রাত পোহালেই শুরু হচ্ছে ১৪ তম ভারত সংস্কৃতি উৎসব
ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্ট, সংবাদ প্রভাতী : রাত পোহালেই শুরু হবে ১৪ তম ভারত সংস্কৃতি উৎসব। প্রস্তুতি চূড়ান্ত। শুক্রবার বিকেলে টাউন হল প্রাঙ্গণে ভারত সংস্কৃতি উৎসব কমিটির পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে উৎসব সম্পর্কে বিশদ জানানো হয়েছে। উপস্থিত ছিলেন উৎসব কমিটির সভাপতি অরূপ দাস, আহ্বায়ক শ্যামল দাস, সদস্য প্রসেনজিৎ দাস এবং সাধারণ সম্পাদক প্রসেনজিৎ পোদ্দার।
সভাপতি অরূপ দাস বলেন, ১৮ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে পাঁচটায় প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে উৎসবের উদ্বোধন করবেন বর্ধমান রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পাদক স্বামী অজ্ঞেয়ানন্দজী মহারাজ। অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী ডঃ হৈমন্তী শুক্লা, বিশিষ্ট কবি সুবোধ সরকার, রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, সহ-সভাধিপতি দেবু টুডু, জেলা শাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা, জেলা পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন সহ অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা।
ভারত সংস্কৃতি উৎসবের সাধারণ সম্পাদক প্রসেনজিৎ পোদ্দার জানান, উৎসবের মূল আয়োজক 'হিন্দুস্থান আর্ট এন্ড মিউজিক সোসাইটি'। এবছর ১৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে ভারত সংস্কৃতি উৎসব। চলবে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এরমধ্যে ১৮ থেকে ২১ ডিসেম্বর বর্ধমান টাউন হল এবং ময়দান। ২৩ থেকে ৩০ ডিসেম্বর সত্যজিৎ রায় অডিটোরিয়াম, বেঙ্গল গ্যালারি, আই সি সি আর, কলকাতা। এছাড়া ২৪ ও ২৫ ডিসেম্বর হুগলি জেলায় রিষড়া ভলিবল খেলার মাঠে।
প্রসেনজিৎ বাবু বলেন, বর্ধমানে এবছর উৎসবের বিশেষ আকর্ষণ পদযাত্রা। সমাজের বিশিষ্ট নাগরিক, শিল্পী, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী এবং ছাত্র-ছাত্রীরা পদযাত্রায় হাঁটবেন। শনিবার সকাল সাড়ে নয়টায় টাউন হল প্রাঙ্গণ থেকে পদযাত্রা শুরু হবে।
এছাড়া এবারের ভারত সংস্কৃতি উৎসব হলো ১৪ তম সর্বভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীত শাস্ত্রীয় নৃত্য আঞ্চলিক নৃত্য অংকন আবৃত্তি প্রতিযোগিতা এবং ২৭ তম আন্তর্জাতিক ভারতীয় সংগীত ও নৃত্যের উৎসব। গত বছরের মতো এ বছরও আমরা করোনা মহামারীর জন্য ভারত সরকার এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী সমস্ত বিধি-নিষেধ মেনে উৎসবের আয়োজন করতে হচ্ছে। ১৮ ডিসেম্বর থেকে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ধমানের টাউন হল অডিটোরিয়াম এবং ময়দানে সকাল ১০ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত এই উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। সঙ্গীত, নৃত্য এবং আবৃত্তি'র বর্ধমান শহরের খ্যাতনামা শিল্পী এবং তাদের টিম অনুষ্ঠান পরিবেশন করবেন। এছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ে থাকছে আলোচনার অনুষ্ঠান।
উৎসব কমিটির আহ্বায়ক শ্যামল দাস বলেন, এই বৃহৎ সাংস্কৃতিক কর্মযজ্ঞে সাংবাদিক বন্ধুরা বিগত বছরগুলোর মতোই প্রচারের ক্ষেত্রে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন। সব মিলিয়ে এবারের ভারত সংস্কৃতি উৎসব বেশ জমজমাট হবে বলেই তারা আশাবাদী।