চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

দুঃস্থ মানুষদের মধ্যে বস্ত্রদান




দুঃস্থ মানুষদের মধ্যে বস্ত্রদান 


ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্ট, সংবাদ প্রভাতী : আজ কালনা রোডের এগ্রিকালচারাল ফার্মের ১ নম্বর গেটের কাছে চাঁদাইপুর ও গোঁসাইপাড়া এলাকায় আদিবাসী বস্তিতে এক বস্ত্রদান অনুষ্ঠান আয়োজিত হল। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউ আই টি'র অধ্যক্ষ প্রফেসর অভিজিৎ মিত্র'র উদ্যোগে তার পরিচিত ‘শ্রীরামপুর বটতলা হকার্স ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’র সম্পাদক জয়দেব দাস এবং অন্যান্য সদস্য-সদস্যারা অল্প ব্যবহৃত জামাকাপড়ের  এক বিপুল সম্ভার নিয়ে বর্ধমানে হাজির হয়েছিলেন। তাতে কচিকাঁচা থেকে শুরু করে বয়স্কদের জন্য সব রকমের জামাকাপড় রাখা ছিল। এখানে আসার পর এই আদিবাসী এলাকা খুঁজে দেওয়া ও জামাকাপড় বিতরনের কাজে তাদের সবরকমের সাহায্য করে ২৬ নং ওয়ার্ডের ‘বোরহাট ফ্রেন্ডস ক্লাব’এর সদস্যরা এবং এই ক্লাবের কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ দাস (বুবাই)। 
প্রায় ২০০ জন আদিবাসী বাচ্চা ও বয়স্কদের বস্ত্রদান করা হয়। অনাড়ম্বর এই অনুষ্ঠানের শেষে জয়দেব দাস বলেন, তারা বর্ধমান থেকে এত সুন্দর সাড়া ও সহযোগিতা পেয়ে অভিভূত। ভবিষ্যতে আবারও তারা বর্ধমানে আসবেন এইরকম কল্যানমূলক কাজে। বিশ্বজিৎ দাস জানান, তারা ক্লাবের তরফে আগেও দুস্থদের বস্ত্রদান করেছেন, আজ এই কাজে জড়িত থাকতে পেরে তারা গর্ববোধ করছেন এবং ভবিষ্যতেও তারা এভাবেই বর্ধমানের মানুষের পাশে থাকবেন। প্রফেসর মিত্র বলেন যে এই রকম সমাজকল্যান মূলক কাজ সারা বছর চলুক এবং দুস্থ মানুষের মুখে হাসি ফুটে উঠুক। তিনি মানুষের প্রয়োজনে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একসাথে কাজ করার জন্য ধন্যবাদ জানান বটতলা ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ও বোরহাট ফ্রেন্ডস ক্লাবের সমস্ত সদস্যদের।
এই অনুষ্ঠানে এরা ছাড়াও রথতলা ও কাঞ্চননগর ক্লাবের বাবু দাস ও অনিমেষ সাহাও উপস্থিত ছিলেন। তারা বস্ত্রবিতরনের পর জয়দেববাবুর থেকে উদ্বৃত্ত প্রায় ৫০টি জামাকাপড় সংগ্রহ করে নেন এবং বিকেলে বর্ধমান মেডিকেল কলেজের সামনে দুস্থদের মধ্যে সেগুলো বিতরন করে দেন।