চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

উৎসবের আঙ্গিকে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন


 

উৎসবের আঙ্গিকে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন



ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্ট, সংবাদ প্রভাতী : উৎসবের আঙ্গিকে বিদ্যালয়ের ৫৮ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন করলো মাছখান্ডা হাই স্কুল। আজ সকালে বিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের প্রারম্ভিক সূচনা হয়। এই উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের বিদ্যালয়ের সুসজ্জিত খেলার মাঠের প্রবেশদ্বার, উচ্চবাতি স্তম্ভ, মুক্ত মঞ্চ এবং বিদ্যালয়ের নিজস্ব পত্রিকা 'মুকুর' এর উদ্বোধন হয়। উদ্বোধন করেন রাজ্যের বনদপ্তর এর ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের উদ্বোধনী নৃত্যানুষ্ঠানের পর প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের খাদ্য দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি, মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা তথা বিধায়ক প্রদীপ মজুমদার, পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা রায়নার বিধায়িকা শম্পা ধাড়া, গলসির বিধায়ক নেপাল ঘড়ুই, বিদ্যালয় পরিচালন কমিটির সভাপতি তথা উদ্যোগপতি আব্দুল মালেক, শিল্পপতি তথা সমাজসেবী মনীষ খান্ডেলওয়াল, সমাজসেবী বামদেব মন্ডল, অপার্থিব ইসলাম, শুভাশীষ চ্যাটার্জী, বর্ধমান সম্মেলনীর সম্পাদক বৈদ্যনাথ কোনার, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহীতোষ বিশ্বাস সহ বিদ্যালয়ের সহ শিক্ষক ও অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা।

মাছখান্ডা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালন কমিটির সভাপতি আব্দুল মালেক স্বাগত ভাষণের শুরুতেই বলেন, যাঁর জন্য আজ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা সম্ভব হয়েছে তিনি বিধায়ক নেপাল ঘড়ুই। বর্তমানে তিনি গলসির বিধায়ক হলেও ইতিপূর্বে তিনি রায়নার বিধায়ক ছিলেন। সেই সময়ে তার বিধায়ক তহবিল থেকে কিছু টাকা বিদ্যালয়ের উন্নতির জন্য মঞ্জুর করেছিলেন, সেই টাকাতেই গড়ে উঠেছে এই বিদ্যালয়ের খেলার মাঠের সুসজ্জিত প্রবেশদ্বার, উচ্চ বাতিস্তম্ভ এবং মুক্ত মঞ্চ। তিনি রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কেও বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান। বিদ্যালয়ের জন্য যখনই তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তিনি তখনই তার জরুরি কাজ থেকে সময় বার করেও বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে এসে উপস্থিত থাকেন এবং বিদ্যালয়ের উন্নয়নে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন।

 আব্দুল মালেক বলেন, তিনি এই বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্নের ছাত্র। যার ফলে বিদ্যালয়ের প্রতি তার বরাবরই একটা দুর্বলতা রয়েছে। সময় পেলেই তিনি বিদ্যালয়ের জন্য কিছু করার চেষ্টা করতেন। ২০১৮ সালে তিনি সরকারি প্রতিনিধি হিসেবে বিদ্যালয়ের পরিচালন কমিটির সভাপতি হন। তখন থেকেই তিনি বিদ্যালয়ের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য সচেষ্ট হয়েছেন। শ্রেণিকক্ষ, প্রধান শিক্ষকের ঘর কিংবা স্টাফ রুম, বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পরিশ্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা, সুসজ্জিত মিড ডে মিলের খাবার ঘর, ছাত্র-ছাত্রীদের শরীরচর্চার জন্য মাল্টি জিম এবং বিদ্যালয় বিদ্যুতের ব্যবহার কমানোর জন্য সৌরশক্তি প্যানেল এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও আরো কিছু পরিকল্পনা রয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক থেকে শুরু করে সহ শিক্ষকদের সম্মিলিত সহযোগিতা ও প্রচেষ্টায় মাছখান্ডা হাই স্কুল ক্রমশঃ শ্রীবৃদ্ধির পথে।

রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং জ্যোৎস্না মান্ডিও বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রত্যন্ত গ্রামের এই স্কুলের পরিবেশ এবং আনুষঙ্গিক বিষয়ের ভূয়ষী প্রশংসা করেন। মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বর্ধমানের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সুখবর দিলেন। তিনি জানান, বর্ধমান সম্মেলনীর ভবন তৈরি হচ্ছে কলকাতায়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বর্ধমান সম্মেলনীর জন্য কলকাতায় অভিজাত এলাকায় সাড়ে পাঁচ কাঠা জমি দিয়েছেন। সেখানেই তৈরি ভবনে ৫০ টি ঘর থাকছে। দু'তিন বছরের পড়াশোনার ক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীরা থাকতে পারবে।

এদিনের অনুষ্ঠানটি সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করেন মাছখান্ডা হাই স্কুলের শিক্ষক রাজেশ হালদার। উল্লেখ্য বিদ্যালয়ের নিজস্ব পত্রিকা মুকুর এর সম্পাদনা করেছেন রাজেশ হালদার। এদিনের অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ও গ্রামবাসীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।