চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

আসানসোল পুরনিগম নির্বাচনে তৃণমূল ১০৬ টি ওয়ার্ডে এবং বিজেপি ১০২ টি ওয়ার্ডে মনোনয়নপত্র জমা দিল


 

আসানসোল পুরনিগম নির্বাচনে তৃণমূল ১০৬ টি ওয়ার্ডে এবং বিজেপি ১০২ টি ওয়ার্ডে মনোনয়নপত্র জমা দিল



ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্ট, সংবাদ প্রভাতী : আসানসোল পুরনিগমের ভোট প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা পর্ব শেষ হলো।  ১০৬ টি ওয়ার্ডেই তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সোমবার আসানসোলের জিটি রোডের সেন্ট জোসেফ হাইস্কুলের মনোনয়ন কেন্দ্রে রাজ্যের আইন ও পূর্ত দপ্তরে মন্ত্রী মলয় ঘটক ও তৃণমূল কংগ্রেসের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি বিধান উপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

এদিন মনোনয়নপত্র দাখিলের পরে মন্ত্রী ও জেলা সভাপতি বলেন, আসানসোলের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছেন। তারা উন্নয়ন চান। তাই আমরা সবকটি ওয়ার্ডেই জিতবো। আমরাই প্রথমে থাকবো। বাকিরা দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ হওয়ার জন্য লড়াই করবে।

অন্যদিকে, বিজেপি প্রার্থীরাও এদিন মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি দিলীপ দে ও প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি। বিজেপি ১০২ টি ওয়ার্ডে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছে। আসানসোলের রেলপার এলাকার ২৫ ও ২৬ নং ওয়ার্ডে বিজেপির তরফে কোন প্রার্থী দেওয়া হয়নি। একই ভাবে, রানিগঞ্জের ৩৫ নং ওয়ার্ডে বিজেপি'র প্রার্থী নেই। সোমবার সন্ধ্যায় জানা যায়, আসানসোলের রেলপারের ২৩ নং ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী অরবিন্দ তেওয়ারি মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার জন্য এসেছিলেন। কিন্তু তিনি তা জমা দেননি। এই প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সভাপতি দিলীপ দে ও জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলেন, ২৫ ও ২৬ নং ওয়ার্ডে দল ভালো নির্দল প্রার্থী যার জেতার সম্ভাবনা আছে, তাকে সমর্থন করবে। ২৩ নং ওয়ার্ডে ঠিক কি হয়েছে, তা দলগতভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর রানিগঞ্জের ৩৫ নং ওয়ার্ডের বলতে গেলে সব ভোটার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। তাই সেখানে প্রার্থী দেওয়া হয়নি। 


এদিকে, বামফ্রন্ট ১০৬ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৯৫ টি ওয়ার্ডে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছে। ৭৭ নং ওয়ার্ডে বামেরা প্রার্থী দেয়নি বলে জানা গেছে। এই বিষয়ে সিপিএমের পশ্চিম বর্ধমান জেলা  সম্পাদক গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ৭৭ নং ওয়ার্ডে বামেরা নির্দল প্রার্থীকে সমর্থন করবে। এছাড়াও প্রার্থী দেওয়া হয়েছে, এমন কোন ওয়ার্ডে যদি আমাদের মনে হয়, কোন নির্দল প্রার্থী শক্তিশালী, তার জয়ের সম্ভাবনা আছে। তাহলে সেখানে নির্দল প্রার্থীকে সমর্থন করবো। যাতে সাম্প্রদায়িক বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসকে হারানো যায়।

জানা গেছে, ৯৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে বামেদের বড় শরিক সিপিএম ৬৮টি ওয়ার্ডে প্রার্থী দিয়েছে। তিন শরিক সিপিআই ৮ টি , আরএসপি ৬ এবং ফরওয়ার্ড ব্লক ১৩ টি ওয়ার্ডে প্রার্থী দিতে পেরেছে। 


অপরদিকে কংগ্রেস ৬২টি ওয়ার্ডে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছিল। কিন্তু ৫৯টি ওয়ার্ডে কংগ্রেস প্রার্থীরা মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে কংগ্রেসের জেলা সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তী সংবাদ মাধ্যমকে জানান, শাসক দলের তরফে দলের প্রার্থীদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনা বিশেষ করে কুলটি এলাকায় হয়েছে। সেই কারণে নাম ঘোষণার পরেও তিনটি ওয়ার্ডে প্রার্থীরা মনোনয়ন পত্র জমা দিতে পারেননি। আমরা ঝুঁকিও নিতে চাইনি। তিনি আরো বলেন, যেসব ওয়ার্ডে প্রার্থী দিতে পারিনি, সেখানে দল নির্দলকে সমর্থন করবে।

এদিন, বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট রাজনৈতিক নেতা দলের টিকিট না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ৮৯ জন নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। এছাড়া অন্যান্য আরও ৪ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।