দু'দিনের বৃষ্টিতে চাষের ক্ষয়-ক্ষতি পরিদর্শনে জেলা সভাধিপতি
অতনু হাজরা, জামালপুর : ঘূর্ণি ঝড় জোয়াদ তার ক্ষমতা হারালেও তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে এবং গত দুদিন ধরে ব্যাপক বৃষ্টি চলে গোটা পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে। জামালপুর ব্লকে গত দুদিনে প্রায় ১২০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। সেই কারণে বিস্তৃর্ণ এলাকার মাঠের ফসল জলের তলায় চলে যায়। ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা আলু চাষে, অবশিষ্ট ধান যেগুলো এখনো তোলা হয়নি ও সরিষা এবং সবজি সব ফসলের জমিই জলের তলায়।সেই সমস্ত জমি পরিদর্শনে আসেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা রায়নার বিধায়ক শম্পা ধাড়া, জেলা কৃষি অধিকর্তা জগন্নাথ চ্যাটার্জী, সাবডিভিশন কৃষি অধিকর্তা সমীর কারফা, জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ ইসমাইল, ছিলেন জামালপুরের বিধায়ক অলোক কুমার মাঝি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহেমুদ খান, বি ডি ও শুভঙ্কর মজুমদার, এ ডি এ সঞ্জিবুল ইসলাম, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ভুতনাথ মালিক সহ অন্যান্যরা। আজ তাঁরা জামালপুরে বিভিন্ন এলাকার মাঠে মাঠে গিয়ে ঘুরে ধান জমি, আলু জমি ও অন্যান্য ফসলের জমি ঘুরে দেখেন।
প্রত্যেকেই পরিদর্শন করে স্বীকার করেন যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং তাঁরা যথাযথ জায়গায় এবিষয়ে রিপোর্ট করবেন। বিধায়ক অলোক মাঝি বলেন রাজ্যের মানবিক মুখ্যমন্ত্রীকে প্রাথমিক রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে কিছু না কিছু ব্যবস্থা অবশ্যই হবে। তিনি সকলকে শস্যবীমা করে নিতে বলেন। মেহেমুদ খান বলেন, জেলা সভাধিপতি সহ অন্যান্য আধিকারিকরা আজ পরিদর্শন করেন সঠিক জায়গায় রিপোর্ট পাঠানো হবে।
ব্লক কৃষি আধিকারিক সঞ্জিবুল ইসলাম বলেন, জামালপুর ব্লকে প্রায় ১৪ হাজার হেক্টর মত জমিতে আলু চাষ হয়। তার মধ্যে প্রায় ৮-৯ হাজার হেক্টর জমিতে আলু বসানো হয়েছে। যার প্রায় সবটাই জলের তলায় চলে গেছে। এখনো পর্যন্ত ব্লকের জৌগ্রাম, আবুঝাটি সহ অন্যান্য জায়গা মিলে ২০০০ হেক্টর জমির ধান কাটা অবস্থায় জমিতেই পড়ে আছে, সেগুলোও ক্ষতি হবার আশঙ্কা আছে। সবজির ক্ষয়ক্ষতি এখনো সঠিক ভাবে জানা যায়নি। এছাড়াও তিনি চাষীদের উদ্দেশ্যে বলেন ৩১ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত শস্য বীমা করা যাবে সকলে যেন সেটা করে নেন। তিনি ইতিমধ্যেই প্রাথমিক ক্ষয় ক্ষতির রিপোর্ট পাঠিয়ে দিয়েছেন। চাষিরা এখন ক্ষতিপূরণের আশায় বুক বাঁধছেন।