চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

আদিবাসী সম্প্রদায়ের অস্থি বিসর্জন ও পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে তর্পণ


 

আদিবাসী সম্প্রদায়ের অস্থি বিসর্জন ও পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে তর্পণ 


অতনু হাজরা, জামালপুর : পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে দামোদর নদের তেলকুপি ঘাটে প্রতিবছর ১ লা মাঘ আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষদের অস্থি বিসর্জন ও পিতৃপুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ উৎসব করা হয়। এই উপলক্ষ্যে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা এমনকি বিভিন্ন রাজ্য থেকে লক্ষাধিক জনসমাগম হয়। কিন্তু এবছর পরিস্থিতি ভিন্ন। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। আর সেই কারণেই ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাঝিবাবা সহ অন্যান্য আদিবাসী সমাজের নেতৃত্বদের কাছে এবছর বড়ো আকারে কোনো কিছু না করার জন্য আবেদন করা হয়। আজ দামোদর নদের তেলকুপি ঘাটে গিয়ে একদম সেই চিত্রই দেখা গেল। সেভাবে কোনো লোকসমাগম হয়নি। শুধুমাত্র কোভিড বিধি মেনে অস্থিবিসর্জন ও সামান্য যা নিয়ম কানুন তাই করা হচ্ছে। সতর্ক রয়েছেন বিভিন্ন ভলান্টিয়ার। রয়েছে উপযুক্ত পরিমানে মাস্ক ও স্যানিটাইজার। আজ তেলকুপি ঘাটে পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে তর্পণ করেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি তথা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যের এস টি সেলের সভাপতি ও রাজ্যের মুখপাত্র দেবু টুডু।

  ছিলেন জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহেমুদ খান, সহ সভাপতি দেবু হেমব্রম, আদিবাসী নেতা তারক টুডু সহ অন্যান্যরা। পরে আজকের এই ছোট্ট উৎসবে আদিবাসী মানুষদের সাথে মিলিত হন জামালপুরের বিধায়ক অলোক কুমার মাঝি। দেবু টুডু বলেন, তিনি পিতৃপুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ করলেন এবং এলাকার আদিবাসী মানুষজন, বিভিন্ন মাঝিবাবা, আদিবাসী নেতৃত্বদের ধন্যবাদ জানান কোভিড পরিস্থিতিতে এই সুন্দর ভাবে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করার জন্য। 

তবে নদীর চরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে অল্প কিছু মানুষ ছাড়া সেভাবে কোনো জনসমাগম চোখে পড়েনি। এই কারণে বিধায়ক অলোক কুমার মাঝি, বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহেমুদ খান আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজনকে ধন্যবাদ জানান।