চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

রাজ্যের ৪ জন মন্ত্রীর উপস্থিতিতে বর্ধমানে সাড়ম্বরে পালিত হলো সংখ্যালঘু অধিকার দিবস


 

রাজ্যের ৪ জন মন্ত্রীর উপস্থিতিতে বর্ধমানে সাড়ম্বরে পালিত হলো সংখ্যালঘু অধিকার দিবস 


 "সংখ্যালঘুদের সৌন্দর্য বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য"


ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্ট, সংবাদ প্রভাতী :  রাজ্যের চার জন মন্ত্রীর উপস্থিতিতে ২৯ তম সংখ্যালঘু অধিকার দিবস পালিত হলো বর্ধমানে। "সংখ্যালঘুদের সৌন্দর্য বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য" এই ভাবনাকে সামনে রেখে আজ বর্ধমানের সংস্কৃতি লোকমঞ্চে আয়োজিত হয় সংখ্যালঘু অধিকার দিবস। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।  উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক, গোলাম রব্বানী, স্বপন দেবনাথ, সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরি, সাবিনা ইয়াসমিন, রাজ্য সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারপার্সন ডাঃ মমতাজ সংঘমিতা, পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা বিধায়ক শম্পা ধাড়া, জেলা শাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা, জেলা পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন, বর্ধমান পৌরসভার প্রশাসক মন্ডলীর ভাইস চেয়ারপার্সন আইনুল হক, বিধায়ক সেখ শাহনেওয়াজ সহ অন্যান্য অতিথি ও পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু কমিশনের সদস্যরা। এদিনের অনুষ্ঠানে জাতীয় সংখ্যালঘু অধিকার দিবস উপলক্ষে দপ্তরের পক্ষ থেকে একটি সুভেনিয়ার প্রকাশ করা হয়। 

উল্লেখ্য সংখ্যালঘুদের স্বার্থকে শক্তিশালী করার জন্য, জাতিসংঘ ১৯৯২ সালের ১৮ ডিসেম্বর "জাতীয় বা জাতিগত, ধর্মীয় এবং ভাষাগত সংখ্যালঘুদের অধিকার সংক্রান্ত ঘোষণাপত্র" জারি করে ঘোষণা করে যে, "রাষ্ট্রগুলি জাতীয় বা জাতিগত অস্তিত্ব রক্ষা করবে, তাদের নিজ নিজ অঞ্চলের মধ্যে সংখ্যালঘুদের সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় এবং ভাষাগত পরিচয় পরিচয়ের প্রচারের শর্তগুলিকে উৎসাহিত করে"। এরপরের বছর থেকেই সংখ্যালঘু অধিকার দিবস পালন শুরু হয়। এরপর ১৯৯৬ সালে সংখ্যালঘু কমিশন গঠিত হয়। ভারতে সংখ্যালঘুদের অধিকার দিবসটি ভাষাগত, ধর্মীয়, জাতিগত সংখ্যালঘুদের অধিকারের প্রচার ও সংরক্ষণের জন্য একটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ দিন। সংখ্যালঘুদের অধিকার দিবস উদযাপনের মাধ্যমে, রাজ্য সংখ্যালঘুদের সাথে সম্পর্কিত বিষয়গুলিতে মনোযোগ দেয় এবং সেইসাথে রাজ্যের মধ্যে সংখ্যালঘুদের অধিকার যাতে সুরক্ষিত থাকে তা নিশ্চিত করে।

এদিন রাজ্যের আইন ও পূর্ত দপ্তরের মন্ত্রী মলয় ঘটক বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্য সরকার সংখ্যালঘুদের জন্য কি কি করেছে সেই তথ্য তুলে ধরার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিক্ষা, স্বাস্থ্য সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নমূলক কাজের পরিসংখ্যান দিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর জনমুখী ভাবনার ভূয়ষী প্রশংসা করেন।