চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

সাহিত্যিক-কার্টুনিস্ট নারায়ণ দেবনাথ চির ঘুমের দেশে


 

সাহিত্যিক-কার্টুনিস্ট নারায়ণ দেবনাথ চির ঘুমের দেশে 


ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্ট, সংবাদ প্রভাতী : বাংলা সাহিত্যে নক্ষত্রপতন। না ফেরার দেশে চলে গেলেন নন্টেফন্টে-হাঁদাভোদা-বাঁটুল দি গ্রেট এর স্রষ্টা নারায়ণ দেবনাথ। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। আজ  সকাল ১০.১৫ মিনিটে তিনি বেলভিউ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। 

দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন কার্টুনিস্ট নারায়ণ দেবনাথ। ২৫ দিন ধরে ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, সোমবার রাত পর্যন্ত তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল ছিল। এদিন সকাল থেকেই রক্ত চাপ কমে যায়। তারপর চিকিৎসকদের সকল চেষ্টা ব্যর্থ করে তিনি চির ঘুমের দেশে পাড়ি দেন। ১৯২৫ সালে হাওড়ার শিবপুরে তাঁর জন্ম। পরিবার সূত্রে খবর শিবপুর শ্মশানেই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।  

নারায়ণ দেবনাথ আর্ট কলেজের ছাত্র ছিলেন।  কর্মজীবনের প্রথম দিকে বইয়ের প্রচ্ছেদ আঁকতেন তিনি। ছোটদের জন্যই তিনি মূলত কাজ করতেন। শুকতারা ম্যাগাজিন আর নারায়ণ দেবনাথের নাম প্রায় অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে রয়েছে। শুকতারায় নিয়মিত কার্টুন সাহিত্য রচনা করে সাড়া ফেলেন নায়ারণ দেবনাথ। বাংলার কার্টুন জগতে তিনি একটি নিজস্ব ধারা তৈরি করেছিবেন। ২০২১ সালে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হন। জীবনে অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন নারায়ণ দেবনাথ। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ডি লিট উপাধিও। 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ট্যুইটে বলেছেন, শ্রী নারায়ণ দেবনাথ জী তাঁর কাজ, কার্টুন এবং ছবির মাধ্যমে বহু মানুষের জীবন উজ্জ্বল করে তুলেছিলেন। তাঁর বুদ্ধিদীপ্ত শক্তি তাঁর কর্মকান্ডে প্রতিফলিত হয়েছে। তাঁর সৃষ্ট চরিত্রগুলি আজীবন জনপ্রিয় হয়ে থাকবে। তাঁর মৃত্যুতে ব্যথিত। তাঁর পরিবার ও ভক্তদের প্রতি সমবেদনা জানাই। ওম শান্তি। 

এদিন তাঁর মৃত্যুর পর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে শ্রদ্ধা জানান। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে শোকবার্তা প্রকাশ করা হয়েছে। 

মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, তিনি নারায়ণ দেবনাথের পরিবার-পরিজন ও  অনুরাগীদের  আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছেন। এছাড়াও নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকেও শোক প্রকাশ প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি বলেছেন, তাঁর তৈরি কার্টুন চরিত্রগুলি আজও সকলের মন জয় করে নেয়। এই চরিত্রগুলি কোনও দিনও ভোলা যাবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেছেন রাজ্য সরকার ২০১৩ সালে বাংলার সর্বোচ্চ পুরষ্কার বঙ্গ বিভূষন সম্মান প্রদান করেছিল। তাতে রাজ্য সরকার যথেষ্ট গর্ববোধ করেছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় আরও বলেন, নারায়ণ দেবনাথের মৃত্যুতে সাহিত্য ও সৃজনশীল জগতের যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে।