চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

৪৪ তম বর্ধমান বইমেলা শুরু ২৪ ডিসেম্বর



৪৪ তম বর্ধমান বইমেলা শুরু ২৪ ডিসেম্বর 


ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্ট, সংবাদ প্রভাতী : কলকাতার বাইরে জেলায় মুক্তাঙ্গনে বইমেলার পথিকৃৎ বর্ধমান অভিযান গোষ্ঠী। তাদের পরিচালিত বইমেলা এবার ৪৪ বছরে পদার্পণ করছে। প।রতি বছরের মতো এবারও বর্ধমান অভিযান গোষ্ঠী আয়োজিত বর্ধমান বইমেলা  অনুষ্ঠিত হবে শাঁখারীপুকুর হাউসিং মাঠে (উৎসব ময়দান)। বইমেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চক্রবর্তী এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, এই বছর অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মের সার্ধশত বর্ষ উপলক্ষে বইমেলার মঞ্চটি ‘অবন ঠাকুর মঞ্চ' হিসেবে নামাঙ্কিত হবে। অবন ঠাকুর মঞ্চে ২৪ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে চারটায় বইমেলার উদ্বোধন করবেন বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী, শিল্প আলোচক, গ্রন্থকার এবং আনন্দ পুরস্কার ও বাংলা একাডেমি পুরস্কার সহ একাধিক পুরস্কারে ভূষিত  সুশোভন অধিকারী। সম্মাননীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা বিধায়ক শম্পা ধাড়া, বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস, সহ সভাধিপতি দেবু টুডু, অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) সানা আখতার। 

জেলার সমাজ ও সংস্কৃতিতে বিশেষ অবদানের জন্য প্রথা অনুসারে বইমেলার উদ্বোধনী মঞ্চ থেকে এবার পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলী ১ ব্লকের বগপুর অঞ্চলের ‘দামোদর পাড়া সমাজ কল্যাণ হোম অনাথ ও বৃদ্ধাশ্রম সংস্থাকে দেবপ্রসন্ন পুরস্কার প্রদান করা হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বর্ধমান অভিযান গোষ্ঠী তথা বইমেলা কমিটির সভাপতি স্বপন ভট্টাচার্য। 

বইমেলা চলাকালীন প্রথম রবিবার অর্থাৎ ২৬ ডিসেম্বর সাহিত্যিক স্বপ্নকমল সরকার-কে এবার 'ডাঃ কৃষ্ণানন্দ মজুমদার স্মৃতি অভিযান সাহিত্য সম্মান প্রদান করা হবে। একই দিনে অভিযান গোষ্ঠী তথা বর্ধমান বইমেলার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক সমীরণ চৌধুরীর নামাঙ্কিত ‘সমীরণ স্মৃতি সাহিত্য ও সংস্কৃতি পুরস্কার প্রদান করা হবে সাহিত্যিক ও গবেষক আসরফি খাতুন-কে। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন সাহিত্যিক, প্রকাশক তথা কলকাতা আন্তর্জাতিক পুস্তক মেলার সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় ও সাহিত্যিক শান্তনু বসু। এই দিন সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত ‘সমীরণ স্মারক বক্তৃতা' প্রদান করবেন অধ্যাপক ইমানুল হক। এছাড়াও এদিন বর্ধমান বইমেলা উপলক্ষে প্রকাশিত বিভিন্ন পুস্তকের উদ্বোধন করা হবে অবন ঠাকুর মঞ্চ থেকে। 

মেলার শেষ দিন স্ব স্ব ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য বর্ধমানের পাঁচ গুণী ব্যক্তিকে ‘শান্তি সাহা স্মৃতি গুণীজন সম্বর্ধনা' প্রদান করা হবে। যাদের সম্বর্ধনা দেওয়া হবে, তাদের মধ্যে রয়েছেন ডাঃ কৌস্তভ নায়েক (কোভিড যোদ্ধা), সত্যজিৎ পাল (যন্ত্র সঙ্গীত), কাজী নিজামুদ্দিন (শিক্ষা), সুব্রত চক্রবর্তী (নাট্যশিল্প), দীপ্তি কুমার ঘোষ (ক্রীড়াক্ষেত্র)। গুণীজন সম্বর্ধনার আগে বইমেলায় অনুষ্ঠিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় স্থানাধিকারীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। 

বইমেলার মাঠে প্রতিদিন সন্ধ্যায় থাকবে সঙ্গীত, আবৃত্তি, নৃত্যানুষ্ঠান, আলোচনা সহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় অনুষ্ঠান। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মের সার্ধশত বর্ষে ২৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় থাকছে 'অবন ঠাকুর ছবি লেখেন' শীর্ষক আলোচনা। এছাড়াও বিভিন্ন দিনে থাকবে 'লিটল ম্যাগাজিন', বর্ধমানের উন্নয়ন বিষয়ে ‘প্রসঙ্গ পৌরকথা' শীর্ষক আলোচনা এবং স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষে ১ জানুয়ারি ২০২২ সন্ধ্যায় বিশেষ আলোচনা। 

প্রতিযোগিতার বিষয় হিসেবে থাকবে আবৃত্তি, বিতর্ক, তাৎক্ষণিক বক্তৃতা, ক্যুইজ, যেমন খুশি সাজো, অঙ্কন প্রভৃতি। মেলা চলাকালীন প্রতিযোগিতার জন্য নাম নথিভুক্ত করা যাবে। মেলার মাঠ খোলা থাকবে দুপুর ২টো থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। বইমেলা চলবে ২ জানুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত। এবার বইমেলায় প্রায় শতাধিক প্রকাশনা সংস্থা অংশগ্রহণ করবে বলে উদ্যোক্তারা আশা করছেন। যেকোনও বিষয়ে বিশদ জানতে হলে বইমেলা কমিটি সহ সাধারণ সম্পাদক   নিরুপম চৌধুরী'র সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।