চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

করোনাবিধি উপেক্ষিত, যুব তৃণমূলের রক্তদান উৎসবে বিপুল সংখ্যক জমায়েত


 

করোনাবিধি উপেক্ষিত, যুব তৃণমূলের রক্তদান উৎসবে বিপুল সংখ্যক জমায়েত 


গৌতম দাস, দেওয়ানদীঘি : রাজ্য সরকারের করোনা বিধিনিষেধ উপেক্ষা করেই আয়োজিত হল রক্তদান উৎসব। আর এই নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। মঙ্গলবার বর্ধমান ১ ব্লকের প্রীতিলতা মঞ্চে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় রক্তদান উৎসব। রীতিমতো সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে রক্তদান উৎসব আয়োজনে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন উপস্থিত অনেকেই। যেখানে জনহিতকর দুয়ারে সরকার কর্মসূচি স্থগিত রেখেছে সরকার। সেখানে বিপুল সংখ্যক জমায়েত করে রক্তদান উৎসব! রক্তের প্রয়োজন আছে অবশ্যই কিন্তু বিপুল সংখ্যক মানুষের জমায়েত করে আয়োজকরা পেশি শক্তি দেখালেন, নাকি অন্য কিছু ?

 যদি এদিনের রক্তদান শিবিরে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক অলোক কুমার মাঝি, বর্ধমান উত্তরের বিধায়ক নিশীথ কুমার মালিক, তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ধমান ১ ব্লকের সভাপতি কাকলী তা গুপ্ত, বর্ধমান ১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি দেবনারায়ন গুহ সহ অন্যান্যরা। উপচেপড়া ভিড়ে অনেকের মুখে মাস্ক নেই। স্যানিটাইজার দূর অস্ত, দূরত্ব বিধির পরিস্থিতি দেখলে অজানা আতঙ্কের শিহরণ জাগে।

 জেলার যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা বিধায়ক অলোক কুমার মাঝি বলেন, যুব তৃণমূল কংগ্রেস ২৫ ডিসেম্বর থেকে এক মাস ব্যাপি ৫ হাজার ইউনিট রক্ত সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে। তাঁরই অঙ্গ হিসেবে আজকের ১৮ তম রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছে মানস ভট্টাচার্যরা। রক্তদান শিবিরের আয়োজন আগেই ঠিক হয়েছিল। ৩০০ ইউনিট রক্ত বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ক সহ অন্যান্য ব্লাড ব্যাঙ্কে দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। অন্য কোনো অনুষ্ঠান হলে স্থগিত করা হতো। যেহেতু রক্তদানের অনুষ্ঠান তাই বাতিল করা হয়নি এবং স্বাস্থ্য বিধি মেনেই সব কিছু করার চেষ্টা করা হয়েছে। 

বিধায়ক নিশীথ কুমার মালিক সরাসরি স্বীকার না করলেও তিনি বলেন, অতি উৎসাহে কিছু মানুষ রক্তদান শিবিরে উপস্থিত হয়েছেন, তবে স্বাস্থ্য বিধি মেনেই শিবির আয়োজন করা হয়েছে।