা উদ্যোগ নেবেন।